কুড়িগ্রামের রৌমারীতে জমি দখলের অভিযোগে যাদুরচর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শাহ জালাল সোহান ও সদস্য নাজমুল হোসেন টাইগারকে প্রাথমিকভাবে দল থেকে বহিষ্কার করেছে জেলা যুবদল। 

বুধবার (২২ অক্টোবর) জেলা যুবদলের সভাপতি রায়হান কবির ও সাধারণ সম্পাদক নাদিম আহমেদ স্বাক্ষরিত এক পত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

যাদুর চর ইউনিয়নের কোমরভাঙি মধ্যপাড়া এলাকায় ১৬ শতক জমির মধ্যে আট শতক জমি ৩০ বছর আগে আয়নাল নামের এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করেন আব্দুল কাদের। আয়নাল মিয়া মারা যাওয়ার পর তার ছেলে চাঁন মিয়া ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহজালাল ও সদস্য নাজমুল হোসেন টাইগারসহ ১২ জনকে ভাড়া করে এনে জোরপূর্বক বাকি আট শতক জমিও দখল করার চেষ্টা করেন। এ সময় প্রতিবাদ করায় ভুক্তভোগীর পরিবারের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তারা। পরে গ্রামবাসী ভাড়াটিয়াদের ধাওয়া শুরু করলে একপর্যায়ে প্রাণ বাঁচাতে মোটরসাইকেল ফেলে তারা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম জেলা যুবদল সভাপতি রায়হান কবীর বলেছেন, দলীয় নেতাকর্মীরা ব্যক্তিগত স্বার্থে এ ধরনের কাজে জড়ালে তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। তাই, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। 

রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম মালিক বলেছেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং পরিস্থিতি শান্ত করে। আব্দুস সামাদ নামের একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছিল। পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। 

ঢাকা/বাদশাহ্/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য বদল

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামে পাহাড় কাটায় সওজকে ১ কোটি ৩২ লাখ টাকা জরিমানা

পাহাড় কাটার অভিযোগে সড়ক ও জনপথ বিভাগকে ১ কোটি ৩২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। সড়ক সম্প্রসারণের জন্য সওজ প্রায় ৩৫ শতক পাহাড় কেটেছে। তদন্ত শেষে আজ বুধবার জরিমানা করা হয়।

পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চল কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ রসায়নবিদ গোলাম বাশির আহমেদ প্রথম আলোকে জরিমানার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আইন অমান্য করে এবং সরকারি অনুমোদন ছাড়া পাহাড় কাটার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এ জরিমানা করা হয়েছে।

সওজের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ জাহেদ হোসেন দাবি করেন, তাঁরা জনস্বার্থে পাহাড় কেটে সেতু তৈরি করেছেন। তবে পরিবেশ অধিদপ্তর যে পরিমাণ উল্লেখ করেছে, সে পরিমাণ পাহাড় কাটা হয়নি। তারা এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।

পরিবেশ অধিদপ্তর জানায়, চট্টগ্রামে সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতাধীন ‘বারাইয়ারহাট-হেঁয়াকো-রামগড় সড়ক সম্প্রসারণ (এলওসি-৩)’ প্রকল্পের কাজে ওই পাহাড় কাটা হয়। এ সড়কের ১৭টি এলাকায় পাহাড় কাটা হয়। গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা গিয়ে পাহাড় কাটার প্রমাণ পান। এক বছরের মাথায় গত ৪ নভেম্বর আরেক দফা তদন্ত করা হয়। দুবার তদন্ত করে মোট ১ লাখ ৩২ হাজার ৫৭০ ঘনফুট বা ৩৪ দশমিক ৯২ শতক পাহাড় কাটার হিসাব বের করা হয়।

অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, আজ সওজের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ জাহেদ হোসেন, নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দীন চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে শুনানি হয়। এরপর জরিমানা করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ