সংবাদ সম্মেলন করে দল ছাড়লেন আ.লীগ নেতা
Published: 24th, October 2025 GMT
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ওবায়দুর ইসলাম দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে গোবিন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
আরো পড়ুন:
চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতির পদত্যাগের দাবিতে প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও
নাটোরে গণঅধিকার পরিষদের ৩৬ নেতাকর্মীর পদত্যাগ
লিখিত বক্তব্যে ওবায়দুর ইসলাম বলেন, “আমি বিগত দিনে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। আজ থেকে আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব ধরনের পদ-পদবি থেকে পদত্যাগ করছি। ভবিষ্যতে আর কখনো আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত থাকব না। দেশ ও জাতির কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত রাখব।”
তিনি জানান, আওয়ামী লীগের বর্তমান রাজনৈতিক নীতি ও আদর্শের সঙ্গে তিনি একমত নন, এ কারণেই দল থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন।
ঢাকা/বাদল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পদত য গ আওয় ম ল গ পদত য গ আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
ছেলের দায়ের আঘাতে বাবার মৃত্যু, গ্রেপ্তার ২
ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়ায় ছেলের দায়ের আঘাতে বাবার মৃত্যু হয়েছে। ছেলেকে বাঁচাতে স্বামীর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ গোপন করে লাশ দাফন করেছেন স্ত্রী। পরে প্রকৃত ঘটনা জানতে পেরে নিহতের স্ত্রী ও ছেলেকে আসামি করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নিহতের ভাই। তাদেরকে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে আদালতে নিয়ে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছে পুলিশ।
নিহত এনামুল হক দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার শিবরামপুর এলাকার বাসিন্ধা। তিনি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আশুলিয়ার পূর্ব ডেন্ডাবর এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে অটোরিকশা চালাতেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাতে নিহতের ভাই আমিরুল ইসলামের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নিহতের ছেলে ফাহিম (১৯) ও স্ত্রী ফাতেমা বেগমকে (৪০) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গত ১৯ অক্টোবর পারিবারিক কলহের জের ধরে ধারালো দা দিয়ে নিহত এনামুলের মাথায় আঘাত করেন ছেলে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন ২০ অক্টোবর তার মৃত্যু হয়। ছেলেকে বাঁচাতে এনামুলের স্ত্রী স্বজনদের বলেন যে, ছিনতাইকারীরা এনামুলকে কুপিয়ে পালিয়ে গেছে। পরে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে লাশ দাফন করা হয়। তবে, প্রতিবেশীদের দেওয়া তথ্য ও বাসার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে প্রকৃত ঘটনা জানতে পেরে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নিহতের ভাই।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহেল আল মামুন বলেছেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে হাতে থাকা ধারালো দা দিয়ে বাবাকে আঘাত করার কথা স্বীকার করেছেন ছেলে। ছেলেকে বাঁচাতে তথ্য গোপন করে লাশ দাফন করেন নিহতের স্ত্রী। তাদেরকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা/সাব্বির/রফিক