মাদারীপুরে মাদকসহ গ্রেপ্তার ১৪ মামলার আসামি
Published: 2nd, October 2025 GMT
মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা এলাকার ডিএইচপি সড়ক থেকে তিন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫০ পিস ইয়াবা ও ২৫ পুড়িয়া হেরোইন জব্দ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন—মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলার গ্রামের হেলাল মাতবরের ছেলে ওয়াসিম মাতবর (৫২), কালিকাপুর এলাকার চুন্নু মাতবরের ছেলে আরমান মাতবর (২৬) এবং ছিলারচর নয়াকান্দি গ্রামের জালাল মুন্সির ছেলে সজিব মুন্সি (৩০)।
আরো পড়ুন:
সিলেটে মাদকাসক্ত ছেলেকে পুলিশে দিলেন বাবা, পরে কারাদণ্ড
খাগড়াছড়িতে অস্ত্রসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক
পুলিশ জানিয়েছে, ওয়াসিম মাতবরের নামে ৮টি এবং আরমান মাতবরের নামে ১৪টি মাদক মামলা আছে। দীর্ঘদিন ধরে তারা পরস্পর যোগসাজশে মাদক ব্যবসা করছিলেন। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ডিবি বুধবার (১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ফাঁদ পেতে তাদেরকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে। ওই তিনজনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) জাহাঙ্গীর আলম বুধবার রাত ১০টায় প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
ঢাকা/বেলাল/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম তবর র ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
টেকনাফে অস্ত্র-মাদকসহ ২৮ মামলার আসামি ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার
কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র, মাদক, অপহরণসহ ২৮ মামলার পলাতক আসামি ও ইউপি সদস্য নুরুল হুদাকে ( ৪৬) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা গ্রামে এ অভিযান চালানো হয়। গ্রেপ্তার নুরুল হুদা হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এবং ওই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর প্রথম আলোকে বলেন, ইউপি সদস্য নুরুল হুদা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত মাদক পাচারকারী। টেকনাফে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণকারী ১০২ জন মাদক পাচারকারীর মধ্যে নুরুল হুদাও ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় ১৬টি মাদক, একটি অপহরণ, ৩টি অস্ত্র, একটি বিশেষ ক্ষমতা আইন, চারটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলাসহ মোট ২৮টি মামলা রয়েছে। ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হুদা দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন। সম্প্রতি তিনি এলাকায় এসে সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। গোপন সংবাদের ভিত্তিকে গতকাল রাতে পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
পুলিশ জানায়, আজ শনিবার বিকেলে ইউপি সদস্য নুরুল হুদাকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত বুধবার রাতে পুলিশ টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের রাজারছড়া গ্রামের বাসিন্দা ও একই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রশিদ মিয়াকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ইউপি সদস্য রশিদ মিয়ার বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণ, মানব পাচার, বিস্ফোরক ও নাশকতার পাঁচটি মামলা রয়েছে। তিনি টেকনাফ উপজেলার যুবলীগের সদস্য ছিলেন।
পৃথক অভিযানে টেকনাফের দুই ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানোর সত্যতা নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) অলক বিশ্বাস। তিনি বলেন, সরকার মাদক চোরাচালান দমনে কঠোর অবস্থানে। মাদক ও মানব পাচারকারীদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।