পদ্মা সেতু ও কালনা মধুমতি সেতু চালুর পর থেকে কালনা-নড়াইল-যশোর-বেনাপোল পর্যন্ত মহাসড়কটিতে যানবাহনের চলাচল কয়েকগুণ বেড়েছে। এ কারণে সড়কের শৃঙ্খলা ফেরাতে এবং দুর্ঘটনা কমাতে নিয়মিত চেকপোস্ট বসিয়ে তদারকি চালিয়ে যাচ্ছে নড়াইলের তুলারামপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ।

এসব তদারকিতে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত ৯৮১টি অবৈধ যান বাহনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এবং জরিমানা আদায় হয়েছে ৩৫ লাখ ৬ হাজার ৫০০ টাকা।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে সরেজমিনে হাইওয়ে পুলিশ চেকপোস্টে গিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন যানবাহন থামিয়ে প্রতিটি গাড়ির ফিটনেস, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও কাগজপত্র পরীক্ষা করছেন কর্মকর্তারা। একই সঙ্গে নিরাপদ গতিতে গাড়ি চালানো, হেলমেট ব্যবহারসহ সচেতনতামূলক বার্তাও পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে চালকদের মাঝে।

২০২২ সালের ২৬ জুন পদ্মা সেতু দিয়ে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। ওই বছরের ১০ অক্টোবর কালনা ঘাটে কালনা-মধুমতি সেতু চালুর পর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় সব যানবাহন এই মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করতে শুরু করে। 

তবে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত সড়ক প্রশস্ত করা হলেও, ভাঙ্গা থেকে বেনাপোল পর্যন্ত ১২৯ কিলোমিটার রাস্তা সরু রয়ে গেছে। এতে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।

নড়াইল-তুলারামপুর হাইওয়ে থানা সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ১৩০টি মামলায় ৪ লাখ ৩৩ হাজার টাকা, ফেব্রুয়ারি মাসে ১৩৪টি মামলায় ৪ লাখ ২৮ হাজার ৫০০ টাকা, মার্চ মাসে ৮৪টি মামলায় ৩ লাখ ১৩ হাজার টাকা; 

এপ্রিল মাসে ১২৮টি মামলায় ৪ লাখ ৩৩ হাজার টাকা, মে মাসে ১১২টি মামলায় ৩ লাখ ৯৬ হাজার টাকা, জুন মাসে ১২১টি মামলায় ৪ লাখ ৯৮ হাজার টাকা, জুলাই মাসে ১২০টি মামলায় ৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা এবং আগস্ট মাসে ১৫২টি মামলায় ৫ লাখ ৩১ হাজার টাকা আদায় করেছে নড়াইল হাইওয়ে থানা।

নড়াইল-তুলারামপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী বলেন, ‘‘আমরা চালকদের ট্রাফিক আইন মানার বিষয়ে সচেতন করছি। পাশাপাশি অবৈধ যানবাহন, লাইসেন্সবিহীন চালক এবং কাগজপত্রবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দেওয়া হচ্ছে।”

ঢাকা/শরিফুল/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র হ ইওয়

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ