পুতিনের সঙ্গে বৈঠক স্থগিত করল হোয়াইট হাউস, ‘সময় নষ্ট’ করতে চান না ট্রাম্প
Published: 22nd, October 2025 GMT
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুখোমুখি বৈঠকের পরিকল্পনা স্থগিত করেছে হোয়াইট হাউস। পরে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি কোনো ‘অর্থহীন বৈঠকে’ বসে সময় নষ্ট করতে চান না।
গতকাল মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে দেওয়া এক বক্তব্যে ট্রাম্প ইঙ্গিত দেন, আলোচনার পথে একটি বড় বাধা হলো বর্তমান সমররেখায় লড়াই বন্ধে রাশিয়ার অস্বীকৃতি।
এর আগে হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘নিকট ভবিষ্যতে’ ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের ‘কোনো পরিকল্পনা’ নেই। অথচ গত বৃহস্পতিবার ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন, দুই সপ্তাহের মধ্যে বুদাপেস্টে পুতিনের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হবে।
আরও পড়ুনরাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেন জিতবে কি না সন্দিহান ট্রাম্প, পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি১৭ ঘণ্টা আগেবিশ্লেষকেরা বলছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার শান্তি প্রস্তাবের মূল পার্থক্যগুলো এ সপ্তাহে ক্রমেই আরও বেশি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এসব পার্থক্য দুই নেতার শীর্ষ বৈঠকের সম্ভাবনাকে কার্যত শেষ করে দিয়েছে।
গত আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় তড়িঘড়ি আয়োজিত এক বৈঠকে সর্বশেষ মুখোমুখি হয়েছিলেন ট্রাম্প ও পুতিন। তবে ওই বৈঠকে কোনো সুনির্দিষ্ট ফলাফল আসেনি।
ট্রাম্প-পুতিন দ্বিতীয় বৈঠকের পরিকল্পনা স্থগিত হওয়ার সিদ্ধান্তকে অনেকে দেখছেন আগের মতো অর্থহীন বৈঠক এড়ানোর কৌশল হিসেবে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার শান্তি প্রস্তাবের মূল পার্থক্যগুলো এ সপ্তাহে ক্রমেই আরও বেশি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এসব পার্থক্য দুই নেতার শীর্ষ বৈঠকের সম্ভাবনাকে কার্যত শেষ করে দিয়েছে।একজন জ্যেষ্ঠ ইউরোপীয় কূটনীতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমার মনে হয় রাশিয়া খুব বেশি কিছু চাইছিল, আর যুক্তরাষ্ট্র বুঝে গেছে, বুদাপেস্টে ট্রাম্প কোনো চুক্তি করতে পারবেন না।’
ট্রাম্প-পুতিন শীর্ষ বৈঠকের আগে এ সপ্তাহে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ও রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের মধ্যে প্রস্তুতিমূলক বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। তবে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, দুই মন্ত্রীর মধ্যে ইতিমধ্যেই ‘গঠনমূলক’ ফোনালাপ হয়েছে এবং আলাদা বৈঠকের আর ‘প্রয়োজন নেই’।
আরও পড়ুনরাশিয়ায় হামলা চালাতে ইউক্রেনকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছেন না ট্রাম্প১৮ অক্টোবর ২০২৫গত সোমবার ডোনাল্ড ট্রাম্প কিয়েভ ও ইউরোপীয় নেতাদের সমর্থিত এক যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব সমর্থন করেন। সেখানে বর্তমান সমররেখায় সংঘাত স্থির রাখার আহ্বান জানানো হয়।
ট্রাম্প সে সময় বলেন, ‘যেভাবে আছে, সেভাবেই সীমানারেখা টেনে দাও। আমি বলছি, সমররেখায় থামো, ঘরে ফিরে যাও, লড়াই থামাও, মানুষ হত্যা বন্ধ করো।’
তবে রাশিয়া বারবারই বর্তমান সমররেখা স্থির রাখার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, রাশিয়াকে এ প্রস্তাব একাধিকবার দেওয়া হয়েছে, কিন্তু তার অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে। অর্থাৎ পূর্ব ইউক্রেনের সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলগুলো থেকে ইউক্রেনীয় সেনাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহারই রাশিয়ার শর্ত।
রাশিয়াকে বর্তমান সমররেখা স্থির রাখার প্রস্তাব একাধিকবার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মস্কোর অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে।দিমিত্রি পেসকভ, ক্রেমলিনের মুখপাত্রগতকাল সের্গেই লাভরভ বলেন, মস্কো শুধু ‘দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই শান্তিতে’ আগ্রহী। তিনি ইঙ্গিত দেন, বর্তমান সমররেখায় সংঘাত স্থির করা মানে শুধু সাময়িক যুদ্ধবিরতি।
লাভরভ বলেন, সংঘাতের ‘মূল কারণগুলোর’ সমাধান করতে হবে। ক্রেমলিনের ভাষায়, এর মানে হলো, রাশিয়ার সর্বোচ্চ দাবিগুলো, দনবাস অঞ্চলে রুশ সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি ও ইউক্রেনীয় সেনাদের নিরস্ত্রীকরণ। এসব শর্ত কিয়েভ ও এর ইউরোপীয় মিত্রদের কাছে একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।
একই দিন ইউরোপীয় নেতারা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের যেকোনো আলোচনা শুরু হওয়া উচিত বর্তমান সমররেখা স্থির রাখার মাধ্যমে। রাশিয়া ‘শান্তির ব্যাপারে আন্তরিক নয়’ বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা।
আরও পড়ুনট্রাম্প-পুতিন দীর্ঘ ফোনালাপ, হাঙ্গেরিতে হবে বৈঠক১৬ অক্টোবর ২০২৫সম্প্রতি হোয়াইট হাউসে জেলেনস্কির সঙ্গে এক বৈঠক করেন ট্রাম্প। এর আগের দিন টেলিফোনে পুতিনের সঙ্গে হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে শীর্ষ বৈঠক নিয়ে আলোচনা করেছিলেন।
ট্রাম্প-পুতিন শীর্ষ বৈঠকের আগে এ সপ্তাহে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ও রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের মধ্যে প্রস্তুতিমূলক বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। তবে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, দুই মন্ত্রীর মধ্যে ইতিমধ্যেই ‘গঠনমূলক’ ফোনালাপ হয়েছে এবং আলাদা বৈঠকের আর ‘প্রয়োজন নেই’।কিছু প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই বৈঠক ‘বাগ্বিতণ্ডায়’ পরিণত হয়েছিল। একাধিক সূত্র জানায়, সম্ভাব্য এক চুক্তির অংশ হিসেবে ট্রাম্প ইউক্রেনকে দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের বিস্তীর্ণ অঞ্চল (একত্রে দনবাস নামে পরিচিত) রাশিয়ার কাছে ছেড়ে দিতে চাপ দিয়েছিলেন।
তবে জেলেনস্কি বরাবরই বলেছেন, ইউক্রেন দনবাসের যে অংশগুলো এখনো নিজেদের দখলে রেখেছে, তা কখনো ছাড়বে না। কারণ, রাশিয়া ওই অঞ্চলগুলো পরবর্তী হামলার ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করতে পারে।
আরও পড়ুনজেলেনস্কিকে চুক্তির পরামর্শ ট্রাম্পের১৮ অক্টোবর ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পরর ষ ট রমন ত র ইউক র ন য দ ধ য ক তর ষ ট র প রস ত ব ইউর প য় ল ভরভ
এছাড়াও পড়ুন:
পুতিনের সঙ্গে বৈঠক স্থগিত করল হোয়াইট হাউস, ‘সময় নষ্ট’ করতে চান না ট্রাম্প
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুখোমুখি বৈঠকের পরিকল্পনা স্থগিত করেছে হোয়াইট হাউস। পরে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি কোনো ‘অর্থহীন বৈঠকে’ বসে সময় নষ্ট করতে চান না।
গতকাল মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে দেওয়া এক বক্তব্যে ট্রাম্প ইঙ্গিত দেন, আলোচনার পথে একটি বড় বাধা হলো বর্তমান সমররেখায় লড়াই বন্ধে রাশিয়ার অস্বীকৃতি।
এর আগে হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘নিকট ভবিষ্যতে’ ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের ‘কোনো পরিকল্পনা’ নেই। অথচ গত বৃহস্পতিবার ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন, দুই সপ্তাহের মধ্যে বুদাপেস্টে পুতিনের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হবে।
আরও পড়ুনরাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেন জিতবে কি না সন্দিহান ট্রাম্প, পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি১৭ ঘণ্টা আগেবিশ্লেষকেরা বলছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার শান্তি প্রস্তাবের মূল পার্থক্যগুলো এ সপ্তাহে ক্রমেই আরও বেশি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এসব পার্থক্য দুই নেতার শীর্ষ বৈঠকের সম্ভাবনাকে কার্যত শেষ করে দিয়েছে।
গত আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় তড়িঘড়ি আয়োজিত এক বৈঠকে সর্বশেষ মুখোমুখি হয়েছিলেন ট্রাম্প ও পুতিন। তবে ওই বৈঠকে কোনো সুনির্দিষ্ট ফলাফল আসেনি।
ট্রাম্প-পুতিন দ্বিতীয় বৈঠকের পরিকল্পনা স্থগিত হওয়ার সিদ্ধান্তকে অনেকে দেখছেন আগের মতো অর্থহীন বৈঠক এড়ানোর কৌশল হিসেবে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার শান্তি প্রস্তাবের মূল পার্থক্যগুলো এ সপ্তাহে ক্রমেই আরও বেশি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এসব পার্থক্য দুই নেতার শীর্ষ বৈঠকের সম্ভাবনাকে কার্যত শেষ করে দিয়েছে।একজন জ্যেষ্ঠ ইউরোপীয় কূটনীতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমার মনে হয় রাশিয়া খুব বেশি কিছু চাইছিল, আর যুক্তরাষ্ট্র বুঝে গেছে, বুদাপেস্টে ট্রাম্প কোনো চুক্তি করতে পারবেন না।’
ট্রাম্প-পুতিন শীর্ষ বৈঠকের আগে এ সপ্তাহে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ও রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের মধ্যে প্রস্তুতিমূলক বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। তবে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, দুই মন্ত্রীর মধ্যে ইতিমধ্যেই ‘গঠনমূলক’ ফোনালাপ হয়েছে এবং আলাদা বৈঠকের আর ‘প্রয়োজন নেই’।
আরও পড়ুনরাশিয়ায় হামলা চালাতে ইউক্রেনকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছেন না ট্রাম্প১৮ অক্টোবর ২০২৫গত সোমবার ডোনাল্ড ট্রাম্প কিয়েভ ও ইউরোপীয় নেতাদের সমর্থিত এক যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব সমর্থন করেন। সেখানে বর্তমান সমররেখায় সংঘাত স্থির রাখার আহ্বান জানানো হয়।
ট্রাম্প সে সময় বলেন, ‘যেভাবে আছে, সেভাবেই সীমানারেখা টেনে দাও। আমি বলছি, সমররেখায় থামো, ঘরে ফিরে যাও, লড়াই থামাও, মানুষ হত্যা বন্ধ করো।’
তবে রাশিয়া বারবারই বর্তমান সমররেখা স্থির রাখার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, রাশিয়াকে এ প্রস্তাব একাধিকবার দেওয়া হয়েছে, কিন্তু তার অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে। অর্থাৎ পূর্ব ইউক্রেনের সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলগুলো থেকে ইউক্রেনীয় সেনাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহারই রাশিয়ার শর্ত।
রাশিয়াকে বর্তমান সমররেখা স্থির রাখার প্রস্তাব একাধিকবার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মস্কোর অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে।দিমিত্রি পেসকভ, ক্রেমলিনের মুখপাত্রগতকাল সের্গেই লাভরভ বলেন, মস্কো শুধু ‘দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই শান্তিতে’ আগ্রহী। তিনি ইঙ্গিত দেন, বর্তমান সমররেখায় সংঘাত স্থির করা মানে শুধু সাময়িক যুদ্ধবিরতি।
লাভরভ বলেন, সংঘাতের ‘মূল কারণগুলোর’ সমাধান করতে হবে। ক্রেমলিনের ভাষায়, এর মানে হলো, রাশিয়ার সর্বোচ্চ দাবিগুলো, দনবাস অঞ্চলে রুশ সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি ও ইউক্রেনীয় সেনাদের নিরস্ত্রীকরণ। এসব শর্ত কিয়েভ ও এর ইউরোপীয় মিত্রদের কাছে একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।
একই দিন ইউরোপীয় নেতারা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের যেকোনো আলোচনা শুরু হওয়া উচিত বর্তমান সমররেখা স্থির রাখার মাধ্যমে। রাশিয়া ‘শান্তির ব্যাপারে আন্তরিক নয়’ বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা।
আরও পড়ুনট্রাম্প-পুতিন দীর্ঘ ফোনালাপ, হাঙ্গেরিতে হবে বৈঠক১৬ অক্টোবর ২০২৫সম্প্রতি হোয়াইট হাউসে জেলেনস্কির সঙ্গে এক বৈঠক করেন ট্রাম্প। এর আগের দিন টেলিফোনে পুতিনের সঙ্গে হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে শীর্ষ বৈঠক নিয়ে আলোচনা করেছিলেন।
ট্রাম্প-পুতিন শীর্ষ বৈঠকের আগে এ সপ্তাহে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ও রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের মধ্যে প্রস্তুতিমূলক বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। তবে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, দুই মন্ত্রীর মধ্যে ইতিমধ্যেই ‘গঠনমূলক’ ফোনালাপ হয়েছে এবং আলাদা বৈঠকের আর ‘প্রয়োজন নেই’।কিছু প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই বৈঠক ‘বাগ্বিতণ্ডায়’ পরিণত হয়েছিল। একাধিক সূত্র জানায়, সম্ভাব্য এক চুক্তির অংশ হিসেবে ট্রাম্প ইউক্রেনকে দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের বিস্তীর্ণ অঞ্চল (একত্রে দনবাস নামে পরিচিত) রাশিয়ার কাছে ছেড়ে দিতে চাপ দিয়েছিলেন।
তবে জেলেনস্কি বরাবরই বলেছেন, ইউক্রেন দনবাসের যে অংশগুলো এখনো নিজেদের দখলে রেখেছে, তা কখনো ছাড়বে না। কারণ, রাশিয়া ওই অঞ্চলগুলো পরবর্তী হামলার ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করতে পারে।
আরও পড়ুনজেলেনস্কিকে চুক্তির পরামর্শ ট্রাম্পের১৮ অক্টোবর ২০২৫