আরবাজের সঙ্গে সুখী ছিলাম না: মালাইকা
Published: 1st, September 2025 GMT
বলিউডের আলোচিত প্রাক্তন তারকা দম্পতি আরবাজ খান ও মালাইকা আরোরা। ২০১৭ সালের মে মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে ১৮ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানেন এই যুগল। তাদের বিয়েবিচ্ছেদ নিয়ে নানারকম জলঘোলা হয়েছে। তবে এই বিচ্ছেদ চাননি মালাইকা। পাশাপাশি দাবি করেন—আরবাজের সঙ্গে সুখী ছিলেন না এই অভিনেত্রী।
পিঙ্কভিলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মালাইকা আরোরা বলেন, “আমি চাইতাম আমার বিয়েটা আজীবন টিকে থাকুক। কিন্তু তা হয়নি। তার মানে এই না যে, আমি ভালোবাসায় বিশ্বাস হারিয়েছি বা আমার নেওয়া সিদ্ধান্তটা ভুল ছিল। এর মানে এই না যে, আমি আমার জীবনের গতিপথ বদলাতে পারতাম, না! যা হওয়ার ছিল, সেটাই হয়েছে।”
জীবনের অভিজ্ঞতা মিশিয়ে মালাইকা আরোরা বলেন, “জীবনে অনেক পরিস্থিতি আসে, যখন মানুষ সবকিছু ঠিক করার চেষ্টা করে—যাতে ভালো কিছু বেরিয়ে আসে। কিন্তু এমন একটা সময় এলো যখন আমরা দুজনেই বুঝলাম যে, ‘এটা আর চলবে না।”
আরো পড়ুন:
৩ সন্তানের মা হতে চান জাহ্নবী
ভাঙা প্রেমকে ‘মুছে ফেলা অধ্যায়’ বললেন শমিতা শেঠি
প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে মালাইকা আরোরা বলেন, “মানুষ মনে করে, নিজের কথা ভাবা ভুল। ‘তুমি নিজেকে নিয়ে কীভাবে আগে ভাবতে পারো? তোমার তো সন্তান আছে, পরিবার নিয়ে আগে ভাবা উচিত।’ কিন্তু নিজের কথা ভাবার মধ্যে ভুলটা কোথায়?”
আরবাজের সঙ্গে সুখী ছিলেন না মালাইকা। তা উল্লেখ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “সবাই বলে, আগে নিজেকে ভালোবাসো, তারপর অন্য কাউকে।’ সেই সময় বুঝেছিলাম, আমাকে আগে সুখী হতে হবে, তারপর অন্যকিছু ঠিক করা সম্ভব। আমি সুখী ছিলাম না।”
মালাইকার ডিভোর্সের সিদ্ধান্তকে মানুষ ‘স্বার্থপর’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। তাদের উদ্দেশে মালাইকা বলেন, “আপনার কাছে এটা স্বার্থপর মনে হতে পারে। আমি যা অনুভব করেছি, তাই করেছি। কীভাবে তুমি নিজেকে নিয়ে আগে ভাবতে পারো—এটা মানুষের পক্ষে বোঝা কঠিন। হ্যাঁ, আমি নিজেকে নিয়ে আগে ভেবেছি। সেই সিদ্ধান্তই আজ আমাকে একজন ভালো মানুষ তৈরি করেছে। আমি এখন নিজের সঙ্গে অনেক বেশি শান্তিতে আছি, আমি অনেক সুখী। শুধু তাই নয়, আমার সন্তানও এখন অনেক ভালো এবং সুখী পরিবেশে আছে। আমি মনে করি না, সে এমন একটা পরিবেশে থাকতে চাইত, যেখানে কোনো কিছুই ঠিকঠাক ছিল না।”
২০২২ সালে ফারাহ খান সঞ্চালিত একটি অনুষ্ঠানে আরবাজের সঙ্গে বিয়েবিচ্ছেদ নিয়ে কথা বলেছিলেন মালাইকা। আরবাজের সঙ্গে সংসার বাঁধার প্রস্তাব প্রথমে মালাইকাই দিয়েছিলেন। তা উল্লেখ করে তিনি বলেছিলেন—“আরবাজকে আমি প্রথম প্রপোজ করি। এ বিষয়টি কেউ-ই জানে না। আরবাজ আমাকে প্রপোজ করেনি। আমিই ওকে বলেছিলাম, বিয়ে করতে চাই। তুমি তৈরি তো? আর খুব মিষ্টিভাবে ও জবাব দিয়েছিল, ‘তুমি দিন আর জায়গা ঠিক করো।”
ব্যক্তি আরবাজের প্রশংসা করে মালাইকা বলেছিলেন, “আরবাজ দারুণ একজন মানুষ। সে আমাকে আজকের মালাইকা হতে দিয়েছে। আজকে আমি যা হয়েছি, তার পেছনে রয়েছে আরবাজ। সে আমাকে একজন ব্যক্তি হিসেবে তৈরি করেছে।”
সংসার ভাঙার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মালাইকা বলেছিলেন, “আমরা ভেসে গিয়েছিলাম। আমরা খুব ছোট ছিলাম। বিশেষ করে আমার বয়স অনেক কম ছিল। আমার মনে হয় আমিও অনেক বদলে গিয়েছি। আমি জীবনে ভিন্ন কিছু চাইছিলাম। আমি অনুভব করছিলাম, আমার স্পেস প্রয়োজন, এজন্য আমার সরে যাওয়া উচিত।”
“এটা করার জন্য একমাত্র উপায় কিছু বন্ধন ছিঁড়ে ফেলা। আমরা খুব বিরক্ত, খিটখিটে এবং রাগান্বিত হয়ে গিয়েছিলাম। আমার মনে হয়, আজকে আমরা ভালো আছি। আমরা পরস্পরকে ভালোবাসি এবং সম্মান করি। আমাদের একটি সন্তান রয়েছে। যার কারণে কিছু বিষয় আমাদের কখনই বদলাবে না। আমরা দূরে থেকে ভালো আছি।” বলেছিলেন মালাইকা।
আরবাজের সঙ্গে বিচ্ছেদের বিষয়ে কথা বলতে বলতে সেদিন কেঁদে ফেলেছিলেন মালাইকা। তারপর অনুষ্ঠানের অতিথি ফারাহ খানকে জড়িয়ে ধরেন এই অভিনেত্রীকে।
আরবাজের সঙ্গে ডিভোর্সের পর অর্জুন কাপুরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক জড়ান মালাইকা। শুরুতে গোপন করলেও তাদের সম্পর্কের বিষয়টি এখন ওপেন সিক্রেট। মাঝে তাদের প্রেমের সম্পর্কের বিচ্ছেদের গুঞ্জন শোনা যায়। তবে সেসব উড়িয়ে মাঝেমধ্যে একসঙ্গে দেখা দেন এই জুটি।
অন্যদিকে, নতুন করে সংসার শুরু করেছেন আরবাজ খান। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে হেয়ারস্টাইলিস্ট শুরা খানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তিনি। শুরা খান এখন অন্তঃসত্ত্বা। আপাতত সন্তানের আগমনের অপেক্ষায় আরবাজ-শুরা।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বল ছ ল ন সন ত ন
এছাড়াও পড়ুন:
যমুনা ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন
যমুনা ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের সভায় ব্যাংকের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মো. বেলাল হোসেন সর্বসম্মতিক্রমে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি দেশের একজন সফল উদ্যোক্তা। খবর বিজ্ঞপ্তি
যমুনা ব্যাংকের ওয়েবসাইটের তথ্যানুসারে, মো. বেলাল হোসেন ১৯৫৬ সালে নওগাঁ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ব্যবসা-বাণিজ্যের জগতে তাঁর পরিবারের দেশ-বিদেশে সুনাম আছে। পরিবারের মালিকানাধীন বৃহৎ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ছাড়াও আছে নানা ধরনের ক্ষুদ্র ও বৃহৎ খাদ্যশস্য শিল্প। তিনি একজন বিশিষ্ট আমদানিকারক ও রপ্তানিকারক। বর্তমানে তিনি বেলকন কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড, বিএইচ হাইটেক ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেড, নাদিয়া ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেড ও বিএইচ স্পেশালাইজড কোল্ডস্টোরেজ প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
বেলাল হোসেন নওগাঁ, দিনাজপুর ও হিলি অঞ্চলের বিভিন্ন ক্রীড়া ও ব্যবসায়ী সংগঠনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত। ২০০৪ সালে তিনি বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে অতীশ দীপঙ্কর গবেষণা পরিষদের এডিজিপি ফেলো মেম্বারশিপ সম্মাননা লাভ করেন। ২০০৫ সালে এফএনএস বিজনেস অ্যাওয়ার্ডে সেরা কৃষিভিত্তিক শিল্প উদ্যোক্তা হিসেবে স্বীকৃতি পান।
বেলাল হোসেন নওগাঁ রাইস মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, নওগাঁ এবং বাংলাদেশ অটো মেজর ও হাসকিং মিল মালিক সমিতি, ঢাকার কার্যনির্বাহী সদস্য।