শরীয়তপুরের পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
Published: 2nd, September 2025 GMT
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় পুকুরের পানিতে ডুবে একটি আশ্রয়ণ প্রকল্পের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এক শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার সখীপুর থানার উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়নের মাদবরকান্দি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এমন ঘটনায় এলাকায় শোক নেমে এসেছে। মৃত ইমন হোসেন (৫) মাদবরকান্দি এলাকায় বাদল সরকারের এবং তাওহিদ (৫) একই এলাকার শাহ-আলম বেপারির ছেলে।
আরো পড়ুন:
কালকিনিতে খালে ডুবে যাওয়া শিশুর মরদেহ উদ্ধার
আত্রাই নদীতে ২ শিশু নিখোঁজ, ১ জনের মরদেহ উদ্ধার
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুল হক বলেন, অসাবধানবশত পুকুরের পানিতে পড়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইমন ও তাওহিদ পরিবারের সঙ্গে মাদবরকান্দি এলাকার সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পে বসবাস করত। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ইমন, তাওহিদ ও জান্নাত নামে তিন শিশু আশ্রয়ন প্রকল্পের পাশের পুকুরে পড়ে যায়। তাদের দেখতে না পেলে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে ভাসমান অবস্থায় ইমন ও তাওহিদের মরদেহ উদ্ধার করে। জান্নাতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা আবুল হোসেন জানান, গ্রামবাসী পুকুর থেকে তিন শিশুকে উদ্ধার করে। তাদের মধ্যে দুজন ততক্ষণে আর বেঁচে ছিল না। জান্নাতকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা/আকাশ/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শিবচরে তরুণকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা, বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
মাদারীপুরের শিবচরে জামিনে থাকা আসামি রাকিব মাদবরকে (২৫) প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে ২২ জনকে এজাহারভুক্ত ও অজ্ঞাত আরও ৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে নিহত ব্যক্তির চাচি পারুল আক্তার বাদী হয়ে শিবচর থানায় মামলাটি করেন।
এর আগে গত রোববার রাত আটটার দিকে শিবচর পৌর বাজারের প্রধান সড়কে একটি ব্যাংকের সামনে রাকিব মাদবরকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। রাকিব শিবচর উপজেলার চরশ্যামাইল এলাকার নাসির মাদবরের ছেলে। তিনি সরকারি বরহামগঞ্জ কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
দুই দিন পার হয়ে গেলেও এই ঘটনায় কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এর প্রতিবাদে আজ দুপুরে শিবচর পৌর বাজারের সদর রোডে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজন। এ সময় বক্তারা বলেন, প্রকাশ্যে শত শত মানুষের সামনে হত্যাকাণ্ড কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। একটা সভ্য স্বাধীন দেশে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড হতে পারে না। হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার না করা হলে ভবিষ্যতে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেবেন তাঁরা।
মামলার বাদী নিহত ব্যক্তির চাচি পারুল আক্তার বলেন, ‘রাকিবরে এতগুলো মানুষের সামনে কুপাইয়া মাইরা ফালাইলো। কেউ বাঁচাতে এগিয়ে আসলো না। যারা খুন করছে, তারা রাকিবের পূর্বশত্রু। আবুল কালাম সরদারের নির্দেশে তার লোকজন এই খুন করেছে। পুলিশ এ ঘটনায় কোনো আসামি এখন অবধি গ্রেপ্তার করে নাই। আসামিগো গ্রেপ্তার চাই, ফাঁসি চাই।’
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিবচর উপজেলার শিরুয়াইল ইউনিয়নের চরশ্যামাইল গ্রামের আবুল কালাম সরদারের লোকজনের সঙ্গে নিহত রাকিব মাদবরের লোকজনের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত ৬ মে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের হামলায় আবুল কালাম সরদারের ছেলে ইবনে সামাদ নিহত হন। ইবনে সামাদ হত্যা মামলার আসামি রাকিব সম্প্রতি জামিন নিয়ে জেল থেকে বের হয়ে এলাকায় আসেন। রোববার রাত আটটার দিকে শিবচর পৌর বাজারের একটি সড়কে দাঁড়িয়ে ছিলেন রাকিব। এ সময় ৪ থেকে ৫ জনের একটি দল ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাকিবের মৃত্যু হয়।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, প্রকাশ্যে হত্যার ঘটনায় ২২ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির স্বজন ও স্থানীয় লোকজন মানববন্ধন করে এ ঘটনার প্রতিবাদ ও বিচার দাবি করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
আরও পড়ুনশিবচরে হত্যা মামলায় জামিনে থাকা আসামিকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫