ফেরদৌসের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন, মুখ খুললেন শ্রীলেখা
Published: 2nd, September 2025 GMT
ঢাকাই সিনেমার নায়ক ফেরদৌস আহমেদ। অভিনয় গুণে কলকাতায়ও তার খ্যাতি রয়েছে। ওপার বাংলার অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর সঙ্গে তার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। এ কথা সবারই জানা। হঠাৎ খবর ছড়িয়েছে, কলকাতার আলোচিত অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ফেরদৌস আহমেদের। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর চর্চা চলছে।
ফেরদৌস আহমেদের সঙ্গে সত্যিই কি শ্রীলেখার প্রেম ছিল? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে ভারতীয় একটি গণমাধ্যম শ্রীলেখার সঙ্গে যোগাযোগ করে। বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন এই অভিনেত্রী।
আরো পড়ুন:
প্রেমে পড়লেও বিয়ে করতে চাই না: শ্রীলেখা
বেশ করেছে চুমু খেয়েছে, ঘুষ তো খায়নি: শ্রীলেখা
এ বিষয়ে শ্রীলেখা মিত্র বলেন, “পরিচালক স্বপন সাহা বাংলাদেশের একটি সিনেমার জন্য আমার নাম বলেছিলেন। সিনেমাটির নাম ‘সিংহ পুরুষ’। ওই সিনেমায় দ্বিতীয় নায়কের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ফেরদৌস। সিনেমার সূত্রে বাংলাদেশে যাওয়া। ওর সঙ্গে পরিচয়। ফেরদৌস তখন পড়াশোনার পাশাপাশি অভিনয় করছেন। শান্ত-নম্র স্বভাবের ফেরদৌসকে দেখে ভালো লেগেছিল।”
বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় যাওয়ার পর শ্রীলেখা একাধিক পরিচালকের ফোনকল পান। তাদের মধ্যে অন্যতম বাসু চ্যাটার্জি। তখন ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ শিরোনামে সিনেমা নির্মাণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। সিনেমাটির নায়িকা শ্রীলেখা মিত্র আর নায়ক খুঁজছেন।
এসব তথ্য উল্লেখ করে শ্রীলেখা মিত্র বলেন, “ফেরদৌসের কথা বাসুদাকে বলি। আমার সূত্রেই টলিউডে পা রাখেন ফেরদৌস। তার মানেই কি প্রেম! কারো নাম পরিচালককে বলার মধ্যে আর যাই থাক, প্রেম থাকে না। শুধু অভিনেতা নয়, আমি অনেক অভিনেত্রীর নামও পরিচালকদের বলি।”
ভদ্র, সুপুরুষ অভিনেতা ফেরদৌসের সঙ্গে কাজের সুবাদে বন্ধুত্ব হয় শ্রীলেখার। তবে এরপর আর তেমন যোগাযোগ ছিল না ফেরদৌসের সঙ্গে। কালেভদ্রে দেখা হলে কথা হত। এখন ফেরদৌসের সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ নেই বলেও জানান শ্রীলেখা।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
অ্যাপে পরিচয়-প্রেম, বিয়ে করতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এলেন চীনের যুবক
ভাষা, সংস্কৃতি ও হাজার মাইলের দূরত্বকে হার মানিয়েছে ভালোবাসা। ভালোবাসার টানে এক তরুণীকে বিয়ে করতে বাংলাদেশে এসেছেন চীনের এক যুবক। গত শুক্রবার রাতে চীন থেকে ঢাকায় পৌঁছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে এক তরুণীর বাসায় আসেন তিনি। আজ রোববার আদালতের মাধ্যমে তাঁরা বিয়ে সম্পন্ন করবেন।
চীনের যুবকের নাম ওয়াং তাও (৩৬)। চীনের হোয়ানান প্রদেশের ওয়াং ইচাং চাওয়ের ছেলে তিনি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়নের কোনাপাড়া গ্রামের তাহের মিয়ার মেয়ে সুরমা আক্তারের (২২) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক আছে তাঁর। সুরমা একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন এবং ঢাকার লালবাগে থাকেন। আজ রোববার তাঁরা বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবেন বলে তরুণীর পরিবার জানিয়েছে।
জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার রাতে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পৌঁছান চীনের যুবক ওয়াং তাও। বিমানবন্দর থেকে চীনের যুবককে আতিথেয়তা দিয়ে নিজ বাড়ি নাসিরনগরের কুন্ডার কোনাপাড়ায় নিয়ে আসেন তরুণী সুরমাসহ তাঁর পরিবারের লোকজন।
স্থানীয় লোকজন, পুলিশ ও তরুণীর পরিবারের দাবি, দেড় থেকে দুই মাস আগে ডেটিং এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ওয়ার্ল্ড টক’ নামের একটি অ্যাপের মাধ্যমে ওয়াং তাওয়ের সঙ্গে সুরমার পরিচয় হয়। তাঁরা নিয়মিত চ্যাটে যোগাযোগ রাখতে শুরু করেন। তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্ব থেকে সম্পর্ক গড়ায় প্রেমে। বিষয়টি চীনের যুবক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তরুণী নিজ নিজ পরিবারকে জানান। উভয় পরিবারের সম্মতিতে তাঁরা একে অপরকে বিয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন। পরে চীনের যুবক বাংলাদেশ ও চীনের দূতাবাসের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসেন। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে দুপুরের পর থেকে চীনের যুবককে দেখার জন্য সুরমার বাড়িতে ভিড় করেন স্থানীয় লোকজন।
সুরমা স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, ‘ওয়ার্ল্ড টক’ অ্যাপের মাধ্যমে চীনের যুবক ওয়াং তাওয়ের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। বন্ধুত্ব থেকে সম্পর্ক প্রেমে গড়ায়। ট্রান্সলেটরের মাধ্যমে তাঁরা একে অপরের সঙ্গে চ্যাট করতেন। একপর্যায়ে তাঁরা পরিবারের সম্মতিতে বিয়ের সিদ্ধান্তে পৌঁছান।
সুরমার মা নুরেনা বলেন, ‘আমার মেয়ের ভালোবাসা পেতে চীন থেকে যুবক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে চলে এসেছে। ওই যুবক কোনো ধর্মই বিশ্বাস করে না। মেয়েকে বিয়ে করতে প্রয়োজনে সে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে রাজি হয়েছে। আগামীকাল (আজ) রোববার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে মুসলিম রীতি মেনে সুরমাকে বিয়ে করবে চীনের যুবক। এতে দুই পরিবারের সম্মতি আছে। আমরা এই বিয়েতে আনন্দিত। মেয়ের খুশিই আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
নাসিরনগর থানার কুন্ডা বিট উপপরিদর্শক (এসআই) জাহান-ই-আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিষয়টি জানতে পেরে কুন্ডা গ্রামে যাই। পাসপোর্ট দেখে নিশ্চিত হলাম যে যুবক চীনের নাগরিক। ওই তরুণী ঢাকার লালবাগে থাকেন। ‘ওয়ার্ল্ড টক’ নামের একটি অ্যাপসের মাধ্যমে তাঁদের পরিচয়। একপর্যায়ে তাঁরা প্রেমের সম্পর্কে জড়ান। চীনের যুবক ইংরেজি বোঝেন না। তাই কথা বলা সম্ভব হয়নি। তাঁরা একে অপরের সঙ্গে ট্রান্সলেটরের মাধ্যমে কথা বলতেন। তরুণী ও তাঁর পরিবার জানিয়েছে, রোববার হলফনামার মাধ্যমে চীনের যুবক মুসলিম হবেন। তারপর তাঁরা বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবেন।’ তরুণীর বরাত দিয়ে তিনি আরও জানান, চীনের যুবক এক থেকে দেড় মাস থাকবেন। যাওয়ার সময় হয় ওই তরুণীকে সঙ্গে নিয়ে যাবেন বা পরে নিয়ে যাবেন।