রাশিয়ার দুটি প্রধান তেল কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের
Published: 23rd, October 2025 GMT
রাশিয়ার দুটি প্রধান জ্বালানি তেল কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেন যুদ্ধের ইতি টানতে রাশিয়া গড়িমসি করছে, এমন অভিযোগ এনে বুধবার এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। তবে এ দিন পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে একটি বড় প্রশিক্ষণ মহড়া চালিয়েছে রাশিয়া।
ওয়াশিংটন এমন একদিনে নতুন নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করল, যার আগের দিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যকার বৈঠকের পরিকল্পনা স্থগিত করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, রাশিয়ার দুইটি প্রধান তেল কোম্পানি রোসনেফট ও লুকয়েলকে নিশানা করে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, যাতে করে মস্কোর যুদ্ধে অর্থায়নের ক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এই পদক্ষেপ হোয়াটই হাউসের নীতিতে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। কারণ সম্প্রতি তাঁরা রাশিয়াকে চাপ দেওয়ার পাশাপাশি শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সমঝোতামূলক দৃষ্টিভঙ্গির নীতি গ্রহণ করেছিল। গত সপ্তাহেও মস্কোকে নিশানা করে পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকার মনোভাব দেখিয়েছেন ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের মন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেছেন, ‘এখনই হত্যা বন্ধ করার এবং তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি ঘোষণার সময়।’ তাঁর এই মন্তব্যের পর জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেলে প্রায় ২ ডলার বেড়েছে।
এদিকে নতুন শক্তি প্রদর্শনের অংশ হিসেবে ক্রেমলিন একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, রাশিয়ার সেনাপ্রধান জেনারেল ভ্যালেরি গেরাসিমভ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে মহড়ার খবরাখবর জানাচ্ছেন।
রাশিয়া জানিয়েছে, তারা স্থল, ডুবোজাহাজ এবং বিমানের লঞ্চার থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। এসবের মধ্যে এমন পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রও রয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানতে সক্ষম।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের দূরপাল্লার ‘টু-২২এম৩’ কৌশলগত বোমারু বিমান বাল্টিক সাগরে চক্কর দিয়েছে। চক্করের বিভিন্ন সময়ে বিদেশি, সম্ভবত ন্যাটোর যুদ্ধবিমান তাদের বোমারু বিমানকে অনুসরণ করেছে।
বুধবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোও রাশিয়ার ওপর ১৯তম নিষেধাজ্ঞার প্যাকেজের অনুমোদন দিয়েছে। এসব নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রাশিয়ার তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসও (এলএনজি) রয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র র
এছাড়াও পড়ুন:
কী অপেক্ষা করছে মিরপুরে?
যদি এভাবেও বলা হয় নিজেদের পাতা ফাঁদে বাংলাদেশ! তাহলে ভুল হবে না নিশ্চয়ই। স্পিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নাকাল করার ভাবনা থেকে মিরপুরের ২২ গজকে বাংলাদেশ চেনা রূপে সাজিয়েছিল। কিন্তু ড্যারেন স্যামির মস্তিষ্ক খেল দেখাল।
স্পিনের বদলায় স্পিন দিয়েই ঘায়েল করলো প্রতিপক্ষ শিবিরকে। তাইতো প্রথম ম্যাচে বাজেভাবে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতা আনতে পারে ক্যারিবীয়নারা। আজ সিরিজে শেষ ম্যাচ একই মাঠ মিরপুরে। দুপুর দেড়টা থেকে শুরুর অপেক্ষায় থাকা সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচকে ঘিরে একটাই প্রশ্ন, উৎকণ্ঠা আজ কী অপেক্ষা করছে মিরপুরে?
একদিনে আগেই বাংলাদেশ ম্যাচ হারলেও শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছে। ম্যাচ টাইয়ের পর প্রথমবার সুপার ওভার খেলতে পারে। সুপার ওভারে অবশ্য সুপার ফ্লপ ছিল স্বাগতিকরা। ম্যাচ পরিস্থিতি বোঝার ঘাটতি, বোলিং পরিবর্তনে আনাড়িপনা, সুপার ওভারে ভুল ব্যাটসম্যান নির্বাচন- সর্বোপরি অতীতের সকল ব্যর্থতা আর বিতর্ককেই ছাপিয়ে গেছে মেহেদি হাসান মিরাজের দল। তবুও আশা দেখিয়েছেন অধিনায়ক, ‘‘আমরা পরের ম্যাচের দিকে তাকিয়ে আছি।’’ দু’দলেরই সামনে সুযোগ সিরিজ নিশ্চিতের, পাশাপাশি র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার সুযোগের।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ৩৫টি ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে। ১৮টিতে প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করেছে। জয় পাওয়া সিরিজে তিন ম্যাচের সিরিজ আছে ২৪টি। এর বাইরে ৫, ৪, ২ ও ১ ম্যাচের সিরিজ আছে ১১টি।
তিন ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশ ২-১ ব্যবধানে জিতেছে এগারবার। ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশও আছে ১১টি। এছাড়া তিন ম্যাচ সিরিজে ২-০ ব্যবধানে জিতেছে দুইটি।
বাংলাদেশ আজ জিতলে জিতবে ৩৬তম ওয়ানডে সিরিজ। ১-১ সমতায় থাকা সিরিজের পারফরম্যান্স, অতীত রেকর্ড একেবারেই খারাপ নয়। তিন ম্যাচের সিরিজের শেষ ম্যাচ হেরে সিরিজ খোয়ানোর রেকর্ড আছে ৬টি। সিরিজ জয়ের কীর্তি ৫টি। এছাড়া পিছিয়ে থেকে সিরিজ জয়ের রেকর্ড আছে ২টি, সিরিজ নিশ্চিতের পর শেষ ম্যাচ হেরেছে ৪টি।
অতীতেও বলা, পরিসংখ্যান কেবলই একটি সংখ্যা। যা শুধু আত্মবিশ্বাস দিতে পারে। বাংলাদেশের জন্য এই মুহূর্তে এসব পরিসংখ্যান খুব একটা মাইনে রাখবে না। মাঠের ২২ গজে পারফরম্যান্সই এখন বড় বিষয়। বছরের শেষ আন্তর্জাতিক ওয়ানডে খেলতে নেমে দল কতটা জয়ের জন্য লড়তে পারেন, জান দিয়ে খেলতে পারেন সেটাই দেখার। এ বছর ওয়ানডেতে রেকর্ড খুবই বাজে। ১০ ম্যাচে মাত্র ২ জয় পেয়েছে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারাতে আজ নিজেদের সেরা ক্রিকেটটাই খেলতে হবে। বিশেষ করে ব্যাটসম্যানদের রান করতে হবে। স্পিনাররা আবার কঠিন পরীক্ষা নেবে বলার অপেক্ষা রাখে না। দেখার বিষয়, স্পিন-স্পিন আক্রমণে শেষ হাসিটা কারা হাসতে পারে?
ঢাকা/ইয়াসিন