নড়াইলের লোহাগড়ায় গ্রাম-বাংলার লোকজ ঐতিহ্য নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এ প্রতিযোগিতা উপভোগ করতে মধুমতি নদীর দুই পাড়ে জড়ো হয়েছে হাজারো দর্শনার্থী।

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের শিয়েরবর বাজার সংলগ্ন মধুমতি নদীতে এলাকাবাসীর উদ্যোগে বর্ণাঢ্য এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।  

আরো পড়ুন:

গাইবান্ধায় ২ দিনব্যাপী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা শুরু

টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন

প্রধান অতিথি হিসেবে এ নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন, নড়াইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, লোহাগড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি আহাদুজ্জামান বাটু, সাধারণ সম্পাদক কাজী সুলতানুজ্জামান সেলিম, আয়োজক কমিটির সভাপতি ইউপি সদস্য কামাল শেখ, সাধারণ সম্পাদক তুহিন শিকদার।

প্রধান অতিথি মনিরুল ইসলাম বলেন, “নৌকাবাইচ আমাদের ঐতিহ্যবাহী খেলাগুলোর মধ্যে অন্যতম। এটি শুধু একটি প্রতিযোগিতা নয়, এটি আমাদের শেকড়, সংস্কৃতি ও মানুষের সামাজিক সম্প্রীতির প্রতীক। এ ধরনের আয়োজন অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছি।”

শালনগর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান কাজী সুলতানুজ্জামান সেলিম বলেন, “নৌকাবাইচ দেখতে দুপুর থেকেই দর্শনার্থীরা আসতে শুরু করেন। দুপুরের মধ্যে মধুমতি নদীর দুই পাড়ে দর্শনার্থীতে ভরে যায়। গ্রাম-বাংলার জনপ্রিয় নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা শিশু, নারী-পুরুষসহ সব শ্রেণির দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে।”

শিশু দর্শনার্থী আবদুল্লাহ-আল মারজান, আবদুল্লাহ-আল তাফসির জানায়, এবারই প্রথম কোনো নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা দেখল। অনেক মজা পেয়েছে তারা। এর আগে কোনো প্রতিযোগিতা দেখে তারা এত আনন্দ পায়নি।

প্রতিযোগিতায় নড়াইলসহ পার্শবর্তি বিভিন্ন জেলা থেকে চারটি নৌকা অংশ নেয়। প্রতিটি দলে ৩০-৪০ জন মাঝি সমম্বিলতভাবে নৌকা চালিয়ে প্রতিযোগিতা করেন।

নৌকাবাইচের সঙ্গে গ্রামীণ মেলারও আয়োজন করা হয়। মেলায় হাওয়াই মিঠাই, মাটির তৈরি পুতুল, খেলনার দোকান, পিঠা-পুলিসহ বিভিন্ন পসরা সাজিয়ে অস্থায়ী দোকান বসতে দেখা যায়। সঙ্গে ছিল বাঁশি ও ঢোলের সুর।

প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি আহাদুজ্জামান বাটু ও সাধারণ সম্পাদক কাজী সুলতানুজ্জামান সেলিমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

ঢাকা/শরিফুল/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

নাফাখুম ঝর্ণায় নিখোঁজ পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার 

বান্দরবানের থানচি উপজেলার নাফাখুম ঝর্ণায় ঘুরতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে নিখোঁজের দুইদিন পর পর্যটক মো. ইকবাল হোসেনের (২৫) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এমএসই বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং ঢাকার ডেমরা থানার সারুলিয়ায় রসুলনগর গোপ দক্ষিণ গ্রামে তারা অস্থায়ীভাবে বসবাস করছেন।

আরো পড়ুন:

জকসু নির্বাচন: ২ দিনে ৩৫ প্রার্থীর মনোনয়ন সংগ্রহ

জাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে পরীক্ষার খাতা অবমূল্যায়ন ও ট্যাগিংয়ের অভিযোগ

রবিবার (১৬ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানচি ফায়ার ডিফেন্সের কর্মকর্তা রাশিদুর রহমান মৃদা। 

এর আগে, গত শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) ঢাকার ডেমরা থেকে ১৭ জনের একটি পর্যটক দল প্রশাসন ঘোষিত ভ্রমণ নিষিদ্ধ এলাকায় কোনো প্রকার নিবন্ধন ও স্থানীয় গাইড ছাড়া নাফাখুম ঝর্ণা এলাকায় ঘুরতে যান। সেখানে গিয়ে শুক্রবার বিকালে পা পিছলে পড়ে নিখোঁজ হন ইকবাল।

পরে পাঁচজন পর্যটক থানচি থানা ও প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করেন। খবর পেয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা, বিজিবি, পুলিশ ও ফায়ার ডিফেন্স কর্মকর্তাদের সমন্বয়ের উদ্ধার অভিযান শুরু করে। দুইদিন পর রবিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে ইকবালের মরদেহ উদ্ধার করে তারা।

থানচি ফায়ার ডিফেন্সের কর্মকর্তা রাশিদুর রহমান মৃদা গণমাধ্যমকে বলেন, “রবিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটে নাফাখুম ঝর্ণায় পানির নিচ থেকে ইকবালের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নদীপথে মরদেহ নিয়ে আশা হচ্ছে।”

থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছির উদ্দিন মজুমদার বলেন, “উপ-পরিদর্শক মো. রিয়াজুলসহ ছয়জনের পুলিশের দল মো. ইকবাল হোসেনের মৃতদেহ নিয়ে আসছেন। থানায় পৌছতে রাত হতে পারে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।” থানচি থেকে নাফাখুম যাতায়াতে পায়ে ট্রেকিং করে ১০ ঘণ্টা সময় প্রয়োজন হয় বলে জানান ওসি। 

ইকিবালের বন্ধু নাফিস আল ইমরান বলেন, “ইকবালের মরদেহ ঢাকা রসুলনগর নবমল্লিকাতে নিয়ে আসা হবে। আগামীকাল সকাল ৯টায় ঢাকায় প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। চাঁদপুরের ইকবালের নিজ গ্রামে দ্বিতীয় জানাজা ও দাফন কার্য সম্পন্ন হবে।”

ঢাকা/মাহাফুজ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নাফাখুম ঝর্ণায় নিখোঁজ পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার