স্প্যানিশ লা লিগার নতুন মৌসুমে দুর্দান্ত ধারাবাহিকতা বজায় রাখল রিয়াল মাদ্রিদ। শনিবার রাতে এক জন কম নিয়ে প্রায় এক ঘণ্টা খেলেও সোসিয়েদাদের মাঠ থেকে ২–১ গোলের রোমাঞ্চকর জয় ছিনিয়ে আনল লস ব্লাঙ্কোসরা।

ম্যাচের শুরুতেই তীব্র আক্রমণ চালায় রিয়াল। দ্বিতীয় মিনিটেই আরদা গুলের গোল পেলেও কিলিয়ান এমবাপ্পে অফসাইডে থাকায় বাতিল হয় গোল। তবে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। ১২ মিনিটে মিকেল গোতির ভুলের সুযোগ নিয়ে এমবাপ্পে দুর্দান্ত ফিনিশে বল জালে পাঠান। পোস্টে লেগে ভেতরে ঢোকা শটে কোনো সুযোগই পাননি গোলরক্ষক আলেক্স রেমিরো। এটি ছিল ফরাসি তারকার ৩৮তম লা লিগা ম্যাচে ৩৫তম গোল।

আরো পড়ুন:

তিন গোল বাতিলের পরও রিয়ালের দাপুটে জয়

এমবাপ্পের জোড়া গোলে রিয়ালের সহজ জয়

ম্যাচের গতি পাল্টে যায় ৩১ মিনিটে। মিকেল ওয়ারিয়াজাবালকে ফাউল করার কারণে তরুণ ডিফেন্ডার ডিন হুইজসেন সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। মাত্র নয় ম্যাচ খেলে রিয়ালের হয়ে এটি তার দ্বিতীয় লাল কার্ড। ঘটনাটি ঘটে রিয়ালের অর্ধে, যেখানে এদার মিলিতাঁও কভার দিচ্ছিলেন। তাই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হন কোচ জাবি আলোনসো। প্রতিবাদ করায় গিয়ে তাকেও দেখানো হয় হলুদ কার্ড।

একজন কম নিয়ে খেললেও মাদ্রিদ দমে যায়নি। বিরতির ঠিক আগে আবারো এমবাপ্পের জাদু। আরিৎস এলুস্তোন্দোকে পরাস্ত করে গুলেরকে বল সাজিয়ে দেন তিনি। ঠান্ডা মাথায় ফিনিশ করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তরুণ তুর্কি তারকা।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটা ছিল স্বাগতিকদের। পাবলো মারিন আর জন গোরোটজাতেগি ভালো সুযোগ তৈরি করলেও কাজে লাগাতে পারেননি। তবে ৫৬ মিনিটে দানি কারভাহালের হাত ছুঁয়ে বল গেলে পেনাল্টি পায় সোসিয়েদাদ। সেখান থেকে নির্ভুল শটে ব্যবধান কমান ওয়ারিয়াজাবাল।

গোল শোধের পর একের পর এক আক্রমণ চালায় সোসিয়েদাদ। এমবাপ্পে ৬৯ মিনিটে আরও একবার সুযোগ পেলেও রেমিরো তাকে আটকান। শেষ ২০ মিনিটে অতিরিক্ত খেলোয়াড়ের সুবিধা কাজে লাগিয়ে চাপ বাড়ায় স্বাগতিকরা। আরসেন জাখারিয়ান, আন্দের বারেনেচা ও ওয়ারিয়াজাবাল চেষ্টা চালালেও প্রতিবারই দেয়াল হয়ে দাঁড়ান থিবো কোর্তোয়া।

শেষ মুহূর্তে দুযে কালেতা-কার ও টেকেফুসা কুবো গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেন। যোগ করা সময়ে জন কারিকাবুরু ও জন আরামবুরু চেষ্টা করলেও রিয়ালের রক্ষণভাগ প্রতিবারই শট ঠেকিয়ে দেয়। শেষ বাঁশি বাজতেই হাঁপ ছেড়ে বাঁচে আলোনসোর শিষ্যরা।

চমক, বিতর্ক আর টানটান উত্তেজনায় ভরা এই ম্যাচ শেষে রিয়াল মাদ্রিদ পূর্ণ ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে থাকার পাশাপাশি লা লিগায় তাদের অপরাজিত যাত্রা ধরে রাখল। আর সেই অভিযানের কেন্দ্রে কিলিয়ান এমবাপ্পের অগ্নিগর্ভ পারফরম্যান্স। 

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ক ল য় ন এমব প প এমব প প

এছাড়াও পড়ুন:

নীল সমুদ্রে দক্ষিণ আফ্রিকার নীল বেদনা, ভারত বিশ্ব চ‌্যাম্পিয়ন

অনুমিত চিত্রনাট্যই যেন অনুসরণ করল মুম্বাইয়ের ফাইনাল ম্যাচ। ভারতের জার্সি গায়ে দর্শকে ঠাসা গ্যালারি রূপ নিল নীল সমুদ্রে। ২২ গজে আরও একবার ভারতের আধিপত‌্য, শাসন। যেন শিরোপার পায়চারি অনেক আগের থেকেই। 

ব‌্যাটিংয়ে পর্বত ছুঁই-ছুঁই রান। এরপর স্পিনে ফুল ফোটালেন স্পিনাররা। দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াই করল সাধ‌্যের সবটুকু দিয়ে। ব্যাটে-বলে সহজে হাল ছাড়ল না তারাও। হৃদয় জিতলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাত্তাই পেল না। ভারতের শক্তি-সামর্থ‌্যের গভীরতার কাছে হার মানতেই হলো প্রোটিয়া নারীদের।

আরো পড়ুন:

৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে

কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস

মুম্বাইয়ের নাভি স্টেডিয়ামের নীল সমুদ্রে সব আতশবাজি আজ রাতে ফুটল ভারতের বিশ্বকাপ  উদ্‌যাপনে। প্রথমবার ভারতের নারী ক্রিকেট দল ওয়ানডেতে বিশ্ব চ‌্যাম্পিয়ন। ৫২ রানের বিশাল জয় বুঝিয়ে দেয় হারমানপ্রীত কৌর, জেমিমা রদ্রিগেজ, দীপ্তি শর্মা কিংবা শেফালি বার্মা, স্মৃতি মান্ধানা, রিচা ঘোষরা ২২ গজকে কতটা আপন করে নিয়েছেন। শিরোপা জয়ের মঞ্চে ছাড় দেননি একটুও। ২০০৫ ও ২০১৭ বিশ্বকাপে যে ভুলগুলো হয়েছিল...সেগুলো আজ ফুল হয়ে ঝরল। 

বৃষ্টি বাঁধায় বিঘ্ন ম‌্যাচে আগে ব‌্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২৯৮ রানের স্কোর পায় ভারত। ৪৫.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৪৬ রান করতে পারে প্রোটিয়া নারীরা। নাডিন ডি ক্লার্ক শেষ ব‌্যাটসম‌্যান হিসেবে যখন আউট হলেন, স্টেডিয়ামের প্রায় ষাট হাজার ভারতীয় সমর্থকদের মুখে একটাই স্লোগান, চাক দে ইন্ডিয়া।

ওই জনসমুদ্রের স্লোগান, ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দে মাতরম’। 

বিস্তারিত আসছে …

 

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ