‘বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি ব্যান করেন, এগুলো আর নেওয়া যাচ্ছে না’
Published: 31st, August 2025 GMT
ছোট পর্দার আলোচিত অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমক। ২০১৭ সালে ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় রানার-আপ নির্বাচিত হন। ২০২০ সালে অভিনয়ে নাম লেখান। তবে শুধু অভিনয় নয়, সমাজের নানা অসঙ্গতি নিয়েও সোশ্যাল মিডিয়ায় দারুণ সরব এই তারকা।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের চলমান সংঘর্ষ নিয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন চমক। তাতে এ অভিনেত্রী লিখেন, “বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে রাজনীতি ব্যান করেন, প্লিজ! এগুলো আর নেওয়া যাচ্ছে না।”
আরো পড়ুন:
আমি কারো সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করিনি, আজও কুমারী: মেঘনা আলম
‘বিয়ের পাঁচ বছর কেটে গেলেও এখনো ফ্রি টিকিট পাইনি’
চমক
ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা নিয়ে নতুন নীতিমালা আসছে। এ ঘোষণার পর বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন চমক। ক্ষোভ প্রকাশ করে চমক লেখেন, “মেইন রোডে ব্যাটারি চালিত রিকশা চললে, সামনের বছর থেকে আমার গাড়ির ট্যাক্স দেব না।”
তার এই মন্তব্য ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। একজন লিখেছেন, “রিকশা না চললে আমরা চলব কীভাবে?” আরেকজন প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন, “গরিবের পেটে লাথি মারছেন কেন?”
আরেকজন দীর্ঘ মন্তব্যে সমালোচনা করে লিখেছেন, “ছোট থেকে এই রিকশায় যাতায়াত করেছেন, এখন একটু টাকা হয়েছে তো ভাব বাড়ছে। অনেকেই এই রিকশায় অফিস-আদালতে যায়, কাজ সারতে যায়। রিকশা বন্ধ হলে চালকরা কী খাবে? নিজের আগের অবস্থার কথা মনে করুন, অন্যকে ভালোবাসতে শিখুন।”
তবে চমকের মন্তব্যের সঙ্গে একপক্ষ সহমতও জানিয়েছেন। কেউ লিখেছেন, “এটা ভালো উদ্যোগ।” আবার কেউ লিখেছেন, “একদম ঠিক বলেছেন, সবারই উচিত ট্যাক্স দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া।”
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘ফিরিয়ে দাও’ থেকে ‘ধূসর সময়’: সিডনিতে একই মঞ্চে মাইলস ও আর্টসেল
সিডনির বসন্তের সন্ধ্যা। লিভারপুলের হুইটল্যাম লেজার সেন্টারের বাইরে তখন লম্বা লাইন—হাতে পতাকা, কাঁধে ব্যাগ, চোখে প্রত্যাশা। সাউন্ডচেকের শব্দ ভেসে আসছে বাইরে। ভেতরে যেন উন্মুখ এক ‘সাগর’, যেখানে মিশে আছে দুই প্রজন্মের মুখ, কণ্ঠ আর স্মৃতি। শনিবার রাতটি হয়ে উঠেছিল প্রবাসী বাঙালিদের জন্য এক ব্যতিক্রমী উৎসব—বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের দুই যুগের দুই প্রতীক, মাইলস ও আর্টসেল; প্রথমবারের মতো একই মঞ্চে গান করল সিডনিতে।
‘গ্রিনফিল্ড এন্টারটেইনমেন্ট’ আয়োজিত এই ‘মিউজিক ফেস্ট’ ঘিরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছিল, তা যেন উপচে পড়ল সেই রাতে। টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার পরপরই সব শেষ। অনুষ্ঠান শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে থেকেই সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিম উপশহর লিভারপুলের রাস্তাগুলো ভরে গেল গানের ভক্তে।
আয়োজনের আগে ভিডিও বার্তায় মাইলস জানায় তাদের উচ্ছ্বাস। ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য হামিন আহমেদ বলেন, ‘সিডনি বরাবরই আমাদের কাছে বিশেষ কিছু। সম্ভবত ১৯৯৬ সালে আমরাই প্রথম বাংলাদেশি ব্যান্ড হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় পারফর্ম করি। এরপর এ নিয়ে অন্তত পঞ্চমবারের মতো সিডনিতে এলাম। এখানকার দর্শকদের ভালোবাসা সব সময়ই অবিশ্বাস্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানতাম এটি স্মরণীয় একটি আয়োজন হতে যাচ্ছে। আমরা চেয়েছি সবাই একসঙ্গে গাইবে, চিৎকার করবে—ভক্তরা সেটাই করেছেন।’ গিটারিস্ট তুজো যোগ করেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার পাঁচটি শহরে ট্যুর করছি, কিন্তু সিডনির আবহ একেবারেই আলাদা। দর্শকেরা আমাদের রাতটিকে স্মরণীয় করে দিয়েছেন।’
মঞ্চে আর্টসেল