ঠাকুরগাঁওয়ে সাপের কামড়ে রঞ্জনা রায় (২৭) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যূ হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার ঢোলারহাট ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

ঢোলারহাট ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামের সঞ্জয় রায়ের স্ত্রী রঞ্জনা ছোট দুটি শিশুর জননী ছিলেন। ছোট বাচ্চাটির বয়স মাত্র এক মাস।

গৃহবধূর স্বজনরা জানান, মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাড়িঘর পরিষ্কার এবং কাদা মাটি দিয়ে ঘর লেপনের কাজ করছিলেন রঞ্জনা। এক পর্যায়ে নিজ ঘরের কোনায় গর্ত পরিষ্কার করার সময় ডান হাতের আঙ্গুলে সাপ দংশন করে। পরিবারের লোকজন তাৎক্ষণিকভাবে তাকে পাশের গ্রামে একজন ওঁঝার কাছে নিয়ে যায় এবং ঝাঁড়ফুক করে।

সেখান থেকে বাড়ি ফিরিয়ে আনার পর আক্রান্ত গৃহবধূর শরীরে বিষ ছড়িয়ে পড়ে। বেলা ১২টার দিকে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢোলারহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অখিল চন্দ্র বর্মন গৃহবধূর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সন্ধ্যায় গৃহবধূর শেষকৃত্য সম্পন্ন করেছে পরিবারের লোকজন। 

ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা.

মঞ্জুরুল ইসলাম ফুয়াদ বলেন, “জরুরি বিভাগে আসার পরেই মারা গেছে ওই গৃহবধূ। দেরিতে আসায় আমাদের কিছু করার ছিল না।”

ঢাকা/হিমেল/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ হবধ র ঠ ক রগ

এছাড়াও পড়ুন:

সুদানের এল-ফাশের শহরে ‘চরম বিপদে’ বাসিন্দারা: ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস

সুদানের আধা সামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) কাছে দেশটির এল–ফাশের শহরের পতনের পর সেখানকার বাসিন্দারা ‘চরম বিপদের’ মধ্যে রয়েছেন। তাঁরা শহরটিতে আটকা পড়েছেন। গতকাল শনিবার ফ্রান্সভিত্তিক আন্তর্জাতিক দাতব্য চিকিৎসা সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ) এমন শঙ্কার কথা জানিয়েছে।

২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরএসএফের লড়াই চলছে। গত ২৬ অক্টোবর এল-ফাশের দখল করে নেয় আধা সামরিক বাহিনীটি। শহরটির পতনের পর থেকে সেখানে বিচারবহির্ভূত হত্যা, যৌন সহিংসতা, ত্রাণকর্মীদের ওপর হামলা, লুটপাট এবং অপহরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সেখানকার যোগাযোগব্যবস্থা প্রায় পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

আরও পড়ুনসুদানে ‘গণহত্যা’ হয়েছে২২ ঘণ্টা আগে

এল–ফাশের শহর থেকে যাঁরা পালিয়ে কাছের তাউইলা শহরে আশ্রয় নিয়েছেন, তাঁরা বেসামরিক লোকজনের ওপর গণহত্যা চালানোর কথা বলেছেন। তাঁদের ভাষ্য, এল–ফাশেরে মা–বাবার সামনে সন্তানদের হত্যা করা হচ্ছে। মানুষজন শহরটি থেকে পালানোর সময় তাঁদের মারধর করা হচ্ছে। জাতিসংঘের হিসাবে, ২৬ অক্টোবর থেকে ‍৬৫ হাজারের বেশি মানুষ শহরটি থেকে পালিয়েছেন।

শনিবার ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস জানিয়েছে, এল–ফাশেরের বিপুল মানুষ ‘চরম বিপদের’ মধ্যে রয়েছে। তাদের শহরটি ত্যাগ করতে দিচ্ছে না আরএসএফ ও তাদের সহযোগীরা। সংস্থাটির জরুরি বিভাগের প্রধান মাইকেল ওলিভিয়ার লাচেরিটে বলেন, এল–ফাশের থেকে যাঁরা নিখোঁজ হয়েছেন, তাঁরা কোথায়? সম্ভাব্য উত্তরটা হলো—তাঁদের হত্যা করা হয়েছে।

গত শুক্রবার জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আরএসএফের হামলায় এল–ফাশেরে কয়েক শ মানুষ নিহত হয়েছেন। তবে সুদানের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দুই হাজার বেসামরিক মানুষকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যানিটারিয়ান রিসার্চ ল্যাব বলেছে, এল–ফাশেরে গণহত্যা অব্যাহত থাকার বিভিন্ন ইঙ্গিত স্পষ্টভাবে দেখা গেছে।

সুদান ‘মহাবিপর্যয়কর পরিস্থিতির’ মধ্যে রয়েছে বলে শনিবার উল্লেখ করেছেন জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহান ওয়েডফুল। বাহরাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বেসামরিক লোকজনকে সুরক্ষা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আরএসএফ। এরপরও এমন নৃশংসতার জন্য তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা হবে। একই সংবাদ সম্মেলনে সুদানের পরিস্থিতি ‘ভয়ংকর’ বলে উল্লেখ করেছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার।

আরও পড়ুনসুদানে আরএসএফের গণহত্যায় আরব আমিরাত ইন্ধন দিচ্ছে কেন৭ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ