ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিকসে অর্থনীতিতে তিনটি প্রোগ্রাম, আবেদন ফি ১০০০ টাকা
Published: 22nd, October 2025 GMT
ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিকসে ২০২৫–২৬ সেশনে অর্থনীতি বিষয়ে তিনটি মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অঙ্গীভূত প্রতিষ্ঠান।
প্রোগ্রামের বিবরণ
১. আবেদন ফি: ১ হাজার টাকা।
২. মাস্টার্স প্রোগ্রামে সময়: ১৮ মাস।
৩. ক্রেডিট সংখ্যা: ৫২।
প্রোগ্রামের বিশেষ দিক
- থিওরি ও প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস সমন্বিত আধুনিক শিক্ষণপদ্ধতি।
- অভিজ্ঞ ও উচ্চ যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক।
- দেশে ও বিদেশে গবেষণা, শিল্প ও একাডেমিক ক্ষেত্রে কাজের সুযোগ।
- ফিল্ড ট্রিপ, ইন্ডাস্ট্রি এক্সপোজার ও কর্মদক্ষতা উন্নয়ন।
অর্থনীতি বিষয়ে তিনটি প্রোগ্রাম
১.
২. উন্নয়ন অর্থনীতি।
৩. উদ্যোক্তা অর্থনীতি।আরও পড়ুনখেলার বিকেএসপি পড়াশোনায়ও ভালো করছে২১ অক্টোবর ২০২৫পরিবেশ অর্থনীতি, উন্নয়ন অর্থনীতি ও উদ্যোক্তা অর্থনীতি
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ডেলিভারি খরচ কমাতে মেট্রোস্টেশনসহ নানা এলাকায় বসেছে ডিজিটাল লকার, কীভাবে সেবা নেবেন
রাজধানীর শেখেরটেক এলাকার বাসিন্দা তালহা জুবায়ের। প্রায়ই অনলাইনে পণ্য অর্ডার করেন। তবে পণ্য পৌঁছানোর জন্য কখনো ঠিকানা দেন অফিস, আবার কখনো বাসা। পণ্য পরিবহনকারী বা ডেলিভারিম্যান যখন পণ্য নিয়ে যান, সে মুহূর্তে তিনি সেখানে না–ও থাকতে পারেন। পণ্যটি সংগ্রহ করার কেউ না থাকলে ডেলিভারিম্যানকে ফেরত যেতে হয়। তবে ডিজিবক্সের ‘ডিজিটাল লকার’ সেবার কথা জানার পর ডেলিভারি নিয়ে চিন্তামুক্ত থাকছেন তিনি। ডিজিবক্সের ডিজিটাল লকারে পণ্য সংগ্রহের জন্য ৭২ ঘণ্টা সময় পাওয়া যায়। এর মাশুলও প্রচলিত এ ধরনের সেবার বিপরীতে মাশুলের অর্ধেকের কম। এ ছাড়া সেবার নিরাপত্তা দেওয়া হয় টু–ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন কোডের মাধ্যমে।
কোথায় সেবা পাবেন
দেশে এই ডিজিটাল লজিস্টিক প্রযুক্তি সেবা নিয়ে এসেছে স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান ‘ডিজিবক্স’। বর্তমানে দেশের ৫৫টি স্থানে এই ডিজিটাল লকার সেবা রয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বক্স রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকার ৩৬টি স্থানে এই লকার স্টেশন রয়েছে। আর রংপুর, রাজশাহী, বগুড়া, সিলেট ও চট্টগ্রাম জেলায় বাকি লকারগুলো রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি এখন পর্যন্ত প্রায় সাত লাখের বেশি গ্রাহককে সেবা দিয়েছে। রাজধানীর সব কটি মেট্রোস্টেশনে তাদের এই ডিজিটাল লকার–সুবিধা রয়েছে। তবে এসব ডিজিটাল লকারের ৬০ শতাংশ সেবা দিচ্ছে ই–কমার্স প্রতিষ্ঠান দারাজ বাংলাদেশ।
যেভাবে কাজ করে
অর্ডার করার সময় গ্রাহক ডিজিবক্স অপশন চাইলে ই–কমার্স প্ল্যাটফর্ম থেকে রাইডার বা ডেলিভারিম্যান পণ্য ওই গ্রাহকের নিকটস্থ ডিজিবক্সে রেখে যাবেন। গ্রাহক তখন একটি এসএমএস পাবেন। গ্রাহক ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সুবিধাজনক সময়ে পণ্য সংগ্রহ করতে পারবেন।
বর্তমানে ঢাকার জিগাতলা, মোহাম্মদপুর, আইসিটি ভবন, পূর্বাচল, গুলশান–২ ও তেজগাঁওয়ে এবং চট্টগ্রামে আগ্রাবাদ হোটেলের নিচে ডিজিবক্স চালু আছে। একেকটি পয়েন্ট থেকে দিনে ৩০০ গ্রাহককে সেবা দেওয়া যায়।
ডিজিবক্সের চেয়ারম্যান মোরশেদুল আলম বলেন, ‘আমাদের এই সেবার মাধ্যমে ভেলিভারি চার্জ ও ঝামেলা কমেছে। তাই আগামী দুই বছরে আমাদের বক্সের সংখ্যা বাড়িয়ে ২৫ হাজার করতে চাই। এর ফলে দেশের ই–কমার্সের ডেলিভারি সেবার গতি আরও বাড়বে।’
ডিজিবক্সে প্রায় এটিএম বুথের স্ক্রিনের মতোই একটি স্ক্রিন রয়েছে। সেখানে ‘রাইডার’ ও ‘কাস্টমার’ নামে দুটি অপশন আছে। ডেলিভারিম্যান যখন পণ্য রাখতে যাবেন, তখন রাইডার অপশন ব্যবহার করবে। অন্যদিকে গ্রাহকের জন্য কাস্টমার অপশন। সেখানে ই–মেইল বা মুঠোফোন নম্বর দিলে একটি ওটিপি কোড আসবে মেইলে বা মুঠোফোন নম্বরে। সেই কোড দিলে গ্রাহকের রাখা পণ্যের বক্সটি খুলে যাবে। গ্রাহক পণ্য সংগ্রহ করবেন। এ ছাড়া ১০০০ ফিক্স নামের প্রতিষ্ঠানটির সেবা নিতে পণ্য দেওয়া ও নেওয়া দুটিই এই বক্সের মাধ্যমে করা যাবে। তাদের জন্য আলাদা বক্স আছে।
এই ডিজিটাল লকার সেবায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও আইওটি (ইন্টারনেট অব থিংস) প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। এর পুরোটাই দেশে তৈরি। তবে এই সাড়ে পাঁচ হাজার বক্সের মাধ্যমে যেকোনো প্রতিষ্ঠান চাইলে তাদের পণ্য ডেলিভারি করতে পারবে।
ডিজিবক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজওয়ানুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘ব্যবসা সম্প্রসারণে আমরা দেশি–বিদেশি বিনিয়োগ নেওয়ার চেষ্টা করছি। এ ছাড়া চলতি বছরের ডিসেম্বরে আমরা বক্স টু বক্স সেবা চালু করছি। এর মাধ্যমে যে কেউ চাইলে তাদের পণ্য অন্য স্থানে পাঠাতে পারবে। আগামী বছর আমাদের আরও বেশ কিছু সেবা চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।’
কাদের সেবা মিলবে
দারাজ বাংলাদেশ ও ১০০০ ফিক্স সার্ভিসের সেবা পাওয়া যাবে ডিজিবক্সে। কীভাবে পাবেন, সেটা দেখা যাক।
দারাজ বাংলাদেশ
বর্তমানে দারাজ বাংলাদেশ ডিজিবক্সের ৩৩টি ডিজিটাল লকারের মাধ্যমে সেবা দিয়ে আসছে। এর মধ্যে ঢাকায় রয়েছে ২৯টি। এ ছাড়া বাকি চারটি রাজশাহী, বগুড়া, রংপুর ও চট্টগ্রাম জেলায়। এই প্রযুক্তির ফলে এই ই–কমার্সের গ্রাহক ২৪ ঘণ্টা তাঁদের প্যাকেজ ডেলিভারির সুবিধা পান।
এই সেবা পাওয়ার জন্য পণ্য কেনার সময় ডেলিভারি মাধ্যম ডিজিবক্স নির্বাচন (সিলেক্ট) করতে হয়। তাঁর কাছাকাছি ডিজিবক্সের স্থান ঠিক করতে হবে। এর মাধ্যমে সর্বোচ্চ এক কেজির পণ্য অর্ডার করতে পারবেন। ফলে আকারও বক্সের আকারের চেয়ে বড় হওয়া যাবে না।
অর্ডারের পর পণ্য পৌঁছালে গ্রাহকের মুঠোফোনে খুদে বার্তা চলে আসবে। প্রত্যেক গ্রাহকের জন্য ডিজিবক্স স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি ইউনিক ওটিপি (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) বা কিউআর কোড তৈরি করে। প্রচলিত ডেলিভারি মাধ্যমে প্রকারভেদে ডেলিভারি চার্জ দিতে হয় ৭০ থেকে ১১০ টাকা। পণ্যের আকার ও স্থানভেদে এই চার্জ আরও বাড়তে পারে। তবে ডিজিবক্সের মাধ্যমে ডেলিভারি নিলে গ্রাহককে ২২ থেকে ৪৫ টাকা দিতে হয়।
দারাজ বাংলাদেশের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার এ এইচ এম হাসিনুল কুদ্দুস বলেন, ‘ভবিষ্যতে আমরা এই সেবা বিশ্ববিদ্যালয়, পার্ক, অফিস কমপ্লেক্স ও আবাসিক এলাকায় সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছি। দীর্ঘ মেয়াদে ডিজিবক্সকে “গ্রিন লজিস্টিকস” সমাধান হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে।’
১০০০ ফিক্স সার্ভিস
মুঠোফোন, ল্যাপটপ, ডেস্কটপ কিংবা যেকোনো স্মার্ট ইলেকট্রনিকস ডিভাইস সার্ভিস করে। বর্তমানে তারাও ডিজিবক্সের মাধ্যমে সেবা নিচ্ছে। তবে তারা আলাদাভাবে ডিজিবক্সের মাধ্যমে তাদের ডিজিটাল পদ্ধতি তৈরি করেছে। বর্তমানে শেওড়াপাড়া সার্ভিস সেন্টার, আগারগাঁও মেট্রোস্টেশন, ফার্মগেট স্টেশন, মতিঝিল মেট্রোস্টেশন ও ইসিএস কম্পিউটার সিটি (মাল্টিপ্ল্যান) এই ডিজিবক্স–সুবিধার মাধ্যমে পণ্য সংগ্রহ ও সার্ভিসের জন্য দেওয়া যায়।
এই সেবা নিতে চাইলে একজন গ্রাহক প্রথমে তাঁর ডিভাইস সিলেক্ট করতে হবে। তারপর ব্র্যান্ড নির্বাচন করে তার মডেল সিলেক্ট করতে হবে। তারপর সার্ভিসের জন্য নির্দিষ্ট বক্সে জমা দিতে হবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর (এআই) ইমেজ রিকগনিশন সিস্টেম ডিভাইস শনাক্ত করে, গ্রাহকের তথ্য নথিভুক্ত করে ও নিরাপদভাবে লকারে সংরক্ষণ করে। সার্ভিস শেষে ফোনে খুদে বার্তার মাধ্যমে তথ্য দেওয়া হয়। তারপর গ্রাহক তাঁর পণ্য সংগ্রহ করেন।
স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেডের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা রিজওয়ানুল হক বলেন, ‘আমরা খুব শিগগির চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেটসহ দেশের অন্য বড় শহরগুলোয়ও এই সেবা সম্প্রসারণ করব।’