শেরপুরে প্রতিদিন বিকেলে বসে পিঁপড়ার ডিমের হাট, সংসার চলে সেই আয়ে
Published: 22nd, October 2025 GMT
লম্বা লাঠির মাথায় বাঁধা হয়েছে জাল। সঙ্গে আছে বাঁশের তৈরি ঝুড়ি। এসব হাতিয়ার নিয়ে গারো পাহাড়ের গাছে গাছে পিঁপড়ার বাসা খুঁজে বেড়ান শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার কয়েকজন বাসিন্দা। কাঙ্ক্ষিত বাসা খুঁজে পেলে বাঁশে বাঁধা জালের সাহায্যে পিঁপড়ার ডিম নিচে নামান। এরপর পিঁপড়ার কামড় সহ্য করে এসব ডিম আলাদা করে রাখেন সেই ঝুড়িতে। পরে সেগুলো বিক্রি করেন বাজারে। এভাবে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে সেখানকার শতাধিক পরিবার।
উপজেলার বাঁকাকুড়া, গজনি, নয়ারাংটিয়া, বউবাজার ও বটতলা গ্রামে প্রতিদিন বিকেলে বসে পিঁপড়ার ডিমের হাট। প্রতি কেজি ডিম বিক্রি হয় ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়। একেকজন সংগ্রাহক দিনে গড়ে ৪০০ থেকে ৭০০ গ্রাম ডিম সংগ্রহ করতে পারেন। পরে সেগুলো ওজন করে কার্টনে ভরে পাঠানো হয় মহাজনের কাছে। সন্ধ্যায় তালিকা অনুযায়ী সংগ্রাহকদের টাকা পরিশোধ করা হয়।
গারো পাহাড়ের ডিম সংগ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মূলত বড়শি দিয়ে মাছ ধরেন—এমন শিকারিরাই পিঁপড়ার ডিমের প্রধান ক্রেতা। মাছ ধরার প্রতিযোগিতার পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে এসব ডিমের বেশ চাহিদা থাকে। দুই থেকে চারজন মিলে দল গঠন করে সংগ্রাহকেরা গারো পাহাড়ের শাল-গজারির বন, ঝোপঝাড় ও বড় গাছে পিঁপড়ার বাসা খোঁজেন।
সম্প্রতি সীমান্তবর্তী নয়ারাংটিয়া গ্রামের বউবাজারে দেখা গেছে, কয়েকজন সংগ্রহ করা ডিম নিয়ে বাজারে এসেছেন। ডিমের সঙ্গে থাকা পিঁপড়া ছাড়িয়ে এসব ওজন করে বিক্রি হচ্ছে কেজি দরে। ব্যবসায়ীরা এসব ডিম প্যাকেটজাত করে পাঠান রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়।
হাটে বিক্রির পর কার্টনে ভরে এসব ডিম দেশের নানা প্রান্তে পাঠানো হয়.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এসব ড ম
এছাড়াও পড়ুন:
চিনি আমদানি বন্ধ, আগে দেশি কলের চিনি বিক্রি হবে: শিল্প উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকারের শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, বিদেশ থেকে চিনি আমদানি করা আপাতত বন্ধ। দেশের চিনিকলের উৎপাদিত চিনি আগে বিক্রি হবে।
আজ শনিবার সকালে নাটোর উত্তরা গণভবনের উন্নয়নমূলক সংস্কারকাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন এ উপদেষ্টা।
চিনি নিয়ে শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান বলেন, ‘বিদেশ থেকে চিনি আমদানি করা আপাতত বন্ধ। কারণ, আমাদের দেশের চিনিকলগুলোতে উৎপাদিত যে চিনি জমা রয়েছে, সে চিনি আগে টিসিবির মাধ্যমে বিক্রি করছি। এটা চলমান রয়েছে। চিনিতে লাভ খুব দ্রুত আসে না। আমাদের দেশের চিনিকলগুলো ব্রিটিশ আমলের তৈরি। সারা দেশের যে চাহিদা, তার ছোট অংশ আমরা স্থানীয়ভাবে পূরণ করতে পারি। সক্ষমতা শুধু চিনির ওপর না থেকে চিনির সঙ্গে সঙ্গে অন্য কিছু উৎপাদনের চিন্তা করছে সরকার।’
শিল্প উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘ভর্তুকি দিয়ে চালানো চিনিকল চালানো সম্ভব নয়। আমরা চেষ্টা করছি। তাই আমাদের সময়ে বা আগামী সরকারের সময় ভালো খবর আসবে। দেশি উদ্যোক্তাদের প্রতি আমাদের আগ্রহ বেশি।’
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, ‘আমাদের কাজ হচ্ছে উত্তরা গণভবনকে তৈরি রাখা। সভা কখন হবে তার নির্ধারিত তারিখ নেই। প্রত্যেক সরকারের আমলে সাধারণত একটি সভা হয়। বা তার চেয়ে বেশি হয়। দীর্ঘদিন এ গণভবনটি অবহেলিত ছিল। তাকে আমরা তৈরি করলাম।’
এ সময় পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আকন্দ মোহাম্মদ ফয়সাল উদ্দীন, নাটোরের জেলা প্রশাসক আসমা শাহীন, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আবদুল ওয়াহাবসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।