কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক মহাসড়ক দুই জেলার মানুষের প্রধান যাতায়াতের পথ। কিন্তু প্রায় দুই বছর ধরে সড়কের উন্নয়ন কাজ বন্ধ থাকায় সড়কটি এই অঞ্চলের মানুষের জন্য দুর্ভোগের কারণ হয়ে উঠেছে। সড়কের খানাখন্দ আর দীর্ঘ যানজট সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে।

আগে যেখানে কুমিল্লা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যেতে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা সময় লাগত, এখন সময় লাগছে ৫ ঘণ্টারও বেশি। ফলে ছাত্রছাত্রী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী সবার সময়ের অপচয় হচ্ছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সড়কে আটকে থাকতে হচ্ছে তাদের। 

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) জানায়, সড়কটি চার লেন ও দুই পাশে সার্ভিস লেন করার প্রকল্প ২০২২ সালে একনেকে অনুমোদন হয়। ৫৪ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে ৪০ কিলোমিটার পড়েছে কুমিল্লা জেলায়। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছিল ৭ হাজার ১৮৮ কোটি টাকা। বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ অর্থায়নে ২০২২ সালে কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল এবং ২০২৬ সালের জুনে কাজ শেষ হওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু ভারতের অর্থায়ন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কাজ শুরু শেষ করা যায়নি। প্রকল্প ব্যবস্থাপক আশীষ মুখার্জি বলেন, ‘‘অধিগ্রহণের কাজ চলছে। তবে ভারত বিনিয়োগ করবে না বলে জানিয়েছে।’’

কুমিল্লা সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘‘তহবিল সংকটে প্রকল্প থেমে আছে। তবে সরকার বিকল্প বিনিয়োগকারী খুঁজছে। এর মধ্যে মাঝারি মেয়াদে সংস্কার কাজ শুরু হবে।’’

দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনায় সড়কটি দুর্ঘটনার ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। গত দুই বছরে শুধু কুমিল্লা অংশে ১০৭টি দুর্ঘটনায় ৯২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এ অবস্থায় বাণিজ্যিক কার্যক্রমও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সময়মতো পণ্য সরবরাহ না হওয়ায় ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়ছেন। কৃষকরাও পণ্য বাজারে নিতে দেরি করছেন। শিক্ষার্থী ও রোগীদের জন্যও এই সড়ক এখন ভোগান্তির প্রতীক।
এদিকে দুরবস্থার প্রতিবাদে গত ২৭ আগস্ট স্থানীয়রা ময়নামতি থেকে কোম্পানীগঞ্জ পর্যন্ত ৯টি স্থানে অবরোধ করেন। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন তারা।

ঢাকা/রুবেল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রকল প সড়ক র ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ