ফতুল্লার মাসদাইরে কিশোর গ্যাং লিডার নাহিয়ান আজম ইভন হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার নাম রাতুল ওরফে টুটুল (২৯)। সোমবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে ফতুল্লার ইসদাইর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এরআগে সোমবার রাত নয়টার দিকে এ মামলার এজাহার নামীয় প্রধান আসামী সাইফুল ওরফে পাগলা সাইফুল কে মাসদাইর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এনিয়ে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তারকৃত এজাহারনামীয়  আসামি রাতুল ওরফে টুটুল ফতুল্লা মডেল থানার ইসদাইর বাজারস্থ শহিদ ভিলার ভাড়াটিয়া আলম শিকদারের পুত্র।  মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের কে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

জানা যায়, রোববার রাত নয়টার দিকে নিহত কিশোর গ্যাং লিডার নাহিয়ান আজম ইভন তার দুই বন্ধু সিয়াম এবং নাছিম কে নিয়ে মোটর সাইকেল নিয়ে ইসদাইর থেকে জামতলার দিকে যাচ্ছিলো। পশ্চিম ইসদাইরস্থ পৌর স্টেডিয়ামের গেইটে পৌছানো মাত্র পূর্ব শত্রুতার জের ধরে

এজাহারনামীয় আসামী সাইফুল ওরফে পাগলা সাইফুল, তার দুই ভাই আনোয়ার হোসেন বাবু, শফিকুল ইসলাম, এবং সহোযোগি শুক্কুর ও রাতুল ওরফে টুটুল, রাজু সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩-৪ জন সন্ত্রাসী  ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ইভন মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে তাকে টেনে হিচড়ে মোটর সাইকেল থেকে নামিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে কোপায়। 

ইভন কে রাস্তায় ফেলে রেখে তার ব্যবহৃত মোটর সাইকেল  ও লুট করে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরবর্তীতে ইভন কে প্রথমে শহরের খানপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় নিহত নাহিয়ান আজম ইভনের বাবা এস.

এম বাবু বাদী হয়ে শফিকুল ইসলাম, সাইফুল ওরফে পাগলা সাইফুল, আনোয়ার হোসেন বাবু এবং সহোযোগি শুক্কুর ও রাতুল ওরফে টুটুল,রাজু সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩-৪ জন কে অভিযুক্ত করে ফতুল্লা মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) হাছিনুজ্জামান গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মামলার অধিকতর তদন্তের স্বার্থে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েগ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে কে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা বেশ কিছু গুরত্বপূর্ণ তথ্য  প্রদান করেছে।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: হত য ন র য়ণগঞ জ র ত ল ওরফ ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ