চার আসন বহালের দাবিতে বাগেরহাটে নতুন কর্মসূচি
Published: 11th, September 2025 GMT
বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহালের দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চার দিনের আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন সংগঠনটির সদস্য সচিব শেখ মো. ইউনুস।
নতুন কর্মসূচি অনুযায়ী, আগামী রবিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সব সরকারি অফিস ও আদালত ঘেরাও করে অবস্থান করা হবে। এরপর সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত টানা তিন দিন হরতাল পালন করা হবে। তবে, রাতে সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।
সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির সদস্য সচিব শেখ মো.
এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি প্রাথমিক কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল। তার ধারাবাহিকতায় নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে তিনটি আসনের প্রস্তাব দেয়। এর পর থেকে বাগেরহাটের সর্বস্তরের মানুষ আন্দোলন শুরু করে। চার আসন বহালের দাবিতে বাগেরহাটবাসী নির্বাচন কমিশনের শুনানিতেও অংশ নেন। কিন্তু, ৪ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত চূড়ান্ত গেজেটে সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসনই বহাল রাখা হয়।
চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী বাগেরহাট-১ (বাগেরহাট সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৩ (কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসন রাখা হয়েছে। দীর্ঘদিন থেকে বাগেরহাটে চারটি আসনে নির্বাচন হয়ে আসছিল। তখনকার আসনবিন্যাস ছিল— বাগেরহাট-১: চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট, বাগেরহাট-২: বাগেরহাট সদর-কচুয়া, বাগেরহাট-৩: রামপাল-মোংলা, বাগেরহাট-৪: মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা।
ঢাকা/শহিদুল/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বাগেরহাটে ৪ আসন বহালের দাবিতে হাইকোর্টে রিট
বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং একটি আসন কমিয়ে তিনটি আসন করার নির্বাচন কমিশনের গেজেট কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী ১০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
মানিকগঞ্জে কৃষিজমির মাটি কাটার বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
ডাকসু নির্বাচন স্থগিত চেয়ে করা ছাত্রলীগ নেতার রিট বাতিল
বাগেরহাট প্রেস ক্লাব ও অন্যান্যদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন রিট পিটিশন দাখিল করেন। এছাড়া চিতলমারী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাগেরহাট ১ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মুজিবর রহমান শামীমের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ আক্তার রসুল একই বিষয়ে পৃথক রিট পিটিশন করেন।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও বাগেরহাট জেলা বিএনপির নেতা ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, “আমরা রিট পিটিশন করেছি। আদালত আমাদের কথা শুনেছেন এবং ১০ দিনের রুল জারি করেছেন। আশা করি, আদালতে ন্যায়বিচার পাব এবং বাগেরহাটের চারটি আসন বহাল থাকবে।”
গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকে বাগেরহাটের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠন আন্দোলন শুরু করে। চারটি আসন বহালের দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতেও অংশ নেয় তারা।
তবে ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসন রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে।
চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী বাগেরহাট-১ (সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৩ (কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) নির্ধারণ করা হয়। অথচ দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট), বাগেরহাট-২ (সদর-কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) এবং বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
ঢাকা/শহিদুল/বকুল