অনলাইন ডেটিংয়ে ৬টি বিষয় মেনে চলার চেষ্টা করুন
Published: 9th, September 2025 GMT
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে দুই প্রান্তের দুইজন অচেনা মানুষ অনেক সময় একজন আরেকজনের প্রেমে পড়ে যান। অনলাইন ডেটিংয়ের মাধ্যমে একটু একটু করে এগিয়ে যায় সেই সম্পর্ক। ডেটিংয়ের শুরুর দিকটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। শুরুতেই ভুল হলে সম্পর্ক বেশিদূর এগোয় না, কারণ অন্যপক্ষ আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। যারা অনলাইন ডেটিংয়ে নতুন, তারা কয়েকটি দিক মনে রাখতে পারেন।
সঙ্গে সঙ্গে উত্তরের আশা করবেন না
অনলাইন ডেটিংয়ের ক্ষেত্রে কারও সঙ্গে কথা বলতে চাইলে এক বার বার্তা পাঠানোর পর অন্তত তিন-চার ঘণ্টা সময় দিন উত্তরের জন্য। তার কাছ থেকে সঙ্গে সঙ্গে উত্তরের আশা না করাই ভাল। শুরুর দিকে কথা সংক্ষিপ্ত করুন। তাকে বার বার মেসেজ করে বিরক্ত করবেন না। যদি বিরক্ত করেন, তাহলে তিনি প্রথম থেকেই আপনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারেন।
খুব বেশি অপেক্ষা করাবেন না
আপনি যদি প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যান তাহলে উল্টো দিকের মানুষটির উত্তর আসার পর ধন্যবাদ জ্ঞাপন করুন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অবশ্যই আবার একবার কথা বলুন তার সঙ্গে।
আরো পড়ুন:
মেঘভাঙা বৃষ্টি শুরু হয় কীভাবে?
ফিটনেস রুটিনে পরিবর্তন আনার কার্যকর উপায় জেনে নিন
ফোন নম্বর চাওয়ার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত আগ্রহ না দেখানোই ভালো
ফোন নম্বর চাওয়ার বিষয়ে অতিরিক্ত আগ্রহ দেখাবেন না। প্রথম ক’দিন ডেটিং সাইটেই কথা বলুন।
অপর প্রান্তের মানুষের পছন্দ-অপছন্দ জানার আগ্রহ দেখান
কারও সঙ্গে কথা বলতে শুরু করলে নিজের সম্পর্কে ভালো ভালো কথা না বরে, অন্য প্রান্তের মানুষটির পছন্দ-অপছন্দের বিষয়ে জানার আগ্রহ দেখান। সারাক্ষণ নিজের সম্পর্কে বলে চললে তিনি আপনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারেন।
তার ভালো দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করুন
অনলাইনে আলাপ শুরু হওয়ার পরে প্রথমেই দেখা করার জন্য উদ্গ্রীব হবেন না। আগে দুইজন-দুইজনকে জানার চেষ্টা করুন। তাকে বিভিন্ন রকম প্রশ্ন করুন। অপরপ্রান্তের মানুষটিকে খুশি করার জন্য তার ভাল দিকগুলি নিয়ে আলোচনা করুন। এ ভাবে আগে মন জয় করুন। তার পরেই দেখা করার প্রস্তাব দিন।
নিজে আগ্রহ হারালে তাকে স্পষ্ট জানিয়ে দিন
আর কথা এগোতে না চাইলে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিন। অযথা কারও সময় নষ্ট করবেন না।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
স্বামী–স্ত্রীর ঝগড়া ঠেকাতে কী পরামর্শ দিলেন এই বিশেষজ্ঞ
সঙ্গীকে ঠিকমতো বুঝতে না পারাটাকেই অনেকে দাম্পত্য কলহের অন্যতম কারণ মনে করেন; কিন্তু ব্যাপার আসলে উল্টো। সঙ্গীকে নয়; বরং নিজেকে বুঝতে না পারলেই সঙ্গীর সঙ্গে ঝগড়া হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। ঘন ঘন ঝগড়া হলে সঙ্গীর দোষ খোঁজার আগে নিজের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে হবে। সঙ্গীর প্রতি নিজের আচরণ নিয়ে ঠান্ডা মাথায় ভাবতে হবে। নিজেকে শোধরানোর চেষ্টা করতে হবে।
সঙ্গীর ব্যক্তিস্বাধীনতা নষ্ট করা যাবে না। এটি অত্যন্ত খারাপ মানসিকতা। সঙ্গীর কোনো কিছু আপনার অপছন্দ হলে তাকে বুঝিয়ে বলুন। সম্ভব হলে নিজে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করুন। সম্পর্কে দুজনকেই ছাড় দিতে হবে। অন্যের ওপর জেদ দেখালে ঝগড়া আরও বাড়বে।
আরও পড়ুনযেভাবে তৈরি হলো সংসদ ভবন১ ঘণ্টা আগেনিজের সিদ্ধান্ত সঙ্গীর ওপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। যেকোনো পারিবারিক বা অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সঙ্গীর সঙ্গে আলোচনা করুন। আপনার মতামত তাঁকে খুলে বলুন, তাঁর মতামতকেও গুরুত্ব দিন। কিছু করার আগে সঙ্গীর সম্মতি নিন। প্রয়োজন মনে না করলেও আলোচনা করুন, এতে আপনার প্রতি বিশেষ অনুভূতি জন্মাবে। এসব ছোট বিষয় আপনার দাম্পত্য সম্পর্কে ভালোবাসা ও আস্থা বাড়বে।
সঙ্গীর কোনো কিছু আপনার অপছন্দ হলে তাকে বুঝিয়ে বলুন