বন্দরে সন্ত্রাসী হামলা নারীসহ একই পরিবারের ৪ জন আহত
Published: 13th, September 2025 GMT
বন্দরে মিথ্যা পরকিয়া অপবাধ দিয়ে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলায় বৃদ্ধা নারীসহ একই পরিবারের ৪ জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলো লিলি বেগম (৫৮) তার ছেলে রিয়াজ (২৫) ও হৃদয় (২৮) জামাতা রিবন (৩৫)।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় আহত লিলি বেগমের মেয়ে শিপন আক্তার বাদী হয়ে হামলাকারি মাহাবুব, একিম, ইব্রাহিম, আমজাদ ও শফিকুল ইসলামকে আসামী করে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এর আগে শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় বন্দর থানার পদুঘর স্ট্যান্ডে এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে।
অভিযোগের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর থানার উলাক এলাকার বাদিনী শিপন আক্তারসহ তার পরিবারের সাথে একই থানার পদুঘর এলাকার মৃত আনোয়ার মিয়ার ছেলে প্রতিপক্ষ মাহাবুব একই এলাকার শফিকুল মিয়ার ছেলে শাহীন আলম ওরফে একিম একই এলাকার মৃত নজরুল মিয়ার ছেলে ইব্রাহীম একই এলাকার মৃত গফুর মিয়ার আমজাদ ও একই এলাকার মৃত আব্দুল মান্নান মিয়ার ছেলে শফিকুলদের দীর্ঘ দিন ধরে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল।
এর ধারাবাহিকতা গত শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় বন্দর থানার পদুঘর স্ট্যান্ডের সামনে মিথ্যা পরকিয়া অপবাদ দিয়ে বাদিনী ছোট ভাই রিয়াজকে হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে অর্তকিত হামলা চালায়।
ওই সময় তার ডাক চিৎকারে শব্দ পেয়ে তার মা লিলি বেগম বড় ভাই হৃদয় ও জামাতা রবিন তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে ওই সময় হামলাকারিরা তাদেরকে পিটিয়ে নিলাফুলা জখম করে পালিয়ে যায়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: পর ব র ন র য়ণগঞ জ একই এল ক র এল ক র ম ত
এছাড়াও পড়ুন:
ক্যারিবীয় জাহাজে আবারো যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৩
ক্যারিবীয় সাগরে একটি জাহাজে আবারো হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। এতে জাহাজটিতে থাকা অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ।
রবিবার (২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
আরো পড়ুন:
নাইজেরিয়ায় হামলার হুমকি ট্রাম্পের
কানাডার সঙ্গে আলোচনায় না বসার ঘোষণা ট্রাম্পের
শনিবার গভীর রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে হেগসেথ বলেন, “মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ওই জাহাজটিকে অবৈধ মাদক চোরাচালানে জড়িত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছিল।”
তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক জলসীমায় পরিচালিত এই হামলার সময় জাহাজটিতে ‘তিনজন পুরুষ মাদক-সন্ত্রাসী’ ছিলেন। তিনজনই নিহত হয়েছেন।”
শনিবারের এই হামলার আগে গত বুধবার ক্যারিবীয় সাগরে আরো একটি জাহাজে মার্কিন বাহিনীর হামলায় চারজন নিহত হন। গত সোমবার মার্কিন হামলায় নিহত হন ১৪ জন।
মাদক পাচারের অভিযোগ তুলে সেপ্টেম্বর মাস থেকে এই অঞ্চলে সামরিক অভিযান শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই অভিযানে এখন পর্যন্ত ভেনেজুয়েলা ও কলম্বিয়ার নাগরিকসহ ৬২ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এছাড়া ১৪টি নৌযান এবং একটি সাবমেরিন ধ্বংস হয়েছে।
তবে নৌযানগুলো মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ যুক্তরাষ্ট্র এখনও দেয়নি। ফলে হামলার বৈধতা নিয়ে ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে। কিছু আইনজীবী যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন। কলম্বিয়া এবং ভেনেজুয়েলার মতো প্রতিবেশী দেশগুলো এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।
ভেনেজুয়েলা বলছে, যুক্তরাষ্ট্র দেশটির বিরুদ্ধে ‘অঘোষিত যুদ্ধ’ শুরু করেছে। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, দেশটি মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে লড়াই করবে।
যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ক্যারিবীয় অঞ্চলে সাতটি যুদ্ধজাহাজ, একটি সাবমেরিন, ড্রোন এবং যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে এবং মেক্সিকো উপসাগরে মোতায়েন করেছে আরেকটি যুদ্ধজাহাজ।
ট্রাম্প প্রশাসন মাদক চোরাচালানকারী নৌযানের ওপর তাদের হামলাকে ‘আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের নৌযান সাধারণত আটক করা হয় ও ক্রুদের গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক মার্কিন অভিযানগুলোতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পুরো নৌকা ধ্বংস করা হচ্ছে। জাতিসংঘ-নিযুক্ত মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা এই অভিযানগুলোকে ‘বিচারবহির্ভূত মৃত্যুদণ্ড’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
ঢাকা/ফিরোজ