বেইজিংয়ে চীনের সবচেয়ে বড় সামরিক কুচকাওয়াজে একসাথে দেখা গেল উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) এই কুচকাওয়াজে উপস্থিত হয়ে তিন নেতা হাত মেলান এবং লাল গালিচায় একসাথে পা রাখেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসানের ৮০ বছর পূর্তিকে ঘিরে এই আয়োজন করা হয়। খবর বিবিসির।

চীনের এই কুচকাওয়াজকে দেখা হচ্ছে শি জিনপিংয়ের কূটনৈতিক সফলতা হিসেবে। কিমের উপস্থিতি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এটি শেষ ছয় বছরে তার মাত্র দ্বিতীয় বিদেশ সফর। এর আগে তিনি কখনো শি ও পুতিনের সাথে একই অনুষ্ঠানে দেখা দেননি।

আরো পড়ুন:

বুলেটপ্রুফ ট্রেনে চীনে প্রবেশ করলেন কিম জং উন

পুতিন-শির সঙ্গে মোদির বৈঠক ‘লজ্জাজনক’: ট্রাম্পের উপদেষ্টা

কুজকাওয়াজ পরিদর্শনের জন্য বেইজিংয়ে আমন্ত্রিত ২৬ জন রাষ্ট্রনেতার নামের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে চীনের স্টেট কাউন্সিল। তাদের মধ্যে আছেন ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট লুয়ং কুয়ং, বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো, ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান, জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট এমারসন মনানগাগওয়া, সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্দার ভুচিচ, কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ ক্যানেল।

তালিকায় আরও আছে মিয়ানমারের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট মিন অং হ্লাইং, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো প্রমুখ রাষ্ট্রনেতার নাম। তবে আমন্ত্রিত ব্যক্তিদের সবাই বেইজিংয়ে গেছেন কি না, সেটা নিশ্চিত করতে পারেনি বিবিসি।

সামরিক কুজকাওয়াজের শুরুতে দেওয়া ভাষণে সি চিন পিং বলেন, “অপ্রতিরোধ্য চীন’কে কোনোভাবেই ভয় দেখানো যাবে না।”

চীন সামরিক কুচকাওয়াজে যেসব নতুন অস্ত্র সামনে এনেছে, তার মধ্যে লেজার অস্ত্র, পারমাণবিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও পানির নিচে পরিচালনায় সক্ষম বিশাল ড্রোন রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুচকাওয়াজ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি লেখেন, “প্রেসিডেন্ট শি এবং চীনের দারুণ মানুষদের জন্য শুভকামনা রইল। ভ্লাদিমির পুতিন এবং কিম জং-উনকে সঙ্গে নিয়ে আপনি যখন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবেন, তখন তাদেরকেও আমার উষ্ণ শুভেচ্ছা পৌঁছে দেবেন।”

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে হারাল বায়ার্ন, চ্যাম্পিয়ন পিএসজির গোল উৎসব

বায়ার্ন মিউনিখ ৩–১ চেলসি

২০১২ সালে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ইতিহাস গড়েছিল চেলসি। ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখকে টাইব্রেকারে হারিয়ে প্রথমবারের মতো পরেছিল ইউরোপসেরার মুকুট।

 তবে এরপর থেকে বায়ার্নের সঙ্গে মুখোমুখি সব ম্যাচেই হেরেছে চেলসি। লন্ডনের ক্লাবটি পারল না আজও। হ্যারি কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে ৩–১ ব্যবধানে হারিয়েছে বায়ার্ন।

আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ম্যাচের ২০ মিনিটে বায়ার্ন প্রথম গোলটা পেয়েছে উপহারসূচক। চেলসির সেন্টার–ব্যাক ট্রেভোহ চালোবাহ নিজেদের জালে বল জড়ালে এগিয়ে যায় বাভারিয়ানরা।

কিছুক্ষণ পরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কেইন। এবার ভুল করে বসেন চেলসির মইসেস কাইসেদো। নিজেদের বক্সে কেইনকে কাইসেদো অযথা ট্যাকল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।

নতুন মৌসুমে গোলের পর গোল করেই চলেছেন হ্যারি কেইন

সম্পর্কিত নিবন্ধ