দেশকে অস্থিতিশীল করার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে: আনিসুল
Published: 6th, September 2025 GMT
জাতীয় পার্টির অফিসে হামলা করে দেশকে অস্থিতিশীল করার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে বলে আশঙ্কা করছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
তিনি বলেন, “আমাদের পার্টি অফিসে বারবার হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা কেবল একটি রাজনৈতিক দলের ওপর আক্রমণ নয় বরং দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, রাজনৈতিক সহনশীলতা এবং আইনের শাসনের ওপর নগ্ন আঘাত। এই ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে।”
আরো পড়ুন:
জাতীয় পার্টির জনপ্রিয়তা ঠেকাতে ষড়যন্ত্র চলছে: মোস্তফা
হামলার জন্য গণঅধিকারকে নিষিদ্ধ করতে হবে: জাপা মহাসচিব
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানী গুলশানে জাতীয় পার্টি আয়োজিত আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় শতভাগ ব্যর্থ হয়েছে।জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা দিতে তারা সম্পূর্ণরূপে অক্ষম প্রমাণিত হয়েছে। এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, যা দেখে মনে হয় দেশে কার্যত কোনো সরকার নেই। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির এভাবে অবনতি হতে থাকলে আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হওয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়।”
জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, “অতি উৎসাহী কতিপয় উশৃঙ্খল গোষ্ঠী পল্লীবন্ধু এরশাদের জাতীয় পার্টির কার্যালয় আগুন দিয়েছে। তারা শুধু পার্টি অফিসে আগুন দেয়নি, আগুন দিয়েছে নামাজের ঘরে, পবিত্র কুরআনে। এই ঘটনায় একজন এরশাদ প্রেমিক রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে শুধু নয়, একজন মুসলমান হিসেবে আমার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। এই জঘন্য নেক্কারজনক ঘটনার নিন্দা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই।”
তিনি বলেন, “পল্লীবন্ধু এরশাদ এদেশের ইসলামের জন্য যে অনন্য অবদান রেখেছেন তা আর কোনো সরকার রাখতে পারিনি। তিনি রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ঘোষণা করেছিলেন, শুক্রবারে সরকারি ছুটি প্রদান করেছিলেন, মসজিদে বিদ্যুতের বিল মওকুপ করেছিলেন। আজ আর সেই এরশাদের পার্টির কার্যালয়ে নামাজের ঘরে আগুন জ্বালানো হয়েছে। যা প্রতিটি মুসলিমের হৃদয় ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। এ ঘটনায় প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিশেষ করে পুলিশ বাহিনী যে ভূমিকা রেখেছে সেজন্য পুলিশ বাহিনীর প্রতি ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”
“এর আগেও সেনাবাহিনী এবং পুলিশ জাতীয় পার্টির অফিসকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য রাষ্ট্র কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের চেষ্টা করেছে। সেজন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।”
হাওলাদার আরো বলেন, “কী কারণে পল্লীবন্ধু এরশাদের স্মৃতি বিজড়িত এই জাতীয় পার্টির অফিসের ওপর বারবার হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটছে তা আমাদের খুঁজে বের করতে হবে।”
“যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত রাজনৈতিকভাবে তারা কি আমাদের শত্রু? আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি তারা আমাদের শত্রু নয়। তাছাড়া রাজনীতিতে কেউ চিরশত্রু নয়। মত পার্থক্য থাকা স্বাভাবিক।কিন্তু কোনো ব্যক্তি বিশেষের অপরাধের দায় পুরো জাতীয় পার্টির পরিবার নিতে পারে না।”
আলোচনা সভা ও দোয়া মাফিলে অংশ নেন জাতীয় পার্টির নির্বাহী চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহিদুর রহমান টেপা, লিয়াকত হোসেন খোকা, জহিরুল ইসলাম জহির, নাজমা আকতার, মো.
দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন গুলশান আজাদ মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা আহসান উল্লাহ।
আরো উপস্থিত ছিলেন এস এম আমিনুল হক সেলিম, তাসলিমা আকবর রুনা, জহিরুল ইসলাম, জিয়া উর রহমান বিপুল, মিজানুর রহমান, মাসুম, আব্দুস সাত্তার, আলমগীর হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মামুনুর রশিদ, সালমান, সাইফুল ইসলাম শোভন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন ত ক র রহম ন ল ইসল ম আম দ র সরক র এরশ দ
এছাড়াও পড়ুন:
আপনার এত সাহস হয় কী করে, সাংবাদিককে নায়িকা
ভারতীয় সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী লক্ষ্মী মাঞ্চু। তার পরবর্তী সিনেমা ‘ঢাকসা’। এ সিনেমার মুক্তি উপলক্ষে নানা ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন ৪৭ বছরের এই অভিনেত্রী। কয়েক দিন আগে গ্রেট অন্ধ্রকে সাক্ষাৎকার দেন লক্ষ্মী। এ আলাপচারিতার পোশাক নিয়ে প্রশ্ন করায় লক্ষ্মী বলেন— “আপনার এত সাহস হয় কী করে!”
মুম্বাইয়ে যাওয়ার ফলে কি আপনার পোশাকের স্টাইলে কোনো প্রভাব পড়েছে? এ প্রশ্নের জবাবে লক্ষ্মী বলেন, “আমি আমেরিকাতে থেকেছি। সেখান থেকে হায়দরাবাদে, এখন মুম্বাইয়ে আছি। আমি কঠোর পরিশ্রম করেছি নিজেকে এইভাবে উপস্থাপন করার জন্য। এই পরিশ্রম আমাকে আত্মবিশ্বাসী করেছে, যা আমাকে আমার মতো পোশাক পরতে উৎসাহ দেয়।”
এরপর সাংবাদিক সরাসরি লক্ষ্মীর পোশাক নিয়ে প্রশ্ন করেন, জবাবে এই অভিনেত্রী বলেন, “আপনি কি একজন পুরুষকে একই প্রশ্ন করতেন? আপনার এত সাহস হয় কী করে! আপনি কি মহেশ বাবুকে বলতেন—‘আপনার তো এখন ৫০ বছর বয়স, তাহলে আপনি কেন জামা খুলে ছবি তুলছেন?’ তাহলে একজন নারীকে কেন এই প্রশ্ন? মানুষ আপনার এই প্রশ্ন থেকে কী শিখবে? একজন সাংবাদিক হিসেবে আপনার দায়িত্বশীল হওয়া উচিত।”
পরে সাংবাদিক স্বীকার করেন যে, এই ধরনের প্রশ্ন একজন অভিনেতাকে করতেন না। প্রশ্নটি করার কারণ ব্যাখ্যা করে সাংবাদিক জানান, তার পোশাক নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা ধরনের চর্চা চলছে, যার কারণে এই প্রশ্ন সামনে নিয়ে আসা।
লক্ষ্মী মাঞ্চুর অন্য পরিচয় তিনি তেলেগু সিনেমার বরেণ্য অভিনেতা মোহন বাবুর কন্যা। ৫০ বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারে অসংখ্য সিনেমায় অভিনয় করেছেন মোহন বাবু। ব্যক্তিগত জীবনে বিদ্যা দেবীর সঙ্গে ঘর বাঁধেন তিনি। এ সংসারে রয়েছে কন্যা লক্ষ্মী ও পুত্র বিষ্ণু মাঞ্চু। তারা দুজনেই অভিনয়শিল্পী।
তথ্যসূত্র: দ্য ফ্রি প্রেস জার্নাল
ঢাকা/শান্ত