কক্সবাজারে শত শত হোটেলের ভিড়ে অভিজাত ও নান্দনিক, আধুনিক বিলাসবহুল রিসোর্ট পেতে চাইলে ইনানী লং বে রিসোর্ট হতে পারে আপনার প্রথম পছন্দ। ইনানী সমুদ্র সৈকতে অবস্থিত রিসোর্টটি থেকে আপনি সৈকতের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন। হোটেল বা রিসোর্ট  হিসেবে বিশ্বস্ত ও আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছে ইনানী রয়েল বে রিসোর্ট। তিন তারকা মানের হোটেলটি পর্যটককে প্রকৃত সেবা দিয়ে আসছে। 

কক্সবাজারে ঘুরতে গেলে ভ্রমণপিপাসুরা এখন বেছে নেন এই রিসোর্টিকে। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অপারেশন মাসুদ চৌধুরী নয়ন বলেন, ‘‘ইনানী রয়েল বে রিসোর্ট কেবল কক্সবাজারে নয়, বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী, অভিজাত ও নান্দনিক থ্রি স্টার মানের একটি হোটেল বা রিসোর্ট। আমরা আমাদের গেস্টদের সুযোগ-সুবিধার ব্যাপারে কোনো আপস করি না।”

তিনি আরো বলেন, “কক্সবাজারকে বলা হয় দেশের পর্যটন রাজধানী। বিশাল সমুদ্র। পৃথিবীর দীর্ঘতম সৈকত। যতই মন খারাপ থাকুক, সাগরের বিশালতার সামনে দাঁড়ালে নিমিষেই মন ভালো হয়ে যায়। সঙ্গে প্রিয়জন, পরিবার পরিজন, শুভাকাঙ্ক্ষী, বন্ধুজন থাকলে তো কথাই নেই। কিন্তু ভ্রমণের জায়গাটি হতে হবে নিরাপদ, ঝুট-ঝামেলামুক্ত। এ জন্যই কক্সবাজারে আছে থ্রি স্টার হোটেল ইনানী রয়েল বে রিসোর্ট।’’

সাগরের বিশালতার টানেই হোক কিংবা অবকাশ যাপন, কক্সবাজার সবসময় মুখর থাকে পর্যটকদের অভিবাদন জানাতে। বিপুল পর্যটকদের রাত্রীযাপন নিশ্চিত করতে সমুদ্র সৈকতের কাছে তৈরি করা হয়েছে অসংখ্য আবাসিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট এবং কটেজ। কিন্তু সবগুলোতে নেই পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা। নেই নিরাপত্তা। কথাটি ভুলে গেলে চলবে না। 

প্রতিষ্ঠানটির জিএম এম.

ডি মাইনুল হোসেন খান বলেন, “অনেক সময় দীর্ঘ ছুটির দিনগুলোতে পর্যটকরা রুম পান না। অনেক হোটেলে আছে নানা সমস্যা। কিন্তু ইনানী রয়েল বে রিসোর্ট বা হোটেল এসব দিক থেকে ব্যতিক্রম। আমরা দীর্ঘদিন ধরে একই রকমভাবে গ্রাহকদের তিন তারকা মানের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে আসছি। গেস্টদের নিরাপত্তা ও স্মার্ট সেবায় আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। হোটেলে রয়েছে অসাধারণ সব প্যাকেজ ও আকর্ষণীয় নানা অফার।”

তিনি বলেন, “আমরা গেস্টদের সুযোগ সুবিধার ব্যাপারে আপস করি না। আমাদের প্রতিটি ইউনিট শতভাগ কর্পোরেট, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও আন্তরিক। আমাদের সব সুযোগ-সুবিধার মধ্যে অন্যতম ওয়েলকাম ড্রিংকস, ১২টি আইটেমের সংমিশ্রণে ব্রেকফাস্ট, এসি ও গিজার ফ্যাসিলিটি, আনলিমিটেড ওয়াই-ফাই, ইন রুম মিনারেল ওয়াটার, কফি, চা, সুবিশাল সুইমিং পুল, নিজস্ব রেস্টুরেন্টে মজাদার খাবার, ২৪ ঘণ্টা রুম সার্ভিস ও অন্যান্য সুবিধা। যা আপনি এবং আপনার ভ্রমণকে আবাসনের ক্ষেত্রে করবে নিরাপদ, আনন্দদায়ক ও আরো মনোমুগ্ধকর।”

ইনানী রয়েল বে রিসোর্ট বা হোটেল ইনানী বীচের পাশে, ইনানীতে অবস্থিত। বুকিং এর জন্য যোগাযোগ করুন: ০১৮৫৮-৮৮০৫৫৬, ০১৯৯৫-৫৯৯৮৮৯

তারা//

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সৈকতে নারী পর্যটকদের গোসলের ভিডিও ধারণ, কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের কারাদণ্ড

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে গোসলরত নারী পর্যটকদের ভিডিও ধারণ করার দায়ে রুবেল (৩০) নামে এক কনটেন্ট ক্রিয়েটরকে এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সৈকতের জিরো পয়েন্ট এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসিন সাদীক। এ সময় ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

রুবেল বরগুনা সদর উপজেলার বাসিন্দা। তিনি মুদি দোকানের ব্যবসার পাশাপাশি কনটেন্ট তৈরি করেন।

সৈকতের ফটোগ্রাফার আরিফ মিয়া  বলেন, ‘‘রুবেল নারীদের গোসলের ভিডিও করছিলেন। প্রতিবাদ করলে তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। বিষয়টি দেখত পেয়ে তাকে আটক করি।’’

অপর ফটোগ্রাফার রাসেল বলেন, “রুবেলের মোবাইল চেক করে দেখি, অনেক ভিডিও। সঙ্গে সঙ্গে ট্যুরিস্ট পুলিশকে খবর দেই। পরে তাদের কাছে সোপর্দ করি।’’

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসিন সাদেক বলেন, “অনুমতি ছাড়া নারী পর্যটকদের ভিডিও ধারণের দায়ে রুবেলকে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের অপরাধে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’’

ঢাকা/ইমরান/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সৈকতে নারী পর্যটকদের গোসলের ভিডিও ধারণ, কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের কারাদণ্ড