বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বিভিন্ন কোম্পানির আকর্ষণীয় দাম বৃদ্ধির লোভ দেখিয়ে বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে প্রতারক চক্র। এই ধরনের প্রতারক চক্রের লোভনীয় অফার থেকে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ।

একইসঙ্গে বিনিয়োগকারীদের জেনে ও বুঝে বিনিয়োগ করার অনুরোধ জানিয়েছে পুঁজিবাজারের এ প্রাইমারি রেগুলেটর।

আরো পড়ুন:

পুঁজিবাজারে সালমান-সায়ান-শিবলী আজীবন নিষিদ্ধ, আদেশ জারি

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস গুরুত্বপূর্ণ: ডিএসই পরিচালক

রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ডিএসইর উপ-মহাব্যবস্থাপক মো.

শফিকুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বর্তমানে সরকার, বিএসইসি, ডিএসই ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও কর্মতৎপরতায় পুঁজিবাজার তার নিজস্ব গতি ফিরে পেয়েছে৷ একটি গতিশীল বাজারকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে এক শ্রেণির কারসাজি চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপকে বেছে নিয়েছে।

কিছু দিন আগে ডিএসই’র নাম, ঠিকানা, লোগো ব্যবহার করে হোয়াটঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে অভিনব কায়দায় প্রতারণা চালিয়ে ছিল। ডিএসইর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নিয়ে বিনিয়োগকারী তথা পুঁজিবাজারের স্বার্থে রেগুলেটর, সকল ব্রোকাজের হাউজ, সিডিবিএল, ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানে চিঠির মাধ্যমে অবগত করেছে এবং বিনিয়োগকারীদের সচেতনতার লক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলনও করা হয়েছে। এমনকি ডিএসইর ওয়েবব্যানারেও এই ধরনের প্রতারণা থেকে সাবধানতা অবলম্বনের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। এছাড়াও ক্ষিলক্ষেত থানায় এ ব্যাপারে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে, র‌্যাবকেও অবহিত করা হয়েছে এবং সক্রিয় প্রতারক চক্রকে গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারিতে আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, বর্তমানে প্রতারক চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বিভিন্ন কোম্পানির আকর্ষণীয় দর বৃদ্ধির লোভ দেখিয়ে বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং দণ্ডনীয় অপরাধ। এই ধরনের প্রতারক চক্রের লোভনীয় অফার থেকে সতর্ক থাকুন। অসাধু চক্রের পাল্লায় পরে আপনার কষ্টার্জিত অর্থ বিনিয়োগ করে প্রতারিত হবেন না। তাই সবসময় প্রতারণা থেকে সতর্ক থাকুন এবং জেনে ও বুঝে বিনিয়োগ করুন।

ঢাকা/এনটি/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সতর ক থ ক ড এসই

এছাড়াও পড়ুন:

পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ১১ হাজার ১০ কোটি টাকা

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (২৬ থেকে ৩০ অক্টোবর) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এ সময়ে ডিএসই ও সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। তবে বিদায়ী সপ্তাহে উভয় পুঁজিবাজারে বাজার মূলধন বেশ কমেছে  ১১ হাজার ১০ কোটি ২০ লাখ টাকা।

শনিবার (১ নভেম্বর) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৭.৬৭ পয়েন্ট বা ০.৫৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১২২ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ১০.৩৪ পয়েন্ট বা ০.৫২ শতাংশ কমে ১ হাজার ৯৮৭ পয়েন্টে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৫.৯২ পয়েন্ট বা ০.৫৪ শতাংশ কমে ১ হাজার ৮২ পয়েন্টে এবং ডিএসএমইএক্স সূচক (এসএমই ইনডেক্স) ৩৩.৭২ পয়েন্ট বা ৩.৩৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৯৭৬ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৫৪৭ কোটি ১১ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৫ হাজার ৩৪৩ কোটি ৩ লাখ কোটি টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৫ হাজার ৭৯৫ কোটি ৯১ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ২৮৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ১৩৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১৪৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯২টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৭৭টির, দর কমেছে ১৭৯টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬টির। তবে লেনদেন হয়নি ২১টির।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১২৭.৩৩ পয়েন্ট বা ০.৮৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ২৮৬ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ০.৫৯ শতাংশ কমে ১২ হাজার ৬৫১ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স সূচক ০.৭৭ শতাংশ কমে ৮ হাজার ৮১৩ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ০.৯৮ শতাংশ কমে ৮৯৮ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স (এসএমই ইনডেক্স) ২.৮০ শতাংশ কমে ১ হাজার ৯৪৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৭০৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৩ হাজার ৯১৭ কোটি ৯২ লাখ টাকা। টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৫ হাজার ২১৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ৯৮ কোটি ২৪ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৬৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৩০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ৩০৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১১৫টির, দর কমেছে ১৭০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টির শেয়ার ও ইউনিট দর।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ডিএসইতে সাপ্তাহিক দাম বাড়ার শীর্ষে আনোয়ার গ্যালভানাইজিং
  • ডিএসইতে সাপ্তাহিক দাম কমার শীর্ষে প্রিমিয়ার লিজিং
  • ডিএসইতে সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে সিভিও ওরিয়ন ইনফিউশন
  • ডিএসইর পিই রেশিও কমেছে ১ শতাংশ
  • পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ১১ হাজার ১০ কোটি টাকা