প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সেনাপ্রধানের বৈঠককে ‘গুজব’ বললেন ড. আসিফ
Published: 1st, September 2025 GMT
প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সেনাপ্রধানের বৈঠককে ‘গুজব ও গুঞ্জন’ বলেছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
ডিএমপি কমিশনারের কার্যালয়ে হামলার ভিডিওটি গুজব: পুলিশ
আইনের খসড়া অনুমোদন: গুমের সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড
সেনাপ্রধান প্রধান বিচারপতি ও রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেছেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে আসিফ নজরুল বলেন, “সেনাপ্রধান প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করেছেন- এ ধরনের কোনো তথ্য আমার জানা নেই। আমি দু-একটি পত্রিকায় দেখেছি। অনলাইনে এটি নিয়ে নানা গুজব-গুঞ্জন হয়েছে দেখেছি। এসব গুজব-গুঞ্জন নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। এটি হচ্ছে আমার বক্তব্য।”
এটা কি তাহলে গুজব- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এখন পর্যন্ত তো অবশ্যই গুজব। আমি তো এখন পর্যন্ত কিছু জানি না।”
উপদেষ্টা বলেন, “সেনাপ্রধান আমাদের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মাঝে মাঝে দেখা করেন। রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও আগে দেখা করেছেন। আমি মনে করি না, এতে বিচলিত হওয়ার মতো কিছু আছে।”
জরুরি অবস্থা কিংবা তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের মতো কিছু হচ্ছে কি না—এমন প্রশ্নে আসিফ নজরুল বলেন, “আমি এ ধরনের কোনো সম্ভাবনার ব্যাপারে অবগত নই।”
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড.
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ জব উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
সুদানের এল-ফাশের শহরে ‘চরম বিপদে’ বাসিন্দারা: ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস
সুদানের আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) কাছে দেশটির এল–ফাশের শহরের পতনের পর সেখানকার বাসিন্দারা ‘চরম বিপদের’ মধ্যে রয়েছেন। তাঁরা শহরটিতে আটকা পড়েছেন। গতকাল শনিবার ফ্রান্সভিত্তিক আন্তর্জাতিক দাতব্য চিকিৎসা সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ) এমন শঙ্কার কথা জানিয়েছে।
২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরএসএফের লড়াই চলছে। গত ২৬ অক্টোবর এল-ফাশের দখল করে নেয় আধা সামরিক বাহিনীটি। শহরটির পতনের পর থেকে সেখানে বিচারবহির্ভূত হত্যা, যৌন সহিংসতা, ত্রাণকর্মীদের ওপর হামলা, লুটপাট এবং অপহরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সেখানকার যোগাযোগব্যবস্থা প্রায় পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুনসুদানে ‘গণহত্যা’ হয়েছে২২ ঘণ্টা আগেএল–ফাশের শহর থেকে যাঁরা পালিয়ে কাছের তাউইলা শহরে আশ্রয় নিয়েছেন, তাঁরা বেসামরিক লোকজনের ওপর গণহত্যা চালানোর কথা বলেছেন। তাঁদের ভাষ্য, এল–ফাশেরে মা–বাবার সামনে সন্তানদের হত্যা করা হচ্ছে। মানুষজন শহরটি থেকে পালানোর সময় তাঁদের মারধর করা হচ্ছে। জাতিসংঘের হিসাবে, ২৬ অক্টোবর থেকে ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ শহরটি থেকে পালিয়েছেন।
শনিবার ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস জানিয়েছে, এল–ফাশেরের বিপুল মানুষ ‘চরম বিপদের’ মধ্যে রয়েছে। তাদের শহরটি ত্যাগ করতে দিচ্ছে না আরএসএফ ও তাদের সহযোগীরা। সংস্থাটির জরুরি বিভাগের প্রধান মাইকেল ওলিভিয়ার লাচেরিটে বলেন, এল–ফাশের থেকে যাঁরা নিখোঁজ হয়েছেন, তাঁরা কোথায়? সম্ভাব্য উত্তরটা হলো—তাঁদের হত্যা করা হয়েছে।
গত শুক্রবার জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আরএসএফের হামলায় এল–ফাশেরে কয়েক শ মানুষ নিহত হয়েছেন। তবে সুদানের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দুই হাজার বেসামরিক মানুষকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যানিটারিয়ান রিসার্চ ল্যাব বলেছে, এল–ফাশেরে গণহত্যা অব্যাহত থাকার বিভিন্ন ইঙ্গিত স্পষ্টভাবে দেখা গেছে।
সুদান ‘মহাবিপর্যয়কর পরিস্থিতির’ মধ্যে রয়েছে বলে শনিবার উল্লেখ করেছেন জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহান ওয়েডফুল। বাহরাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বেসামরিক লোকজনকে সুরক্ষা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আরএসএফ। এরপরও এমন নৃশংসতার জন্য তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা হবে। একই সংবাদ সম্মেলনে সুদানের পরিস্থিতি ‘ভয়ংকর’ বলে উল্লেখ করেছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার।
আরও পড়ুনসুদানে আরএসএফের গণহত্যায় আরব আমিরাত ইন্ধন দিচ্ছে কেন৭ ঘণ্টা আগে