ছেলের বিরুদ্ধে বাবার দায়ের করা অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানার তিন পুলিশ সদস্য মারধরের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে।

রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলার জাগীর ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, মানিকগঞ্জ সদর থানার সাব ইন্সপেক্টর কামাল হোসেন, পুলিশ কনস্টেবল সুজন মিয়া ও সাইফুল হোসেন।

আরো পড়ুন:

ডাকসু নির্বাচন: যানবাহন চলাচলে ডিএমপির নির্দেশনা

ডাকসু নির্বাচনে দুই হাজার পুলিশ মোতায়েন থাকবে: ডিএমপি কমিশনার

মানিকগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত এবং তার পরিবারের কাছে মারধরের শিকার হয়েছেন তিন পুলিশ সদস্য। অভিযুক্ত এবং তার ছেলেকে তৎক্ষণাৎ আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা করা হয়েছে।

মহেশপুর গ্রামের বাসিন্দা মঙ্গল হোসেন (৮০) তার সন্তানের নামে ভরণপোষণ না দেওয়া এবং বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার লিখিত অভিযোগ করেন। এ অভিযোগ তদন্তের জন্য রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সদর থানার এসআই কামাল হোসেন এবং দুই কনস্টেবল অভিযোগকারীর এলাকায় যান। সেখানে মঙ্গল হোসেনের ছেলে গিয়াস উদ্দিনের (৫৩) সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। এর এক পর্যায়ে অভিযুক্ত গিয়াস উদ্দিন এবং তার পরিবারের কাছে মারধরের শিকার হন ওই তিন পুলিশ সদস্য।

এ ঘটনা সদর থানা পুলিশকে জানালে অতিরিক্ত পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে গিয়াস উদ্দিন ও তার ছেলে রনি মিয়াকে (১৮) আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

আহত তিন পুলিশ সদস্যকে চিকিৎসার জন্য মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তারা চিকিৎসা নেন। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘‘মারধরের শিকার হয়ে তিনজন চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে এসআই কামাল হোসেন তুলনামূলক বেশি আহত হয়েছেন। তার নাক ফেটে গেছে। বাকি দুইজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’’

ঢাকা/চন্দন/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আহত ত ন প ল শ সদস য ম রধর র শ ক র ম ন কগঞ জ সদর থ ন র

এছাড়াও পড়ুন:

শরীয়তপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, শতাধিক হাতবোমা বিস্ফোরণ

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় বিবাদমান দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় শতাধিক হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এক যুবদল নেতাসহ কয়েকজন আহত হয়েছে। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা জানায়, জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের চেরাগ আলী বেপারিকান্দি এলাকার ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য নাসির বেপারী এবং তাজুল ছৈয়ালের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। রবিবার (২ নভেম্বর) সকালে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। উভয়পক্ষের লোকজন হাতবোমা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে বেশ কয়েকটি বসতবাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। হাতবোমার আঘাতে যুবদল নেতা সালাউদ্দিন বেপারী, কামাল বেপারীসহ কয়েকজন আহত হয়েছে। আহত দুইজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ দুইজনকে আটক করেছে। 

আরো পড়ুন:

ড্যাফোডিল-সিটি ইউনিভার্সিটি সংঘর্ষ: শিক্ষার্থীদের আসামি করে পাল্টাপাল্টি মামলা

শিশুদের ঝগড়া থেকে বড়দের সংঘর্ষ, আহত ৫০

জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘‘আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। বেশ কিছু হাতবোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। দুইজনকে আটক করা হয়েছে।’’ 

তিনি আরো বলেন, ‘‘যারা এই নাশকতা চালিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ 

ইউপি সদস্য নাসির বেপারীর স্ত্রী সাবিনা আক্তার বলেন, ‘‘আমরা বাড়িতে বাচ্চাদের নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলাম। বোমার শব্দে ঘুমে ভেঙে যায়। উঠে দেখি আমাদের বাড়িতে বোমা হামলা হচ্ছে। জানালার গ্লাস ভেঙে ধোঁয়ার রুম ছড়িয়ে পড়েছে। আমাদের প্রতিপক্ষের লোকজন তাজুল ছৈয়াল, মমতাজ বেপারী, মন্নাপ বেপারী, সুজন, রনি ভূঁইয়া, টিপু মাদবর হামলা চালিয়েছে।’’ তিনি দোষীদের বিচারের দাবি জানান। 

আহত সালাউদ্দিনের স্ত্রী সুমি বলেন, ‘‘আমার স্বামী ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। বোমার শব্দে জানালার কাছে গেলে তিনি গুরুতর আহত হয়েছেন। পরিকল্পিতভাবে এই হামলা হয়েছে।’’ তিনি জীবনের নিরাপত্তার পাশাপাশি দোষীদের শাস্তি চান। 

উল্টো অভিযোগ করেছেন চম্পা আক্তার নামের এক নারী। তিনি বলেন, ‘‘সালাউদ্দিন বেপারী, নাসির বেপারী, ইব্রাহিম বেপারীরা আমাদের বাড়িঘরে বোমা হামলা করেছে। তারা আমাদের হুমকি দিয়েছে, বাড়িঘরে থাকতে দেবে না। আমরা এলাকায় শান্তি চাই।’’ যারা হামলার সঙ্গে জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি। 

তাজুল ছৈয়ালের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। ঘরটি তালাবদ্ধ ছিল। 

ঢাকা/আকাশ/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শরীয়তপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, শতাধিক হাতবোমা বিস্ফোরণ