তিন দাবিতে চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা
Published: 21st, October 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যমূলক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংশোধনসহ তিন দফা দাবিতে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার দুপুর দেড়টা দিকে বিভাগের চেয়ারম্যানের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে এ ঘোষণা দেন তাঁরা। এর আগে শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দেন।
শিক্ষার্থীদের অন্য দুটি দাবি হলো ইন্টার্নশিপ ভাতা চালু এবং বিসিএস পরীক্ষায় চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানকে টেকনিক্যাল ক্যাডার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘সাইকোলজির আধিপত্য, মানি না মানব না’, ‘ওয়ান-টু-থ্রি-ফোর, বৈষম্য নো মোর’, ‘সাইকোলজির আধিপত্য, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।
চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ফারহানা জেবিন বলেন, ‘ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামের জন্য আমাদের ঢাকায় অবস্থান করতে হয়। আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের জন্য ঢাকায় গিয়ে নিজেদের খরচ চালানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। এ ক্ষেত্রে যদি ইন্টার্নশিপ ভাতা চালু করা হয়, তাহলে কষ্ট অনেকটাই লাঘব হবে। বিভাগ প্রতিষ্ঠার ১০ বছর হয়ে গেলেও এখনো এসব নিয়ে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।’
শিক্ষক নিয়োগে বৈষম্যের অভিযোগ তুলে একই বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সুমন আলী বলেন, বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের সার্কুলারে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছিল যে শুধু চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স ও মাস্টার্স করা শিক্ষার্থীরাই শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাবেন। তবে বিভিন্ন কারণে সেই নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি ২০২৫ সালে প্রকাশিত শিক্ষক নিয়োগের সার্কুলারে মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কিন্তু কিছুদিন আগে মনোবিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ হলে, সেখানে চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের কোনো শিক্ষার্থীকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
সুমন আলীর অভিযোগ, তাঁদের বিভাগের বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক এনামুল হক মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক। উনি এই পদে আসার পর শিক্ষক নিয়োগের সার্কুলারের শর্ত পরিবর্তন করেছেন। তাঁরা ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে দাবি না মানলে শাটডাউন চলবে।
এসব বিষয়ে জানতে চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক এনামুল হকের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: মন ব জ ঞ ন ব ভ গ র
এছাড়াও পড়ুন:
ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী কেফায়েতুল্লাহ কাশফীর নির্বাচনী শোডাউন
রাজধানীর মতিঝিলে নির্বাচনী শোডাউন করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা-৮ আসনে দলের মনোনীত সংসদসদস্য প্রার্থী মুফতী কেফায়েতুল্লাহ।
শনিবার সকালে মতিঝিল টিএন্ডটি কলোনী থেকে কয়েক হাজার নেতাকর্মী নিয়ে পল্টন, রমনা, শাহজাহানপুর ও শাহবাগ থানার গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মোটরসাইকেল শোডাউন করেন তিনি।
শোডাউন শেষে বাইতুল মোকাররম উত্তর গেটে একটি পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সভাপতির বক্তব্যে মুফতী কেফায়েতুল্লাহ কাশফী বলেন, ‘‘স্বাধীনতার পর থেকে দেশে অনেকবার ক্ষমতার পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বারবার তারা ব্যর্থ হয়েছে। নিজেদের পকেট ভারি করেছে। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে পেশীশক্তির ব্যবহার করেছে। আমরা কথা দিচ্ছি, আপনারা যদি ইসলামের ওপর আস্থা রাখেন তবে আমরা মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় খাদেম হয়ে কাজ করবো ইনশাআল্লাহ।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘আমাকে পীর সাহেব চরমোনাই ঢাকা-৮ আসনের জন্য মনোনীত করেছেন। আপনারা আমাকে বিজয়ী করুন, আমি এই আসনের মানুষের খাদেম হতে চাই।’’
শোডাউনে আরো অংশ নেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমাদ আবদুল কাইয়ুম, কেন্দ্রীয় সহ-প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা কেএম শরীয়াতুল্লাহ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মনির হোসাইন, পল্টন থানা সভাপতি কবির হোসেন খোকন, রমনা থানা সভাপতি অ্যাডভোকেট ফেরদৌস আহমাদ চৌধুরী, মতিঝিল থানা সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রাসেল খান, শাহবাগ থানা সভাপতি তকদির হোসেন রুবেল, শাহজাহানপুর থানা সভাপতি মাওলানা আবু ইউসুফ এবং ঢাকা-০৮ আসনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যসহ তৃণমূল নেতৃবৃন্দ।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন