৪১০ রানের ম্যাচে ৫ ছক্কা ৫ চারে সাকিবের ২৬ বলে ৬১
Published: 31st, August 2025 GMT
আগের ম্যাচে অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) বাজিমাত করেছিলেন বাংলাদেশের সুপারস্টার সাকিব আল হাসান। অ্যান্টিগা এন্ড বারবুডা ফ্যালকন্সকে জিতিয়েছিলেন সাকিব।
আগের ম্যাচের ফর্ম সাকিব ধরে রাখলেন রোববারও। তবে আজ তাণ্ডব চালালেন ২২ গজে। সেন্ট লুসিয়া কিংসের বিপক্ষে ৫টি করে চার ও ছক্কায় ২৬ বলে ৬১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। উইকেটের চারপাশে একের পর এক বড় শটে মাত্র ২০ বলে ফিফটি করেন।
আরো পড়ুন:
নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেও দলের হার এড়াতে পারলেন না সাকিব
সাকিবের প্রতিষ্ঠানসহ ৮ ব্রোকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
সিপিএলে শুরুর দিকে টানা কয়েক ম্যাচে ব্যর্থ ছিলেন সাকিবের। নিজের ছায়া হয়ে থাকতে তার নিশ্চিতভাবেই পছন্দ হচ্ছিল না। শেষ ম্যাচে নিজেকে ফিরিয়ে আনার আভাস দিয়েছিলেন। আজ দেখালেন পারফরম্যান্সের পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবি। নিজের আয়ত্বে থাকা সবগুলো শট খেলে পেয়েছেন দারুণ এক ফিফটির স্বাদ।
তবে শেষ হাসিটা হাসতে পারেনি। হেরেছে তার দল অ্যান্টিগা। রান উৎসবের ম্যাচে আগে ব্যাটিং করতে নেমে অ্যান্টিগা ৪ উইকেটে ২০৪ রান করে। জবাবে টিম সেইফার্টের সিপিএলে দ্রুততম ফিফটিতে সেন্ট লুসিয়া ম্যাচ জিতে নেয় ৬ উইকেটে। ৪০ বলে সেঞ্চুরি করেন সেইফার্ট। সিপিএলে যৌথভাবে যা দ্বিতীয় দ্রুততম। ২০১৮ সালে আন্দ্রে রাসেল ৪০ বলেই সেঞ্চুরি করেছিলেন।
সপ্তম ওভারে ক্রিজে এসে প্রথম দুই বলে দুই চার হাঁকান সাকিব। প্রথমটি সুইপে, পরেরটি রিভার্স সুইপে। বোলার ছিলেন তারবেইজ শামসি। দ্বাদশ ওভারে সাকিব ঝড় তোলেন নাবিমিয়ার পেসার ডেভিড ভিসের ওপর। ওভারে দুই ছক্কার সঙ্গে তিনটি চার মারেন। ২০ বলে ফিফটিতে পৌঁছান। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যা তার ৩৪তম।
ফিফটি ছোঁয়ার পর আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে আরো ১১ রান যোগ করেন সাকিব। যেখানে এক হাতে পেসার আলজারি জোসেফকে ছক্কা উড়ান। তার ইনিংসটি থামান ডেলানো পটগিটার। শর্ট বল পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দেন। এদিন বোলিং তার যুৎসই হয়নি। ২ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৩টি করে চার ও ছক্কায় রান দিয়েছেন ৩২।
শেইফার্ট দ্বিতীয় ইনিংসে ছিলেন অনবদ্য। ৫৩ বলে ১২৫ রানের নজরকাড়া ইনিংস সাবেক কিউই ওপেনার। ১০ চার ও ৯ ছক্কায় মাতিয়ে রাখেন গোটা গ্যালারি।
আট ম্যাচে অ্যান্টিগা এন্ড বারবুডা ফ্যালকন্সের এটি চতুর্থ হার। ৭ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছেন তিন নম্বরে। ৭ ম্যাচে ৪ জয় নিয়ে সেন্ট লুসিয়ার পয়েন্ট ১০।
ঢাকা/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ক ব আল হ স ন স প এল
এছাড়াও পড়ুন:
২০২৬ আইপিএলের আগে নতুন হেড কোচ নিয়োগ দিল কেকেআর
আইপিএল ২০২৬ মৌসুমের আগে কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর) নতুন হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব দিল অভিষেক নায়ারকে। গত মৌসুমে তিনি ছিলেন চন্দ্রকান্ত পান্ডিতের সহকারী কোচ। এবার সেই জায়গা থেকেই পদোন্নতি পেয়ে দলের দায়িত্বভার নিলেন তিনি। এর আগে এক বছরের বিরতিতে নায়ার কাজ করেছিলেন ভারতের জাতীয় দলের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরের সহকারী হিসেবে।
সম্প্রতি নারী প্রিমিয়ার লিগের দল ইউপি ওয়ারিয়র্সও তাকে প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল।
আরো পড়ুন:
শেষটায় কী অপেক্ষা করছে?
ফাইনালে যেতে ভারতকে ৩৩৯ রানের টার্গেট দিলো অস্ট্রেলিয়া
কেকেআরের সিইও ভেঙ্কি মাইসোর এক বিবৃতিতে বলেন, “২০১৮ সাল থেকে অভিষেক কেকেআর পরিবারের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। মাঠের ভেতরে ও বাইরে- দুই জায়গাতেই তিনি আমাদের খেলোয়াড়দের গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। খেলার সূক্ষ্ম বিষয়গুলো বোঝার ক্ষমতা আর খেলোয়াড়দের সঙ্গে গভীর সংযোগ; দুটোই তাকে আলাদা করে রেখেছে। আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে, এখন তিনি প্রধান কোচ হিসেবে কেকেআরকে নতুন অধ্যায়ে নেতৃত্ব দেবেন।”
৪২ বছর বয়সী অভিষেক নায়ার একসময় ছিলেন মুম্বাইয়ের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। ২০০৯ সালে ভারতের জার্সি গায়ে তিনটি ওয়ানডেও খেলেছেন তিনি। তবে খেলোয়াড়ি জীবনের চেয়ে কোচ হিসেবে তার সিভিটাই এখন অনেক সমৃদ্ধ।
২০১৮ সালে খেলোয়াড়ি জীবনের শেষ দিকে নায়ার কেকেআর একাডেমির প্রধান কোচ নিযুক্ত হন। ২০১৯ সালে অবসরের পর মূল দলের সহকারী কোচ হিসেবে যোগ দেন। পরে ২০২২ সালে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের প্রধান কোচের দায়িত্বও পালন করেন।
কেকেআরে থাকাকালীন গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে তার গড়ে ওঠে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। যখন গম্ভীর ভারতের জাতীয় দলের প্রধান কোচ হন, তখন নায়ারও তার সহকারী হিসেবে যোগ দেন। তবে দলের পারফরম্যান্স নিয়ে বিসিসিআইয়ের পর্যালোচনার পর এক বছরেরও কম সময়ে তার চুক্তি নবায়ন করা হয়নি। এরপর আইপিএল ২০২৫ মৌসুমের আগে তিনি ফের ফিরে আসেন কেকেআরে।
তিন মৌসুম পর কেকেআর ও চন্দ্রকান্ত পান্ডিতের পথ আলাদা হয়ে যায়। সেই সময়ের মধ্যে দলটি দশ বছর পর ২০২৪ সালে আইপিএল শিরোপা জিতেছিল। তবে ২০২৫ মৌসুমে হতাশাজনক পারফরম্যান্সে মাত্র পাঁচ জয়ে পয়েন্ট তালিকায় অষ্টম স্থানে থাকাটা শেষ পর্যন্ত পান্ডিতের বিদায়ের কারণ হয়। এরপর তিনি ফিরে যান নিজ রাজ্য মধ্যপ্রদেশে এবং সেখানে ক্রিকেট পরিচালকের দায়িত্ব নেন।
কেকেআরের সহায়ক দলেও বড় পরিবর্তন আসতে চলেছে। বোলিং পরামর্শক ভরৎ অরুণ ও স্পিন-বোলিং বিশেষজ্ঞ কার্ল ক্রো দুজনই চলে গেছেন লখনউ সুপার জায়ান্টসে। ফলে আগামী কয়েক মাসে তাদের বিকল্প খোঁজার কাজ শুরু হবে।
অর্থাৎ, নতুন করে সাজানো কেকেআর এখন নতুন কোচ অভিষেক নায়ারের হাত ধরে এগোতে প্রস্তুত। আইপিএল ২০২৬-এ আবারও পুরনো জৌলুস ফিরে পাওয়ার প্রত্যাশায়।
ঢাকা/আমিনুল