ঢাকার ১১ এলাকায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, গ্রেপ্তার ১৩১
Published: 21st, October 2025 GMT
রাজধানীর ১১ এলাকায় ঝটিকা মিছিল করেছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীরা। আজ মঙ্গলবার সকালের দিকে এসব মিছিল করেন দলটির নেতা–কর্মীরা। এ সময় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়া ১৩১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
পুলিশ বলছে, বেশ কয়েকটি স্থানে মিছিলের সময় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। কাউকে মিছিল থেকে, আবার কাউকে মিছিলের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কোনো কোনো মিছিলে ৫ থেকে ৩০ জন পর্যন্ত অংশ নিতে দেখা গেছে।
অন্তর্বর্তী সরকার গত ১০ মে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকালে হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় বিচার না হওয়া পর্যন্ত সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে। এর আগে গত বছরের অক্টোবরে নিষিদ্ধ করা হয় আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগকে।
পুলিশ সূত্র জানায়, আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেট ও মতিঝিলের রাজউক ভবনের গলিতে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেন। পল্টন থানা–পুলিশ বায়তুল মোকাররমের সামনে থেকে মো.
পুলিশ সদর দপ্তরের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি অপারেশনস) রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীরা। তাঁরা যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে, সে জন্য পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। ৫ আগস্টের পর এখন পুলিশ অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী।
পুলিশের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঢাকার তেজগাঁও এলাকার সাতরাস্তা মোড়ে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে আওয়ামী লীগের ১২ থেকে ১৫ জন নেতা-কর্মী ৩০–৪০ সেকেন্ডের একটি ঝটিকা মিছিল করেছেন। এ সময় তাঁরা ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন। বেলা ১১টার একটু পর খিলক্ষেত থানার গলফ ক্লাবের সামনে ৩০ থেকে ৪০ জন ঝটিকা মিছিল করেন। মিছিল থেকে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এ সময় পুলিশ ধাওয়া দিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করে।
এ ছাড়া ধানমন্ডির স্টার কাবাব রেস্টুরেন্টের সামনে, নিউমার্কেটের বাটা সিগন্যাল, আসাদ গেটের আড়ংয়ের সামনে, যাত্রাবাড়ীর মাল্টিমিডিয়া সিএনজি স্টেশন, শেরেবাংলা নগরের আর্কাইভ ভবনের সামনে, গুলশান পুলিশ প্লাজার সামনে, উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টর ও ৮ নম্বর সেক্টরের সামনে মিছিল ও মিছিল করার চেষ্টা করেছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর ম ছ ল কর র স মন কর ম র আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী কেফায়েতুল্লাহ কাশফীর নির্বাচনী শোডাউন
রাজধানীর মতিঝিলে নির্বাচনী শোডাউন করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা-৮ আসনে দলের মনোনীত সংসদসদস্য প্রার্থী মুফতী কেফায়েতুল্লাহ।
শনিবার সকালে মতিঝিল টিএন্ডটি কলোনী থেকে কয়েক হাজার নেতাকর্মী নিয়ে পল্টন, রমনা, শাহজাহানপুর ও শাহবাগ থানার গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মোটরসাইকেল শোডাউন করেন তিনি।
শোডাউন শেষে বাইতুল মোকাররম উত্তর গেটে একটি পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সভাপতির বক্তব্যে মুফতী কেফায়েতুল্লাহ কাশফী বলেন, ‘‘স্বাধীনতার পর থেকে দেশে অনেকবার ক্ষমতার পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বারবার তারা ব্যর্থ হয়েছে। নিজেদের পকেট ভারি করেছে। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে পেশীশক্তির ব্যবহার করেছে। আমরা কথা দিচ্ছি, আপনারা যদি ইসলামের ওপর আস্থা রাখেন তবে আমরা মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় খাদেম হয়ে কাজ করবো ইনশাআল্লাহ।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘আমাকে পীর সাহেব চরমোনাই ঢাকা-৮ আসনের জন্য মনোনীত করেছেন। আপনারা আমাকে বিজয়ী করুন, আমি এই আসনের মানুষের খাদেম হতে চাই।’’
শোডাউনে আরো অংশ নেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমাদ আবদুল কাইয়ুম, কেন্দ্রীয় সহ-প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা কেএম শরীয়াতুল্লাহ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মনির হোসাইন, পল্টন থানা সভাপতি কবির হোসেন খোকন, রমনা থানা সভাপতি অ্যাডভোকেট ফেরদৌস আহমাদ চৌধুরী, মতিঝিল থানা সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রাসেল খান, শাহবাগ থানা সভাপতি তকদির হোসেন রুবেল, শাহজাহানপুর থানা সভাপতি মাওলানা আবু ইউসুফ এবং ঢাকা-০৮ আসনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যসহ তৃণমূল নেতৃবৃন্দ।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন