দুর্গাপূজার দিনগুলোতে বৃষ্টি হবে কি
Published: 26th, September 2025 GMT
শারদীয় দুর্গাপূজা একেবারে দোরগোড়ায়। আগামী রোববার মহাষষ্ঠী থেকে শুরু আর ২ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হবে বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় এই উৎসব। এরই মধ্যে সাগরে একটি লঘুচাপ এখন নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পথে। লঘুচাপ হওয়ার পর এর প্রভাবে সাধারণত বৃষ্টি হয়। পূজার মধ্যে আবহাওয়া কেমন থাকবে, সে সম্পর্কে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদেরা।
ইতিমধ্যে মহালয়ার মাধ্যমে দেবীপক্ষের শুরু হয়ে যায়। পূজার একধরনের আনুষ্ঠানিকতা তখনই শুরু হয়েছে। আগামী রোববার মহাষষ্ঠী। পরদিন সোমবার মহাসপ্তমীতে মূল উৎসব শুরু।
আজ শুক্রবার আবহাওয়া অফিস লঘুচাপের কারণে দেশের চার বন্দরে সতর্কসংকেত জারি করেছে। এ লঘুচাপ নিম্নচাপ হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা। তিনি আজ প্রথম আলোকে বলেন, লঘুচাপটি মূলত অবস্থান নিয়েছে ভারতের ওডিশা উপকূলে। এটি নিম্নচাপে পরিণত হলে এর প্রভাব বাংলাদেশের উপকূলে কিছুটা পড়তে পারে। তবে দেশের বেশির ভাগ স্থানে এর প্রভাব ততটা না–ও পড়তে পারে।
ওডিশা উপকূলে চলতি মাস এবং গত আগস্ট মাসেও কয়েকটি লঘুচাপ হয়েছে। তবে সেগুলোর প্রভাব তেমন বাংলাদেশের উপকূলে পড়েনি। তবে এবার বিশেষ করে খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলে লঘুচাপের প্রভাব ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। আগামীকাল শনিবার দেশে বৃষ্টির পরিমাণ খানিকটা বাড়তে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে।
আগামী রোববার অর্থাৎ দুর্গাপূজার ষষ্ঠী থেকে পরের দুই দিন আবহাওয়া মোটামুটি শুষ্ক থাকতে পারে। তবে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে দেশের কোনো কোনো স্থানে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উপক ল
এছাড়াও পড়ুন:
রবীন্দ্রসরোবরে সুরে–ছন্দে জমজমাট নবান্ন উৎসব
অগ্রহায়ণের প্রথম দিনে নবান্ন উৎসব হলো রাজধানীতে। নাচ, গান, আবৃত্তি, আলোচনায় রোববার ধানমন্ডির রবীন্দ্রসরোবর উন্মুক্ত মঞ্চে উদ্যাপন করা হলো ঋতুভিত্তিক এই ঐতিহ্যবাহী উৎসব।
হেমন্তের বেলা শেষে ষড়ঋতু উদ্যাপন জাতীয় পর্ষদ আয়োজিত নবান্ন উৎসবের কার্যক্রম শুরু হয়েছিল সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে। এরপর ছিল ফারহানা করিমের নেতৃত্বে সমবেত নৃত্য।
নবান্নকথনে অংশ নেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি এহসান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘আবহমানকাল থেকে আমাদের কৃষিপ্রধান দেশে অগ্রহায়ণে কৃষকের ঘরে নতুন ফসল ওঠে। নতুন ধান তাঁদের জীবনে নিয়ে আসে সচ্ছলতা। নিয়ে আসে আনন্দ। তবে নবান্ন কেবল ফসলের আনন্দই নয়, আমাদের লোকসংস্কৃতির একটি শক্তিশালী উপাদান। নাগরিক পরিবেশে ঋতুভিত্তিক এই উৎসবকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে নবান্ন উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় বসন্ত, বর্ষা, শরৎসহ ঋতুভিত্তিক উৎসবগুলো আয়োজন করা হবে।’
নবান্ন উৎসব উপলক্ষে রবীন্দ্রসরোবর মঞ্চ ও মঞ্চের চারপাশের স্থান বর্ণাঢ্যভাবে সাজিয়ে তোলা হয়। এর সঙ্গে ছিল ঐতিহ্যবাহী পিঠাপুলির স্টল।
আলোচনার পরে শুরু হয় গানের পালা। সাগর বাউল শুরু করেছিলেন ভবা পাগলার গান ‘বারে বারে আসা হবে না’ গেয়ে। এরপর তিনি পরিবেশন করেন লালন সাঁইয়ের গান ‘লোকে বলে লালন ফকির কোন জাতের ছেলে’ এবং রাধারমণ দত্তের গান ‘অবলারে কান্দাইয়া’। ঢোল, একতারার বাজনা, বাঁশির সুর আর লোকসাধকদের এসব মরমি গানে গানে সাগর বাউল শ্রোতাদের মাতিয়ে তোলেন।
অনুষ্ঠানে নজরুলসংগীত পরিবেশনের কথা ছিল শিল্পী ফেরদৌস আরার। তবে তিনি অসুস্থতার জন্য সংগীত পরিবেশন করতে পারেননি। এই চমৎকার অনুষ্ঠানের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ ও শ্রোতাদের শুভেচ্ছা জানান।
লোকশিল্পী আলেয়া বেগম পরিবেশন করেন ‘মালা কার লাগিয়া গাঁথি’সহ বেশ কয়েকটি গান। গানের ফাঁকে ফাঁকে ছিল আবৃত্তি ও কবিদের কবিতা পাঠ। এই পর্বে অংশ নেন কবি রাসেল রায়হান, রিক্তা রিনি, সানাউল্লাহ সাগর, জব্বার আল নাইম, ইসমত শিল্পীসহ অনেকে।
সংগীতশিল্পীদের মধ্যে কোহিনূর আক্তার পরিবেশন করেন লালন সাঁইয়ের গান ‘তিন পাগলের হইল মেলা’। ডলি মণ্ডল পরিবেশন করেন ‘সব লোক কয় লালন কী জাত সংসারে’। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ষড়ঋতু উদ্যাপন জাতীয় পর্ষদের সদস্যসচিব দীপান্ত রায়হান।
শীতের মৃদু পরশ লেগেছে রাজধানীর হাওয়ায়। হালকা কুয়াশাও জমছে আকাশে। নাতিশীতোষ্ণ পরিবেশে সুরে-ছন্দে বেশ খানিকটা রাত অবধি জমজমাট হয়ে উঠেছিল এই নাগরিক নবান্ন উৎসব।