নারী প্রযোজককে চুমু খেলেই টাকা পেতেন সাইফ
Published: 29th, September 2025 GMT
বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খান। পতৌদি প্যালেসের মালিকের হলেও ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে তাকেও সংগ্রাম করতে হয়েছে। এস্কয়ার ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অদ্ভুত একটি ঘটনাও শেয়ার করেছেন এই অভিনেতা।
চলচ্চিত্রে তার প্রথম দিকের দিনগুলো সম্পর্কে বলতে গিয়ে সাইফ আলি খান জানান, এই যাত্রা মোটেও মসৃণ ছিল না। যদিও তিনি বিখ্যাত ক্রিকেটার মনসুর আলী খান পাতৌদি এবং অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুরের ছেলে। তারপরও বাস্তবে তিনি ছিলেন দ্বিতীয় সারির চরিত্র রূপায়নকারী।
আরো পড়ুন:
প্রেমিকাকে ছেড়ে দাও, নয়তো সিনেমা, সাইফকে বলেছিলেন পরিচালক
প্রাক্তন স্বামীর শেষকৃত্যে কারিশমা
নব্বই দশকের সময়টাকে তার ‘নেট প্র্যাকটিস’ বলেও উল্লেখ করেন সাইফ। ‘সালাম নমস্তে’ অভিনেতা সাইফ আলী খান অদ্ভুত একটি অভিজ্ঞতাও শেয়ার করেন। টাকার বিনিময়ে এক নারী প্রযোজককে চুমু খেতেন। তার ভাষায়, “এক প্রযোজক প্রতি সপ্তাহে আমাকে মাত্র এক হাজার রুপি দিতেন। তবে শর্ত ছিল—প্রতিবার টাকা নেওয়ার আগে তার গালে আমাকে ১০ বার চুমু খেতে হতো।”
যশ চোপড়া পরিচালিত ‘পরম্পরা’ সিনেমার মাধ্যমে তার বলিউডে পথচলা শুরু করেন সাইফ আলী খান। আর মুখ্য ভূমিকায় অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘ইয়ে দিল লাগি’ ও ‘ম্যায় খিলাড়ি তু আনাড়ি’। কিন্তু রাহুল রাওয়াল পরিচালিত ‘বেখুদি’ সিনেমার মাধ্যমে তার ক্যারিয়ার শুরুর কথা ছিল। আর তার সঙ্গী হওয়ার কথা ছিলেন—কাজল। তা আর হয়নি। কারণ শুটিং শুরুর প্রথম দিনে বাদ পড়েছিলেন সাইফ।
অভিনয় ক্যারিয়ারে অনেকবার প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন সাইফ আলী খান। এ নিয়ে বেশ আগে এক সাক্ষাৎকারে সাইফ আলী খান বলেছিলেন, “স্ট্রাগল মানে কী? অটো রিকশায় উঠে পড়েন, একই জায়গায় দশবার যান। কোনো অফিসে গিয়ে ৩ ঘণ্টা অপেক্ষা করেন; এটাকেই তারা স্ট্রাগল বলেন। আমারও স্ট্রাগল ছিল। কিন্তু একটু আলাদা। প্রথম সিনেমা থেকে আমাকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। কারণ আমার পরিচালক বলছিলেন, ‘তোমার প্রেমিকাকে ছেড়ে দাও, নয়তো সিনেমা ছাড়ো।’ এটা ছিল এক ধরনের নৈতিক সিদ্ধান্ত।”
১৯৯৯ সালে মুক্তি পায় সাইফ অভিনীত ‘হাম সাথ সাথ হায়’ সিনেমা। মুক্তির পর এটি তুমুল হিট হয়। যদিও সাইফ মনে করেন, তার ভেতরে যে অভিনয়প্রতিভা আছে, তা সবাই প্রথম লক্ষ্য করেন ২০০১ সালে, ‘দিল চাহতা হ্যায়’ সিনেমা মুক্তির পর।
সাইফ অভিনীত ‘কাল হো না হো’ সিনেমা ২০০৩ সালে মুক্তি পায়। এটি মুক্তির পর সাইফ আলী খানের অভিনয় প্রশংসিত হয়। এরপর ‘হাম তুম’ সিনেমার জন্য তো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারই পেয়ে যান সাইফ। তাছাড়া ‘পরিণীতা’ সিনেমায় সাইফের ভূয়সী প্রশংসা করেন সমালোচকেরা। এরপর ‘সালাম নমস্তে’, ‘ওমকারা’, ‘রেস’, ‘লাভ আজকাল’, ‘ককটেল’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডের প্রথম সারির অভিনেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন সাইফ।
তথ্যসূত্র: পিঙ্কভিলা
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর ন স পর চ ল প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
বিচারকের ছেলে হত্যা: লিমন ৫ দিনের রিমান্ডে
রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের বাসায় প্রবেশ করে তার ছেলেকে হত্যা এবং স্ত্রীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা মামলার একমাত্র আসামি লিমন মিয়ার (৩৪) পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক মো. মামুনুর রশিদ এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরো পড়ুন:
আশরাফুলের সঙ্গে পরিকল্পিতভাবে প্রেমের সম্পর্ক গড়েন কোহিনূর: র্যাব
রাঙ্গুনিয়ায় শ্রমিক দল নেতাকে গুলি করে হত্যা
রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র গাজিউর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, তদন্ত কর্মকর্তা রাজপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আসাদুল ইসলাম জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আসামির সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
তিনি আরো জানান, শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসাধীন লিমন মিয়াকে হাসপাতাল ত্যাগের অনুমতি দেয়। এরপর তাকে আদালতে হাজির করা হয়। বেলা ১১টার পর থেকে তাকে আদালতের হাজতে রাখা হয়। দুপুর ২টার দিকে তাকে আদালতে তোলা হয়। পরে আদালত থেকে তাকে রাজপাড়া থানায় নেওয়া হয়েছে। সেখানে চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ড এবং হত্যাচেষ্টার ঘটনার ব্যাপারে লিমন মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও জানান তিনি।
গত বৃহস্পতিবার শহরের তেরখাদিয়া ডাবতলা এলাকায় বিচারক মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের বাসায় আকস্মিক প্রবেশ করেন গাইবান্ধার ফুলছড়ির বাসিন্দা লিমন মিয়া। এরপর তিনি বিচারকের ছেলে তাওসিফ রহমানকে (১৫) ছুরিকাঘাতে ও শ্বাসরোধে খুন করেন। লিমন মিয়ার ছুরিকাঘাতে বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসি (৪৪) আহত হন। এ সময় ধ্বস্তাধ্বস্তিতে হামলাকারী লিমন মিয়াও আহত হন। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) নিজে বাদী হয়ে লিমন মিয়াকে একমাত্র আসামি করে রাজপাড়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন বিচারক মোহাম্মদ আব্দুর রহমান। আসামি এ হত্যাকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিতভাবে ঘটিয়েছেন বলে এজাহারে দাবি করা হয়েছে।
ঢাকা/কেয়া/বকুল