সুপার ফোরের প্রথম লড়াইয়ে আজ শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি বাংলাদেশ
Published: 20th, September 2025 GMT
এশিয়া কাপের জমজমাট আসরে গ্রুপ পর্বের হিসাবনিকাশ শেষ। এবার শুরু সুপার ফোরের মূল লড়াই। উদ্বোধনী ম্যাচেই মুখোমুখি বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। আজ শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে এই প্রতীক্ষিত দ্বৈরথ।
ভাগ্যের চক্রে বাংলাদেশ:
গ্রুপ পর্বে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয়ে শেষ চারে টিকে থাকে বাংলাদেশ। তবে নিজেদের পথ সুগম করতে শ্রীলঙ্কার অবদানের কথাও ভুলে গেলে চলবে না। আফগানদের হারিয়ে লঙ্কানরা যে শুধু সুপার ফোরে উঠল তাই নয়, সঙ্গে বাংলাদেশকেও এনে দিল পরবর্তী ধাপে খেলার সুযোগ।
আরো পড়ুন:
ইতিহাস গড়ার স্বপ্ন দেখিয়েও ভারতের কাছে থামল ওমান
বৃষ্টির বাধা কাটিয়ে ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে মাঠে ফিরছে এনসিএল
সাম্প্রতিক লড়াইয়ের স্মৃতি:
গত দুই মাসেই চারবার একে অপরের বিপক্ষে খেলেছে এই দুই দল। লঙ্কানদের মাঠে সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। আবার চলতি আসরে গ্রুপপর্বের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে হারতে হয়েছে লিটন দাসদের। তাই এবার প্রতিশোধ নেওয়ারও সুযোগ পাচ্ছে টাইগাররা।
ইতিহাসের পাল্লা কার পক্ষে?
টি–টোয়েন্টি ফরম্যাটে এখন পর্যন্ত ২১ বার মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। তার মধ্যে বাংলাদেশ জিতেছে ৮ বার, আর লঙ্কানদের জয় ১৩ বার। তবে এশিয়া কাপের ইতিহাসে পরিসংখ্যান অনেকটাই একপেশে। ১৮ বারের লড়াইয়ে ১৫ জয় শ্রীলঙ্কার, বাংলাদেশ জিতেছে মাত্র ৩ বার। তা সত্ত্বেও ২০১৬ সালের সেই স্মরণীয় জয় কিংবা সাম্প্রতিক সিরিজ সাফল্য আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে টাইগারদের।
মাঠের বাইরের সমীকরণ:
শারীরিক ক্লান্তি এবং ভ্রমণ— দুটোই শ্রীলঙ্কাকে কিছুটা ভোগাতে পারে। কারণ, টানা ব্যস্ত সূচিতে স্বল্প সময়ের মধ্যে একাধিক ম্যাচ খেলতে হচ্ছে তাদের। সঙ্গে আবুধাবি থেকে দুবাই যাত্রা। বিপরীতে বাংলাদেশকে শেষ ম্যাচের পর চার দিনের বিশ্রাম দিয়েছে সময়। ফলে ফুরফুরে মনোভাব নিয়েই মাঠে নামবে টাইগাররা।
ফাইনালের স্বপ্নে প্রথম ধাপ:
সুপার ফোরের প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। গ্রুপ পর্বের পয়েন্ট সঙ্গে আসায় বাংলাদেশকে এগোতে হলে জয় দিয়ে শুরু করাটা অপরিহার্য। আর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেই জয় পেলে শুধু প্রতিশোধই নয়, ফাইনালের দৌড়েও বড় এক ধাপ এগিয়ে যাবে টাইগাররা।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকার আকাশ সকালে এমন ছিল কেন, জানালেন আবহাওয়াবিদ
রাজধানীতে আজ শনিবার সকাল থেকেই আকাশ ছিল ঘোলাটে। খানিকটা মনে হচ্ছিল যেন কুয়াশা পড়ছে। এর সঙ্গে ছিল প্রচণ্ড গরম আর গুমোট ভাব। সকাল ৬টা থেকে প্রায় ১০টা পর্যন্ত এমন আবহাওয়া দেখা গেছে।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অবশ্য গুমোট ভাব কাটতে শুরু করেছে। রোদের দেখাও মিলেছে। সেই সঙ্গে ভ্যাপসা গরম আছে। হঠাৎ করে সকালের এমন আবহাওয়ার কয়েকটি কারণ রয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদেরা।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান আজ শনিবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, এখন মৌসুমি বায়ুর ক্রান্তিকাল। এই বায়ু চলে যাওয়ার সময় হয়ে গেছে। এ সময়টায় কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি—এটাই বৈশিষ্ট্য। তবে আজকে সকালে মূলত ‘লো ক্লাউড’ বা মেঘ নিচে নেমে আসার জন্য এমন ঘোলাটে আবহাওয়া হয়। এর সঙ্গে আবহাওয়াগত কারণ যতটা, তার চেয়ে বেশি আছে পরিবেশদূষণ।
আজকের বায়ুদূষণ পরিস্থিতি আবহাওয়াবিদের এ মতকে কিন্তু সমর্থন করছে। বর্ষার সময় সাধারণত ঢাকার বায়ুদূষণ কম থাকে। গত কয়েক দিন বৃষ্টির মধ্যে ঢাকার বায়ু নির্মল ছিল। কিন্তু আজ বেলা সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্বের ১ হাজার ২৫৭টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান তৃতীয়। আইকিউ এয়ারে ঢাকার বায়ুমান ১৭০। এ মানকে স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ক্ষতিকর বলে গণ্য করা হয়।
আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলছিলেন, বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ এখন অনেক। আর গুমোট ভাবের কারণও সেটাই।
এরই মধ্যে সাগরে আবার লঘুচাপ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা হয়েছে। আগামী বুধবার থেকে এই লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বাংলাদেশের উপকূলবর্তী এলাকায়। তবে এর প্রভাব কতটা হবে আবহাওয়াবিদেরা তা পরিষ্কার করে কিছু বলছেন না।
আজ ঢাকা এবং এর আশপাশে বৃষ্টির কিছুটা সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান। আগামীকাল অবশ্য বৃষ্টি কিছুটা বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীতে কোনো বৃষ্টি হয়নি। বেশির ভাগ এলাকা ছিল বৃষ্টিহীন। তবে এ সময় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়, ১৯১ মিলিমিটার।