কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার বলেছেন, “পাকিস্তান আমলে পল্লিগীতি হিসেবে লালনের গান গাওয়া হতো। লালনের নামও নেওয়া হতো না। স্বাধীনতার পরে এটা লালন সংগীত আকারে গেছে। ফরিদা পারভীন তার গায়কির মধ্যদিয়ে লালনকে পল্লিগীতির স্তর থেকে জাতীয় পর্যায়ে তুলে এনেছেন একটা ভাবের গান হিসেবে।’

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কুমারখালীর ছেঁউরিয়া ফকির লালন শাহের আখড়াবাড়িতে ফরিদা পারভীন স্মরণসভার আয়োজন করে লালন একাডেমি। সেখানে তিনি এসব কথা বলেন।

ফরহাদ মজহার বলেন, ‘ফরিদা পারভীন তার গায়কির বিশেষ ভঙ্গির মাধ্যমে প্রথম আমাদের বুঝিয়েছেন লালন একটা নিছক সংগীত নয়, এটা একটা ভাব সংগীত।”

লালন শিল্পী ও ভক্তদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “কিছু মানুষ লালনের গানের সঙ্গে নাচ করেন। এটা কিন্তু লালনের ভাবের সঙ্গে যায় না। এটা ক্ষতিকর। সুতরাং এটাও চর্চার বিষয়।”

কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এসএম মিকাইল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো.

মিজানুর রহমান। 

লোকসংগীতের বরেণ্য শিল্পী ফরিদা পারভীন গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাত সোয়া ১০টার দিকে রাজধানী ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান। গত ১৪ সেপ্টেম্বর এশার নামাজ শেষে কুষ্টিয়া কেন্দ্রীয় পৌর গোরস্তানে মা-বাবার কবরে তাকে দাফন করা হয়।

ঢাকা/কাঞ্চন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

‘আমি সদরঘাটের জবা ফুল’

ছবি: ফেসবুক থেকে

সম্পর্কিত নিবন্ধ