নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) এক ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁর নাম ফাহিমা সুলতানা ওরফে মারিয়া (২৪)। আজ শুক্রবার বিকেলে নোয়াখালীর মাইজদীর রশিদ কলোনির একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬তম ব্যাচের ফলিত গণিত বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। ফাহিমার বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বিকেল চারটা থেকে পাঁচটার মধ্যে ঘটনাটি ঘটে। রশিদ কলোনির হোসেন টাওয়ারের দ্বিতীয় তলায় সহপাঠীদের সঙ্গে ভাড়া থাকতেন ফাহিমা। বিকেল থেকে তাঁর সঙ্গে পরিবারের যোগাযোগ না হলে এক আত্মীয়কে খবর দেওয়া হয়। তিনি সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বাসায় গিয়ে দরজা ভেঙে ফাহিমার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান।

সহপাঠীরা জানান, পূজার ছুটিতে অন্যরা বাড়ি গেলেও ফাহিমা মেসে ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর সঙ্গে সহপাঠীদের শেষবার কথা হয়। শুক্রবার বিকেলে অনলাইনে একটি ক্লাসে অংশ নেননি তিনি। ফোনেও সাড়া দেননি। ফাহিমা অসুস্থ ছিলেন এবং নিয়মিত ঘুমের ওষুধ সেবন করতেন। তাঁরা ভেবেছিলেন তিনি ঘুমাচ্ছেন। পরে রাত আটটার দিকে তাঁর আত্মহত্যার খবর জানতে পারেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর জামাল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বিকেল চারটার দিকে ফাহিমা এক বন্ধুকে ভিডিও কলে রেখেই গলায় ফাঁস দেন। পুলিশ তাঁর মুঠোফোন থেকে এমন আলামত পেয়েছে।’

সুধারাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, নোবিপ্রবির ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। ঘটনার সময় তাঁর মুঠোফোনে ভিডিও কল চালু ছিল। তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আমার জীবনটা ট্র্যাজেডিতে ভরা

ছবি: দীপু মালাকার

সম্পর্কিত নিবন্ধ