এবার ফিলিস্তিনের পক্ষে সরব অস্কারজয়ী অভিনেত্রী
Published: 26th, September 2025 GMT
সান সেবাস্তিয়ান চলচ্চিত্র উৎসবে ফিলিস্তিনের পক্ষে সরব হলেন অস্কারজয়ী অভিনেত্রী জেনিফার লরেন্স। গাজায় যা ঘটছে, সেটিকে তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, ‘গণহত্যার চেয়ে কম কিছু নয়।’ আজ শুক্রবার স্পেনের সান সেবাস্তিয়ানে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকেরা বারবার তাঁকে গাজা যুদ্ধ নিয়ে প্রশ্ন করেন। উৎসব আয়োজকেরা প্রশ্ন থামানোর চেষ্টা করলেও লরেন্স শেষ পর্যন্ত নিজের অবস্থান জানাতে পিছপা হননি।
লরেন্স তাঁর নতুন ছবি ‘ডাই মাই লাভ’-এর প্রদর্শনী আর মর্যাদাপূর্ণ ‘দোনস্তিয়া অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ করতে উৎসবে এসেছেন। সেই উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনেই তিনি বলেন, ‘আমি ভয় পাচ্ছি। এটি ভয়ংকর, যা ঘটছে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটি একেবারেই গণহত্যা। আমি আমার সন্তানদের জন্য আতঙ্কিত, আমাদের সবার সন্তানের জন্য।’
রাজনীতি ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নিয়ে উদ্বেগ
একই সংবাদ সম্মেলনে লরেন্স আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিও তাঁকে হতাশ করছে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নবান্নের পিঠায় সুবাসিত রাবি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) কৃষি অনুষদ প্রাঙ্গণে লেগেছে নবান্নের হাওয়া। ‘হিম হিম শীতের বাতাস, উষ্ণতায় ছড়ায় পিঠা পুলির সুবাস’- প্রতিপাদ্যে প্রাণবন্ত নবান্ন ও ‘পিঠা উৎসব ১৪৩২’ এর আয়োজন করে এগ্রোনমি অ্যান্ড এগ্রিকালচার এক্সটেনশন সমিতি।
রবিবার (১৬ নভেম্বর) দিনের শুরুতে সকাল ৯টায় ধান কেটে উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। নতুন ধান ঘরে তুলেই নবান্ন উদযাপনের যে বৈচিত্র্যময় গ্রামীণ ঐতিহ্য, তারই এক দৃষ্টিনন্দন প্রতিফলন দেখা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ চত্বরে। এরপরই শুরু হয় পিঠার বর্ণিল আয়োজন, যেখানে জড়ো হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অসংখ্য মানুষ।
আরো পড়ুন:
রাবিতে শিবিরের নবীনবরণে ডাকসুসহ ৩ ছাত্র সংসদের ভিপি
রাবি ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আটক
প্রতি বছরের মতো এবারো উৎসবমুখর পরিবেশে পিঠা খাওয়া, নাচ-গান, আনন্দ-উল্লাসে পুরো অনুষদ প্রাঙ্গণ সরগরম হয়ে ওঠে। অনুষদের সামনে থেকে বের হওয়া বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উৎসবকে আরো প্রাণবন্ত করে তোলে।
এবারের পিঠা উৎসবে ছিল শিক্ষার্থীদের তৈরি প্রায় দেড় শতাধিক পদের পিঠা। বিভিন্ন স্টলে সাজানো ছিল দুধপুলি, চন্দ্রপুলি, নারকেল পুলি, তেলপিঠা, নকশী পিঠা, দুধচিতই, শামুক পিঠা, জামাই পিঠা, পাটি সাপটা, গোলাপ ফুল, সুজির বড়া, মালাই বিহার, ডাবের পুডিং, রূপালি পিঠা, বুটের বরফি, মোহনভোগ, ডিম সুন্দরী, মাছের পিঠা, গাজরের হালুয়া, খিরপুলি, এভাবে দীর্ঘ তালিকা।
এত বৈচিত্র্যময় পিঠার সমাহার যেন একদিনের জন্য কৃষি অনুষদকে পরিণত করেছিল শীতের গ্রামীণ স্বাদবাজারে।
১০ টাকা থেকে শুরু হওয়া বিভিন্ন দামের এসব পিঠা কিনতে উৎসবে আসা শিক্ষার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। পিঠার স্বাদ যেমন আনন্দ দিয়েছে, তেমনি শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল আয়োজন মুগ্ধ করেছে সবাইকে।
এগ্রোনোমি অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন বিভাগের শিক্ষার্থী জেরিন জেবা বলেন, “নবান্ন উৎসব আমাদের বিভাগের একটি ঐতিহ্য। নতুন ধান উঠলে ঘরে পিঠা তৈরি করার যে সংস্কৃতি, আমরা সেটাকেই ধারণ করি। এই উৎসব আমাদের সাংস্কৃতিক শেকড়ের সঙ্গে যুক্ত রাখে।”
আরেক শিক্ষার্থী ধ্রুব বলেন, “নবান্ন উৎসব আমাদের বিভাগের একটা ঐতিহ্য। ঐতিহ্যকে ধারণ করে আমাদের বিভাগের প্রতি বছর এ আয়োজন করে থাকে। এ আয়োজনের সব থেকে ভালো লাগার জায়গা হলো পিঠা উৎসব। আমরা বিভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরি করছি, বিক্রি করছি। এর মাধ্যমে নবান্নের উৎসবকে আরো বেশি আমেজময় করে তুলেছে।”
বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “নবান্ন আমাদের কৃষি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। শিক্ষার্থীদের এমন প্রাণবন্ত অংশগ্রহণ দেখে আমরা উৎসাহ পাই।”
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী