আগামী নির্বাচনে ভোট দেবেন প্রবাসীরা: ইসি সচিব
Published: 9th, September 2025 GMT
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার নিশ্চয়তা দিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, “প্রবাসীরা এবার বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনে ভোট দেবেন-এইটুকু আমরা বলতে পারি ইনশাআল্লাহ। আমাদের সে জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা আছে।”
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরের সামনে এক সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
বাগেরহাটে বুধ ও বৃহস্পতিবার হরতালের ডাক
পৃথিবীর কোনো শক্তি নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না: প্রেস সচিব
আখতার আহমেদ বলেন,“আউট অফ কান্ট্রি ভোটিংয়ের ব্যাপারে আপনারা জানেন যে আমরা দুটি প্ল্যাটফর্ম করছি। একটা হচ্ছে-প্রবাসে বাংলাদেশি যারা আছেন এনআইডি ধারী তারা নিবন্ধন করবেন। আরেকটা হচ্ছে-দেশের অভ্যন্তরে যারা আছেন, যারা নির্বাচন কাজের সংশ্লিষ্টতার সঙ্গে জড়িত বা আইনি হেফাজতে আছেন এই ক্যাটাগরির জন্য। ইনকান্ট্রি পোস্টাল ব্যালট সিস্টেমটা আমরা ইন্ট্রোডিউস করব। এর অ্যাপটা তৈরি করা হচ্ছে বা এর প্ল্যাটফর্মটা তৈরি করা হচ্ছে।প্ল্যাটফর্মটা তৈরি করার সঙ্গে সঙ্গে এটা আমরা আবারো আপনাদের নিয়মিতভাবে এটা ব্রিফিং করব।”
রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রসঙ্গে ইসির সিনিয়র এই সচিব বলেন, “২২টা রাজনৈতিক দলের মাঠ পর্যায় থেকে তথ্য আমরা সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন জায়গায় যে সমস্ত কাগজপত্র পাঠিয়েছিলাম, সেগুলো নিয়ে এসেছে। আমরা এখানে একটা ব্রডশিটে বিষয়টাকে সন্নিবেশ করে আগামীকালের ভেতরে কমপ্লিট করে কমিশনে দেব এবং তারপরে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।”
দলীয় প্রতীক বরাদ্দের বিষয়ে তিনি বলেন, “প্রতীক সংক্রান্ত একটা বিধিমালা সংশোধনের প্রস্তাব এখনো আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ উইং এ অপেক্ষমাণ। আমরা আশা করছি, এটা তাড়াতাড়ি আসবে। কারণ আমাদের রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের সঙ্গে প্রতীকের একটা সম্পর্ক আছে।”
এছাড়া বয়স ১৬ বছর পূর্ণ হলেই জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব আখতার আহমেদ।
তিনি বলেন, “যার বয়স ১৬ বছর পূর্ণ হবে তিনিই আবেদন করতে পারবেন এখানে ওই পয়লা জানুয়ারি পয়লা মার্চ বা এরকম কোনও কিছু নাই। তবে ভোটের নিয়ম সাংবিধানিকভাবে ১৮ বছর। সেক্ষেত্রে তারা ভোট দিতে পারবেন না।”
তিনি আরো বলেন, “যে এনআইডি কার্ড হারিয়ে গেলে জিডি করার একটা প্রভিশন ছিল, ওটাকে আমরা বলেছি—এটা লাগবে না। মানুষের অসুবিধার হয়, সময় ও সুযোগের স্বল্পতা আছে। তার থেকে বরং জিডি ছাড়াই দ্বিতীয়টা কার্ড পাওয়ার সুবিধা আছে।”
ঢাকা/আসাদ/সাইফ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শেরপুর নির্বাচন অফিসে রোহিঙ্গা আটক
শেরপুর ভুয়া নাম-পরিচয় ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) করতে গিয়ে এক রোহিঙ্গা আটক হয়েছেন। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আটকের পর তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন জেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা।
আটক ব্যক্তির নাম মো. আমিন। তিনি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। তার বাবার নাম জাহিদ হোসেন।
আরো পড়ুন:
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্থায়ী প্রত্যাবাসনে ‘বাস্তব পদক্ষেপ’ চায় ওআইসি
৪০ দেশের প্রতিনিধিদের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, আলম মিয়া নাম ব্যবহার করে উখিয়ার টাংহালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক ব্যক্তি এনআইডি করতে শেরপুর জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করেন। সেখানে তিনি বাবার নাম আলী হোসেন উল্লেখ করেন এবং শেরপুর পৌরসভার কসবা মোল্লাপাড়া ও শিবুত্তর এলাকার বাসিন্দা হিসেবে দাবি করেন। কথাবার্তা ও নথিপত্র যাচাইয়ের সময় সন্দেহ হলে কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় ওই ব্যক্তি নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন।
শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “তার কাগজপত্র দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। তার ভাষাগত বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন।”
আটক মো. আমিন বলেন, “আমি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি ক্যাম্পে থাকি। এ দেশের নাগরিক হওয়ার আশায় ভোটার আইডি কার্ড করতে শেরপুরে এসেছিলাম। কাজের জন্য পরিচয়পত্র পেলে সুবিধা হবে ভেবেই আলম নামে আবেদন করেছি।”
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, “রোহিঙ্গা ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার সঙ্গে স্থানীয় কেউ জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইনগত ব্যবস্থা চলমান।”
ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ