ইতিহাসের নির্মোহ চিত্র তুলে ধরার আহ্বান ফারুকীর
Published: 1st, September 2025 GMT
ইতিহাসের নির্মোহ চিত্র তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
এমএজি ওসমানীকে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক অ্যাখ্যায়িত করে তার জন্মদিনকে স্মরণ করে সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুর পৌনে ২টার দিকে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসে তিনি এ আহ্বান জানান।
সেখানে তিনি লেখেন, ওসমানী বা জিয়াউর রহমানকে আমাদের ইন্টেলিজেন্সিয়া সেলিব্রেট করে না। একই ইন্টেলিজেন্সিয়া যারা অ্যাপারেন্টলি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে, কিন্তু মাঠে যুদ্ধ করলো যারা, যুদ্ধের ঘোষণা দিল যারা তাদেরকে আমাদের ইতিহাসের পাতা থেকে যতোটা সম্ভব দুরে অথবা কম আলোকিত করে রাখা হয়েছে। আমাদের ইতিহাসের ওই ক্রিটিক্যাল প্রশ্নগুলো অ্যাড্রেস করা হয় নাই যে যুদ্ধ চলাকালীন ওসমানীর বক্তব্য কি ছিলো, উনার কি কোনো বিষয়ে ভিন্নমত ছিলো, ১৬ ডিসেম্বর উনি কেনো হাজির ছিলেন না, মুক্তিবাহিনী অথবা মিত্র বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ না করে কেনো ভারতীয় বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করানো হলো?”
তিনি লেখেন, “সময় এসেছে এরকম সব প্রশ্ন তোলার। শুধু প্রশ্নই না এই বিষয়ে ইতিহাসের সত্যগুলোও নির্মোহভাবে তুলে ধরার। সময় এসেছে পাকিস্তানিদের অত্যাচারের পাশাপাশি ৪৭ পূর্ববর্তী সময়ে ইতিহাসের বিভিন্ন বাঁকে বাংলাদেশের মানুষ যেসব অন্যায় অত্যাচারের মধ্য দিয়ে গেছে সেসব নির্মোহ তুলে ধরার। আমরা এই কাজটা শুরু করে যাবো। আমার বিশ্বাস পরবর্তী সরকার এসে কাজটা এগিয়ে নিয়ে যাবে। কারণ একটা জাতিকে শোষণ করার প্রথম ধাপ তার ইতিহাস-সংস্কৃতি নাই করে দেওয়া। অথবা শোষকের সুবিধামাফিক ইতিহাস তৈরি করে দেয়া।”
জেনারেল ওসমানীকে জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়ে লেখেন, “মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন উনার কিছু ফুটেজ আমার চোখে লেগে আছে। তবে একটা শট আমার চোখে আজীবন লেগে থাকবে। জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর উনার কবরে দাঁড়িয়ে তাঁর স্যালুট। আ রেয়ার মোমেন্ট অব লাভ এন্ড রেসপেক্ট ফ্রম দ্য জেনারেল টু দ্য কমান্ডার।”
ঢাকা/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মৌলভীবাজারে পিবিআইর হাজতখানা থেকে আসামির লাশ উদ্ধার
মৌলভীবাজারে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) হাজতখানার ভেতর থেকে মোকাদ্দুস (৩২) নামে আসামির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেছে পিবিআই।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভোরে মৌলভীবাজার জেলা শহরের টিভি হাসপাতাল সড়কে পিবিআইর হাজতখানা থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়।
মোকাদ্দুস কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের কোনাগাঁও (বৃন্দাবনপুর) গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে। তিনি আলোচিত লিটন হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত ৯ আগস্ট কমলগঞ্জ উপজেলার ২ নম্বর পতনঊষার ইউনিয়নের কোনাগাঁও (বৃন্দাবনপুর) গ্রামের ধানক্ষেত থেকে লিটন নামের এক যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর থেকে মোকাদ্দুস পলাতক ছিলেন। রবিবার রাত ৮টার দিকে কমলগঞ্জ থানায় আত্মসমর্পণ করেন মোকাদ্দুস। পরে তাকে লিটন হত্যার মামলার তদন্ত সংস্থা পিবিআইর কাছে হস্তান্তর করে থানা পুলিশ।
পিবিআই জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর খাওয়া-দাওয়া শেষে মোকাদ্দুসকে ৭-৮ জন আসামির সঙ্গে হাজতখানায় রাখা হয়। সোমবার ভোর ৬টার দিকে ডিউটি অফিসার গিয়ে দেখেন, মোকাদ্দুস নিজের লুঙ্গি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছেন। পরে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও মোকাদ্দুসের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।
১১ সেপ্টেম্বর লিটনের বাবা সাত্তার মিয়া অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে কমলগঞ্জ থানায় মামলা করেন। এ মামলায় শামিম নামের আরেকজনকেও গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই।
এ বিষয়ে মৌলভীবাজার পিবিআইর পুলিশ সুপার মো. জাফর হুসাইন বলেছেন, লিটন হত্যা মামলার তদন্ত আমাদের হাতে। মোকাদ্দুস রবিবার রাতে কমলগঞ্জ থানায় আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সোমবার সকালে হাজতখানায় আত্মহত্যা করেন তিনি। বিষয়টি আমরা সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানিয়েছি।
ঢাকা/আজিজ/রফিক