এশিয়া কাপের জমজমাট আসরে গ্রুপ পর্বের হিসাবনিকাশ শেষ। এবার শুরু সুপার ফোরের মূল লড়াই। উদ্বোধনী ম্যাচেই মুখোমুখি বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। আজ শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে এই প্রতীক্ষিত দ্বৈরথ।

ভাগ্যের চক্রে বাংলাদেশ:
গ্রুপ পর্বে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয়ে শেষ চারে টিকে থাকে বাংলাদেশ। তবে নিজেদের পথ সুগম করতে শ্রীলঙ্কার অবদানের কথাও ভুলে গেলে চলবে না। আফগানদের হারিয়ে লঙ্কানরা যে শুধু সুপার ফোরে উঠল তাই নয়, সঙ্গে বাংলাদেশকেও এনে দিল পরবর্তী ধাপে খেলার সুযোগ।

আরো পড়ুন:

ইতিহাস গড়ার স্বপ্ন দেখিয়েও ভারতের কাছে থামল ওমান

বৃষ্টির বাধা কাটিয়ে ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে মাঠে ফিরছে এনসিএল

সাম্প্রতিক লড়াইয়ের স্মৃতি:
গত দুই মাসেই চারবার একে অপরের বিপক্ষে খেলেছে এই দুই দল। লঙ্কানদের মাঠে সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। আবার চলতি আসরে গ্রুপপর্বের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে হারতে হয়েছে লিটন দাসদের। তাই এবার প্রতিশোধ নেওয়ারও সুযোগ পাচ্ছে টাইগাররা।

ইতিহাসের পাল্লা কার পক্ষে?
টি–টোয়েন্টি ফরম্যাটে এখন পর্যন্ত ২১ বার মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। তার মধ্যে বাংলাদেশ জিতেছে ৮ বার, আর লঙ্কানদের জয় ১৩ বার। তবে এশিয়া কাপের ইতিহাসে পরিসংখ্যান অনেকটাই একপেশে। ১৮ বারের লড়াইয়ে ১৫ জয় শ্রীলঙ্কার, বাংলাদেশ জিতেছে মাত্র ৩ বার। তা সত্ত্বেও ২০১৬ সালের সেই স্মরণীয় জয় কিংবা সাম্প্রতিক সিরিজ সাফল্য আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে টাইগারদের।

মাঠের বাইরের সমীকরণ:
শারীরিক ক্লান্তি এবং ভ্রমণ— দুটোই শ্রীলঙ্কাকে কিছুটা ভোগাতে পারে। কারণ, টানা ব্যস্ত সূচিতে স্বল্প সময়ের মধ্যে একাধিক ম্যাচ খেলতে হচ্ছে তাদের। সঙ্গে আবুধাবি থেকে দুবাই যাত্রা। বিপরীতে বাংলাদেশকে শেষ ম্যাচের পর চার দিনের বিশ্রাম দিয়েছে সময়। ফলে ফুরফুরে মনোভাব নিয়েই মাঠে নামবে টাইগাররা।

ফাইনালের স্বপ্নে প্রথম ধাপ:
সুপার ফোরের প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। গ্রুপ পর্বের পয়েন্ট সঙ্গে আসায় বাংলাদেশকে এগোতে হলে জয় দিয়ে শুরু করাটা অপরিহার্য। আর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেই জয় পেলে শুধু প্রতিশোধই নয়, ফাইনালের দৌড়েও বড় এক ধাপ এগিয়ে যাবে টাইগাররা।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

এন্ড্রু কিশোরের জন্মদিনে কনকচাঁপার আবেগভরা শ্রদ্ধা

বাংলাদেশের সংগীতের ইতিহাসে এক অনন্য নাম এন্ড্রু কিশোর। পেশাদার জীবনে তিনি কণ্ঠ দিয়েছেন ১৫ হাজারেরও বেশি গানে—এর মধ্যে অসংখ্য গান আজও কালজয়ী। এ জন্য শ্রোতারা ভালোবেসে তাঁকে ডেকেছেন ‘প্লেব্যাক–সম্রাট’ বলে। চলচ্চিত্রের গানে এন্ড্রু কিশোরের অন্যতম সহশিল্পী ছিলেন জনপ্রিয় গায়িকা কনকচাঁপা। তাঁরা জুটি বেঁধে উপহার দিয়েছেন অগণিত জনপ্রিয় গান। আজ মঙ্গলবার, কিংবদন্তি শিল্পীর জন্মদিনে ফেসবুকে এক আবেগমাখা পোস্টে তাঁকে স্মরণ করেছেন কনকচাঁপা।

কনকচাঁপা লিখেছেন, ‘শুভ জন্মদিন, হে তরল সোনা মাখানো কণ্ঠের রাজা এন্ড্রু কিশোর দাদা! আমরা গর্বিত, আমাদের এন্ড্রু কিশোর আছেন! আছেন বলছি, কারণ তিনি এখনো আমাদের জীবনের অংশ—আরও বেশি আপন ও প্রয়োজনীয়।’ ফেসবুক পোস্টে কনকচাঁপা আরও লেখেন, ‘একজন এন্ড্রু কিশোর—একটি কণ্ঠ, একটি গলিত সোনার নদী। সিনেমা হলে তাঁর গান বাজলেই পুরো হল ভরে যেত আবেগে। তাঁর কণ্ঠে ছিল জাদু—যা মানুষকে ভাসাতে, কাঁদাতে, ভালোবাসতে শেখাত। যখন গাইতেন “ডাক দিয়াছে দয়াল আমারে”, তখন মনে হতো—এই পৃথিবীর প্রতি আমাদের অভিমান যেন একসঙ্গে ঝরে পড়ছে। আর যখন গাইতেন “তুমি আমার জীবন”, তখন প্রতিটি মানুষ ভাবত, এভাবেই তো প্রিয়াকে বলতে চেয়েছি আমি!’

এন্ড্রু কিশোর ও কনকচাঁপা

সম্পর্কিত নিবন্ধ