ট্রলারে দেরি করে আসায় জেলেদের মারধর, একজনের মৃত্যু
Published: 5th, September 2025 GMT
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সমুদ্রযাত্রার ট্রলারে পৌঁছাতে দেরি করায় তিন জেলেকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে হেলাল হাওলাদার (২৪) নামে এক জেলের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে আলীপুর মৎস্য বাজারের আল-আমিন মৎস্য আড়তে এ ঘটনা ঘটে। নিহত হেলাল পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া থানার তুষখালী গ্রামের হারুন হাওলাদারের ছেলে। আহত দুজন হলেন—সাদ্দাম আকন ও আসাদুল। তারা বর্তমানে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
আরো পড়ুন:
খালিয়াজুরীতে পানিতে ডুবে যুবকের মৃত্যু
সিলেটে ৪ যানের সংঘর্ষে যুবকের মৃত্যু
পুলিশ, নিহত এবং আহতদের স্বজন সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে সাগরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয় মন্টু ফরাজীর মালিকানাধীন ট্রলার। কিন্তু, মঠবাড়িয়া থেকে ওই তিন জেলে আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে আসতে দেরি করেন। রাত ৯টার দিকে পৌঁছান তারা। দেরি করে আসায় মন্টু ফরাজীর নেতৃত্বে তাদের মারধর করা হয়। পরে মাছ ধরার উদ্দেশে সাগরে পাঠানো হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ট্রলারটি তীরে ফিরে আসে। শুক্রবার দুপুরে তিন জেলেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক হেলালকে মৃত ঘোষণা করেন।
মহিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদ হাসান বলেন, ‘‘মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’’
ঢাকা/ইমরান/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যেমন পেশা তেমন কফিন
কোনোটি দেখতে উজ্জ্বল গোলাপি রঙের মাছের মতো, কোনোটি সিংহের মতো। একটি দেখে মনে হবে আস্ত এক উড়োজাহাজ, যেটিতে জাতীয় পতাকা আঁকা। ভাবছেন এসব আবার কী; এগুলোর সবই কফিন।
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ ঘানায় এমন রংবেরঙের কফিনে করে মৃতদেহ সমাহিত করা হয়। স্থানীয় ভাষায় এগুলোর নাম ‘আবেবুও’।
এই কফিনগুলো কেবল মৃতদেহ সমাহিত করার জন্য নয়, বরং তাঁদের জীবনকে এককথায় ফুটিয়ে তুলতে তৈরি করা হয়। এ কারণে একজন কৃষকের কফিন কখনো গাড়ির মতো দেখতে হবে না; বরং তাঁর কফিন হতে পারে তিনি যেসব যন্ত্র দিয়ে চাষ করতেন বা যে ফসল ফলাতেন, সেটির মতো। কফিনটি নিজেই হয়ে ওঠে একটি রূপক, যেটি মৃত ব্যক্তির ফেলে যাওয়া জীবনের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
এসব কফিন সাধারণত কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়। ঘানার আদিবাসী গা সম্প্রদায়ের মধ্যে এভাবে মৃতদেহ সমাহিত করার প্রচলন রয়েছে। ঘানার দক্ষিণ উপকূলীয় অঞ্চল, বিশেষ করে রাজধানী আক্রা এবং এর আশপাশে এ সম্প্রদায়ের বসবাস।
গা সম্প্রদায়ের এই প্রথা এখন দেশজুড়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কেউ মারা গেলে প্রথমে পরিবারের সদস্যরা এক জায়গায় জড়ো হয়ে মৃত প্রিয়জনের সম্মানে কেমন কফিন তৈরি করা হবে, সে সিদ্ধান্ত নেন। তারপর তাঁরা কাঠমিস্ত্রির কাছে যান।
কফিন কেমন হবে, সেটা নির্ভর করে মৃত ব্যক্তির ওপর। যদি তিনি একজন মাছ ব্যবসায়ী হন, তবে তাঁর কফিন হবে মাছের আকৃতির। সিংহের আকারের কফিন কেবল সম্প্রদায়প্রধানদের জন্য সংরক্ষিত, কারণ সিংহ শক্তির প্রতীক।
একটি কফিন তৈরি করতে প্রায় দুই সপ্তাহ সময় লাগে। খরচ শুরু হয় প্রায় ৭০০ ডলার থেকে। তবে কাঠের ধরন এবং নকশার সূক্ষ্মতার ভিত্তিতে খরচ কমে–বাড়ে।
ঘানায় শবযাত্রা একটি প্রাণবন্ত অনুষ্ঠান। পরিবার একে মৃত ব্যক্তিকে শেষবার সম্মান জানানোর সুযোগ হিসেবে দেখে। যে কারণে শবযাত্রায় থাকে গান, নাচ এবং সাংস্কৃতিক প্রদর্শনী।