সিদ্ধিরগঞ্জে পদ্মা ডিপোর কর্মকর্তার প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন
Published: 28th, September 2025 GMT
ট্যঙ্কলরি মালিক-শ্রমিকদের সাথে গোদনাইল পদ্মা ডিপোর সেকেন্ড অফিসার আব্দুর রহিমের অসদাচরণ ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলে এর প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে সাধারণ মালিক-শ্রমিকরা।
এসময় পরবর্তী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে অভিযুক্ত এই কর্মকর্তার প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা। রবিবার সকালে গোদনাইল এলাকায় পদ্মা অয়েল পিএলসি লিঃ এর সামনে মানববন্ধন করে এ দাবি করেন ট্যাঙ্কলরি মালিক-শ্রমিকরা।
মালিক-শ্রমিক বলেন, এই কর্মকর্তা এখানে আসার পর থেকেই তার মনগড়া নিয়মে সবকিছু পরিচালনা করেন। বিআরটিএ’র পারমিশন অনুযায়ী আমরা চাহিদা মত তেল লোড করতে পারিনা। ডিপোর সেকেন্ড অফিসারের চাহিদা অনুযায়ী তেল লোড করতে হয়।
তিনি আমাদের অযথাই হয়রানী ও লাঞ্চিত করেন। আমাদেরকে লোড দেরি করে দেয়। ফলে রাত-বিরাতে আমাদেরকে বিভিন্ন পাম্পে তেল পৌছাতে হয়। তাছাড়া লোডে আমাদের অনেক শর্ট হয়ে যায়। এর কারণে মালিকরা আমাদের বেতন কাটে।
এতে আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হই। আমরা কিছু জিজ্ঞাসা করলেই আমাদের সাথে অসদাচরণ করেন। তাই আমরা তার প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে গোদনাইল পদ্মা ডিপোর সেকেন্ড অফিসার আব্দুর রহিম বলেন, অনেকেই বিগত ৫/৭ বছর কিংবা ৩ থেকে ৫ বছর কেলিব্রেশন করে নাই। কবে থেকে কেলিব্রেশন করবে এ বিষয়ে আমি তাদের কাছ থেকে লিখিত নিয়েছি। হয়তো এজন্যই তারা আমার নামে এসব অভিযোগ তুলছেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
অন্তঃসত্ত্বা নারীকে মারধরের অভিযোগ, নওগাঁয় ইউএনওর অপসারণ চেয়ে মানববন্ধন
নওগাঁর ধামুইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহরিয়ার রহমান ও ধামুইরহাট পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুস সালামের বিরুদ্ধে অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ দুজনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ বুধবার দুপুরে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের শাস্তি ও ইউএনওর অপসারণের দাবিতে উপজেলা পরিষদ চত্বরে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, উপজেলার মঙ্গলকোঠা আবাসিক এলাকায় ধামুইরহাট পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা ফেলা নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সকালে পৌরসভার লোকজনের সঙ্গে এলাকাবাসীর বাগ্বিতণ্ডা হয়। ময়লা ফেলতে বাধা দেওয়ার খবর পেয়ে ইউএনও শাহরিয়ার রহমান ও পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুস সালাম ঘটনাস্থলে যান। এ সময় ওই দুই কর্মকর্তা প্রকাশ্যে মঙ্গলকোঠা এলাকার এক অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ দুই নারীকে মারধর করেন।
গৃহবধূ সামিরন খাতুন বলেন, ‘পৌরসভার লোকজন গাড়িতে করে আমাদের এলাকায় ময়লা ফেলতে এলে এলাকার সবাই মিলে বাধা দিই। বসতবাড়ির আশপাশে ময়লা ফেললে সমস্যা হবে বলে ইউএনওকে ময়লা না ফেলতে এলাকাবাসী অনুরোধ করেন। কিন্তু ইউএনও আমাদের কথা না শুনে আমাকেসহ মিতুকে (অন্তঃসত্ত্বা নারী) নিজেই লাঠি দিয়ে মারধর করেন। আমরা ইউএনওর অপসারণসহ তাঁর কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’
মানববন্ধনে স্থানীয় আবদুল কুদ্দুস বলেন, ‘ইউএনও আমার গর্ভবতী স্ত্রীর গায়ে তুলেছে সবার সামনে। একজন ইউএনওর আচরণ এমন হলে আমরা বিচার কার কাছে পাব?’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও শাহরিয়ার রহমান বলেন, পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা একটি খাস জমিতে ময়লা ফেলতে গেলে স্থানীয় কয়েকজন বাধা দেন এবং পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের গালমন্দ করে তাড়িয়ে দেন। বিষয়টি সমাধানের জন্য তিনি ওই এলাকায় গেলে এলাকার কিছু লোক তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। সেখানে কয়েকজন অবৈধ দখলদার নারী-পুরুষ বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করেন। একপর্যায়ে পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও আনসারদের গায়ে হাত তোলেন। নারীদের মারধরের অভিযোগের বিষয়ে তিনি দাবি করেন, ‘সেখানে কারও গায়ে হাত তোলা হয়নি। কিছু স্বার্থান্বেষী মহল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলছে।’
জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আউয়াল প্রথম আলোকে বলেন, আজ মানববন্ধন করে কিছু লোক ইউএনওর বিরুদ্ধে নারীকে মারধরের অভিযোগ করেন। উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও জেলা প্রশাসনের মধ্যস্থতায় বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক।