বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন, “আগামী নির্বাচনে বিএনপি যদি নির্বাচিত হতে পারে তাহলে বাংলাদেশের প্রতিটি কৃষকের জন্য ফারমার্স কার্ডের ব্যবস্থা করা হবে। আমি যদি টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য হতে পারি, তাহলে এই এলাকার কৃষকদের জন্য হিমাগার (কোল্ড স্টোরেজ) তৈরি করা হবে। যমুনা নদীর ভাঙন রোধে বেরিবাঁধ নির্মাণ করা হবে।” 

শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মাহমুদনগর ইউনিয়নে স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

ঐক্যবদ্ধ না থাকলে গুপ্ত স্বৈরাচারের উদ্ভব হতে পারে: তারেক

রাজারহাট উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ককে অব্যাহিত

টুকু বলেন, “অতীতে শুধুমাত্র বাণিজ্যিক লাভের জন্য টাঙ্গাইল ভিক্টোরিয়া খালকে ভরাট করে বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এ কারণে অল্প বৃষ্টিতেই টাঙ্গাইল শহরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য খাল খননের ব্যবস্থা করা হবে।”

তিনি বলেন, “আমি যদি নির্বাচিত হতে পারি, তাহলে সবাইকে নিয়ে দলমত নির্বিশেষে নিরাপদ টাঙ্গাইল গড়ে তুলব। সেই টাঙ্গাইল হবে সারা বাংলাদেশের কাছে মডেল।”

এই আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে স্থানীয় ২০ জন কৃষক অংশ নেন। তারাই ছিলেন অনুষ্ঠানের মধ্যমণি। অনুষ্ঠানের পুরো অংশজুড়েই তাদের মূল্যবান মতামত শোনা হয়। গ্রহণ করা হয় তাদের মূল্যবান পরামর্শ। 

স্থানীয় কৃষক জাবাত আলী, মজিদ মিয়া, আজিজুল হক জানান, এতোদিন যেকোনো অনুষ্ঠানে কৃষকরাই ছিল সবচেয়ে অবহেলিত। কোনো অনুষ্ঠানের মঞ্চে ওঠা তো দূরের কথা, মঞ্চের কাছাকাছিও কৃষকদের যেতে দেওয়া হতো না। আজ এই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথিও আমরা, বিশেষ অতিথিও আমরা। 

অনুষ্ঠানের মূল আলোচক ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান। সোনিয়া শমীর সঞ্চালনায় মাহমুদনগর ইউনিয়নের অনেক কৃষক, ছাত্র-জনতা উপস্থিত ছিলেন। পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

ঢাকা/কাওছার/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ অন ষ ঠ ন র ক ষকদ র র জন য ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

লালবাগে ছারপোকা মারার ওষুধের গ্যাসের প্রভাবে ব্যবসায়ীর মৃত্যু

রাজধানীর লালবাগের শহীদনগরে বাসায় ছারপোকা মারার ওষুধের বিষাক্ত গ্যাসের ক্রিয়ায় জীবন হোসেন (৪০) নামে একজন ভাঙারি ব্যবসায়ী মারা গেছেন।

পারিবারিক সূত্র জানায়, জীবন হোসেন সপরিবার শহীদনগরে জে এস রোডে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। গতকাল বুধবার বাসার সব কক্ষে ছারপোকার ওষুধ দিয়ে ব্যবসার কাজে বেরিয়ে পড়েন জীবন। এ সময় পরিবারের অন্য সদস্যরা আত্মীয়ের বাসায় যান।

রাতে বাসায় ফিরে জীবন নিজ কক্ষের দরজা–জানালা বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়েন। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে স্বজনেরা এসে তাঁকে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়াশব্দ পাননি। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে জীবনকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। উদ্ধার করে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, জীবনকে অচেতন অবস্থায় বেলা সোয়া একটার দিকে জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়।

জীবনের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার পাকিয়া পাড়ায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • লালবাগে ছারপোকা মারার ওষুধের গ্যাসের প্রভাবে ব্যবসায়ীর মৃত্যু