অশুভের বিরুদ্ধে শুভ শক্তির জয় হোক: হাওলাদার
Published: 2nd, October 2025 GMT
শুভ বিজয়া দশমী উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বী ভাই বোনদের প্রতি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির একাংশের মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “শারদীয় দুর্গোৎসবের বাণী হলো, অশুভ শক্তির বিনাশ ও সুন্দরের আরাধনা এবং ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের আনন্দ ও সমৃদ্ধি কামনা করা।”
আরো পড়ুন:
কক্সবাজারে প্রতিমা বিসর্জনের প্রস্তুতি সম্পন্ন, নিরাপত্তা জোরদার
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে হিন্দু মহাজোট নেতৃবৃন্দের শুভেচ্ছা বিনিময়
“দুর্গোৎসব এখন শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় উৎসব নয় বরং একটি সর্বজনীন উৎসব, যা সমাজে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে এগিয়ে নেয়। এই উৎসবের মাধ্যমে মানুষ একে অপরের পাশে দাঁড়িয়ে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয় এবং সবার জীবনে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি বয়ে আনুক এই কামনা করে।”
হাওলাদার বলেন, “দুর্গোৎসবের মূল বার্তা হলো, অশুভের বিরুদ্ধে শুভ শক্তির জয়। ফলে বরাবরের মত এবারও দুর্গোৎসবের মূলমন্ত্র হোক, অসত্য, অন্যায় ও অশুভ শক্তির বিনাশ এবং শুভ ও সুন্দরের প্রতিষ্ঠা হোক। গড়ে উঠুক অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ।”
তিনি সনাতন ধর্মের সব অনুসারীদের সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি ও মঙ্গল কামনা করেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ র গ ৎসব ৎসব র
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরের লৌহিয়া খালটি দখল উৎসবে চলছে
বন্দরের ঐতিহ্যবাহী লৌহিয়া খালটি দখল উৎসবে মেতে উঠেছে চিহ্নিত ভূমিদস্যুরা। যে খাল দিয়ে এক সময় শীতলক্ষা-বহ্মপুত্র নদীতে সংযোগ ছিল।
সেই ঐতিহ্যবাহী খালটি অবৈধভাবে দখল করে পাঁকা স্থাপনা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গার্মেন্টস, ব্যাটারি ফ্যাক্টরিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেছে ওই সকল ভূমিদস্যুরা।
খালটি দখল হয়ে যাওয়ার কারনে পয়নিষ্কাশনসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত স্থানীয়রা। বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময়ে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে উল্লেখিত খাল দখল করে নিয়েছে প্রভাবশালীরা ।
এলাকাবাসী ও বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম এ রশিদ ও সানাউল্লাহ সানু এবং বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিনের মদদপুষ্ট হয়ে আদর্শ বিদ্যানিকেতন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করতে গিয়ে খাল দখল করে রাস্তা বানিয়েছে।
তেমনি ভাবে গার্মেন্টস, ব্যাটারি ফ্যাক্টরিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে পানি চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়া খালটি ভরাট করার কারনে বন্দর ইউনিয়নের ৯ নং ওর্য়াডের কদমতলীসহ আশপাশের কয়েকটি এলাকা পানিবন্দি হয়ে পড়ে। ড্রেজার দিয়ে ব্যাক্তি মালিকানাধীন জমি ভরাট করতে গিয়ে সরকারি খাল দখল করে নিয়েছে। দেখার যেন কেউ নেই।
বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শওকত হোসেন সৈকত জানান, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিকবার লিখিতভাবে জানিয়েও কোন সুফল পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
প্রভাবশালী মহল ও ভূমিদস্যুদের কর্তৃক দখলকৃত খালটি উদ্ধার করে পয়নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভূক্তভোগী এলাকাবাসী।