ঢাকার কেরাণীগঞ্জের বুড়িগঙ্গা নদীর পৃথক স্থান থেকে উদ্ধার হওয়া চার মরদেহের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। পরিচয় শনাক্ত না হওয়ায় ১০দিন পর দাতব্য সংস্থা আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর জুরাইন কবরস্থানে তাদের দাফন করা হয়। 

মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় থানায় মামলা হওয়ার পর বরিশুর নৌ পুলিশ তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসআই নেছার উদ্দিনের আবেদনের প্রেক্ষিতে মরদেহগুলোর দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে বলে নৌ পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

নিহত যুবকের মরদেহ হস্তান্তর করলো বিএসএফ 

কালকিনিতে খালে ডুবে যাওয়া শিশুর মরদেহ উদ্ধার

আরো পড়ুন: ৮ দিনেও পরিচয় মেলেনি সেই চার মরদেহের

বরিশুর নৌ পুলিশের এসআই মুক্তার হোসেন বলেন, ‍“মরদেহের পরিচয় শনাক্তের জন্য আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি। ফরেনসিক ডিপার্টমেন্টের মাধ্যমে তাদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত চলমান।”

নৌ পুলিশ জানায়, ২৩ আগস্ট দুপুরে কেরাণীগঞ্জের মীরেরবাগ কোল্ড স্টোরেজের কাছের বুড়িগঙ্গা নদীতে ভাসছিল নারীর মরদেহ। তার গলায় কালো রঙের ওড়না পেঁচানো ছিল। পরনে ছিল গোলাপি রঙের সালোয়ার–কামিজ। এক ঘণ্টা পর একই স্থান থেকে ওড়না দিয়ে পেঁচানো তিন বছরের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে সদরঘাট নৌ–পুলিশ। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কেরানীগঞ্জের মাদারীপুর ঘাট এলাকা থেকে দুই তরুণ–তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে কেরানীগঞ্জের বরিশুর ফাঁড়ির নৌ–পুলিশ।

আরো পড়ুন: এখনও মেলেনি বুড়িগঙ্গায় পাওয়া ৪ মরদেহের পরিচয়

মাদারীপুর ঘাট এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া তরুণ-তরুণীর মরদেহের হাত একসঙ্গে বাঁধা ছিল। তরুণের পরনে ছিল লাল রঙের চেক শার্ট ও ট্রাউজার। তরুণীর পরনে ছিল লাল রঙের সালোয়ার ও ছাই রঙের গেঞ্জি। 

রবিবার (৩১ আগস্ট) মোবাইল ফোনে বরিশুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর গাজী মিজানুর রহমান বলেন, “নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। মরদেহগুলো ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের মর্গে সংরক্ষিত রয়েছে।”

আরো পড়ুন: বুড়িগঙ্গায় মিলল নারী-শিশুসহ ৪ লাশ 

নৌ-পুলিশের ঢাকা অঞ্চলের পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘‘দেশের সমস্ত থানায় চারটি মরদেহের ছবিসহ বার্তা পাঠানো হয়েছে। ঢাকা মহানগর ও জেলা পুলিশের নদী সংলগ্ন থানাগুলোতেও বার্তা দেওয়া হয়েছে।’’

ঢাকা/শিপন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ মরদ হ র র মরদ হ বর শ র তর ণ র

এছাড়াও পড়ুন:

আফগানিস্তানে মধ্যরাতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত

আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় হিন্দুকুশ অঞ্চলে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। যুক্তরাষ্ট্র ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এ তথ্য জানিয়েছে। দুই মাস আগেই দেশটিতে এক ভূমিকম্পে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

ইউএসজিএস জানায়, রোববার দিবাগত রাতে আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলে মাজার-ই-শরিফ শহরের কাছে খোলম এলাকায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৫৯ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের গভীরতা প্রথমে ১০ কিলোমিটার বলা হয়। পরে তা সংশোধন করে গভীরতা ২৮ কিলোমিটার বলে জানায় সংস্থাটি।

আফগানিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।

উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছিল। দেশটির পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে ২ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান।

আরও পড়ুনআফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২২০৫, খোলা আকাশের নিচে মানুষ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আফগানিস্তানে প্রায়শই ভূমিকম্প আঘাত হানে। বিশেষ করে হিন্দুকুশ পর্বতমালা বরাবর, যেখানে ইউরেশীয় এবং ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটগুলো মিলিত হয়েছে।

ব্রিটিশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার ভূমিকম্পবিদ ব্রায়ান ব্যাপটির দেওয়া তথ্য মতে, ১৯০০ সাল থেকে উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানে রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার বেশি ১২টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।

আরও পড়ুন৩৫ বছরে আফগানিস্তানে ভয়াবহ যত ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ