৫০ এর টিকিট ৫০০ টাকায় বিক্রির অভিযোগে কক্সবাজারে স্টেডিয়ামে ভাঙচু
Published: 12th, September 2025 GMT
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ শুরু হওয়ার আগেই ভাঙচুর ও সংঘর্ষে পণ্ড হয়ে গেছে। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে টেকনাফ উপজেলা ফুটবল দল ও রামু উপজেলা ফুটবল দলের মধ্যকার খেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আসন সংখ্যার চেয়ে বেশি টিকিট বিক্রি ও ৫০ টাকার টিকিট ৫০০ টাকায় বিক্রির অভিযোগে দর্শকের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খেলা শুরু হওয়ার আগেই গ্যালারি ভেঙে মাঠে ঢুকে পড়েন তারা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও ক্ষুব্ধ দর্শকরা স্টেডিয়ামের বাইরে গিয়ে এবং গ্যালারি থেকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এতে স্টেডিয়ামের কাচ ভেঙে যায় এবং অন্তত ২০ জন আহত হন। আহতদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কক্সবাজার ক্রীড়া সংস্থার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, “কিছু উচ্ছৃঙ্খল দর্শক স্টেডিয়ামে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে ভাঙচুর চালিয়েছে।”
কক্সবাজার সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইলিয়াস খান বলেন, ‘‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক টিম কাজ করছে।’’
ঢাকা/তারেকুর/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পূজাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।
সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য।
সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।
এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।
এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।