পাবনায় সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বহালের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ
Published: 7th, September 2025 GMT
পাবনা-১ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বহালের দাবিতে ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন পাবনার বেড়া উপজেলার বাসিন্দারা।
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বেড়ার সিএন্ডবি মোড়ে মহাসড়ক অবরোধ করেন তারা। দুপুর ১২টা পর্যন্ত অবরোধ চলছিল।
আরো পড়ুন:
বরিশালে ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ
৫ ঘণ্টা পর ফরিদপুরের ২ মহাসড়কে যান চলাচল শুরু
অবরোধে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ শত শত মানুষ অংশ নিয়েছেন। এসময় তারা ‘সীমানা বদল নয়, জনগণের অধিকার চায়’, ‘পাবনা-১ এর সীমানা কারো একক সম্পদ নয়’, ‘জনগণের কণ্ঠস্বর, দমিয়ে রাখা যাবে না’, ‘গণদাবি অমান্য হলে গণআন্দোলন’, ‘নির্বাচন কমিশনের অবৈধ গেজেট, মানি না মানব না’, ‘বেড়া-সাঁথিয়ার বৈষম্য মানি না, মানব না’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন।
বেড়া পৌর বিএনপির সভাপতি ফজলুর রহমান ফকির জানান, সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে পাবনা-১ আসনকে ভাগ করা হয়েছে। শুধু সাঁথিয়া উপজেলাকে পাবনা-১ আসন করা হয়েছে। বেড়া উপজেলাকে পৃথক করে পাবনা-২ আসনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। বেড়া উপজেলার জনগণের ব্যবসা-বাণিজ্যসহ নানা কারণে সাঁথিয়ার সঙ্গে যুক্ত।
অবরোধে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বেড়া পৌর বিএনপির সভাপতি ফজলুর রহমান ফকির, সিনিয়র সহ-সভাপতি সাজেদুল ইসলাম বিপু, সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন ইকবাল ও সাংগঠনিক সম্পাদক আকশেদ আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মইন উদ্দিন খাজা।
বেড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ কে এম হাবিবুল ইসলাম জানান, সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বহালের দাবিতে অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন লোকজন। পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে।
ঢাকা/শাহীন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আসন র স অবর ধ উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’
তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’
অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’
আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’
ঢাকা/আসাদ/রাজীব