রূপগঞ্জে হিন্দুত্ববাদী উগ্র সংগঠন ইস্কন নিষিদ্ধের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার(২৪ অক্টোবর)জুমার নামাজ শেষে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কর্ণগোপ এলাকায় সর্বস্তরের তাওহীদী জনতার উদ্দোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে হাফেজ মাওলানা মুফতি শিহাবউদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং হাফেজ মাওলানা মুফতি রাসেল আহমদ ফয়েজির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মুফতি শহিদুল ইসলাম বাগিচা পুরী। 

বক্তারা ইস্কনকে একটি “উগ্র হিন্দুত্ববাদী ও সন্ত্রাসী সংগঠন” আখ্যা দিয়ে সংগঠনটি দ্রুত নিষিদ্ধ করার দাবি জানান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শহিদুল ইসলাম বাগিচা পুরী বলেন,দেশে শান্তি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার স্বার্থে ইস্কন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।এ উগ্র সংগঠনকে আইনের আওতায় আনতে হবে।

তারা এ্যাডভোকেট আলিফকে হত্যা করেছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে ইসলামী নেতৃবৃন্দ ও ইমাম-খতিবদের উপর হামলা চালিয়েছে, এমনকি গাজীপুরে গুমের ঘটনায়ও তাদের সম্পৃক্ততা রয়েছে।

সন্ত্রাসী ইসকনের সদস্য যখন ধর্ষণ করে তখন তার পক্ষেই পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যন্ত বিবৃতি দেয়া হয় এবং ধর্ষণের ঘটনাকে প্রেমের সম্পর্ক বলে অপরাধকে ছোট করে ধর্ষককে বাঁচানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

পুলিশসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে ঘাপটি মেরে থাকা ইসকন সদস্য ও আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দালালদের বের করে বিচারের সম্মুখীন করতে হবে। তাই সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি সরকার যেন এই সন্ত্রাসী সংগঠনকে অনতিবিলম্বে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।

 এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ওমর আলী ভূঁইয়া, আবু দায়েন ভূঁইয়া,আবু তৈয়ব ভূঁইয়া, আবু সায়েম ভূঁইয়া, আল আমিন মিয়া, আমির হোসেন, মোবাশ্বির ভূঁইয়া, আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া প্রমুখ।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

কক্সবাজারে নদীবন্দরের সীমানা নিয়ে উত্তেজনা, বিক্ষোভে পিছু হটল বিআইডব্লিউটিএ

কক্সবাজার শহরে নদীবন্দরের সীমানা নির্ধারণ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। আজ রোববার দুপুরে শহরের বাঁকখালী নদীর কস্তরাঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শেষ পর্যন্ত স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিয়ে পিছু হটেন বিআইডব্লিউটিএর (বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ) কর্মকর্তারা।

স্থানীয় সূত্র জানায়, আজ কস্তুরাঘাট এলাকায় নদীবন্দরের সীমানা নির্ধারণে বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তারা আসবেন—এমন খবরেই সকাল থেকেই স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হতে থাকেন। সকাল ৯টা থেকে বদরমোকাম, কস্তুরাঘাট ও পেশকারপাড়ার লোকজন গাছের গুঁড়ি ফেলে ও টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ শুরু করেন। এতে ওই এলাকার যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বেলা ১১টার দিকে একই জায়গায় কয়েক শ নারী-পুরুষ এক হয়ে মানববন্ধন করেন। পরে দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ, র‌্যাব, আনসারসহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তারা কস্তুরাঘাট এলাকায় পৌঁছান। এরপর উত্তেজনা আরও বাড়ে। শেষ পর্যন্ত সীমানা নির্ধারণের কাজ বন্ধ করেই ফিরে যায় বিআইডব্লিউটিএ।

বিআইডব্লিউটিএ ও জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, গত ১ থেকে ৫ সেপ্টেম্বর বাঁকখালী নদীর ওই অংশে উচ্ছেদ অভিযানে ৪৯৬টি অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে প্রায় ৬৩ একর জমি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার জমি আবার দখলের ঝুঁকি থাকায় কাঁটাতারের বেড়া ও সীমানা পিলার দেওয়ার উদ্যোগ নেয় বিআইডব্লিউটিএ।

যা বলছেন বিক্ষোভকারীরা

অবরোধকারীদের দাবি, উচ্ছেদ হওয়া স্থানের মধ্যে ব্যক্তিমালিকানাধীন খতিয়ানভুক্ত জমিও রয়েছে। পারুল আক্তার নামের এক নারী বলেন, ‘আমাদের খতিয়ান আছে, খাজনাও দিচ্ছি। ক্ষতিপূরণ না দিয়ে বা আলোচনা না করে ঘরবাড়ি ভাঙা ও কাঁটাতার দেওয়া চলবে না।’

সাবিনা ইয়াছমিন নামের আরেক নারী বলেন, অনেক পাকা ভবন যখন তৈরি হলো, তখন কেউ থামাননি। এখন হঠাৎ উচ্ছেদ করা হয়েছে। এতে অনেকেই আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। ক্ষতিপূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা এ জায়গায় স্থায়ী কোনো অবকাঠামো হতে দেবেন না।

স্থানীয় বাসিন্দাদের এ মানববন্ধনে বিএনপি ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও অংশ নেন। তাঁদের একজন কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ও জেলা মহিলা দলের সভাপতি নাসিমা আকতার। তিনি বলেন, বাঁকখালী নদীর দখল নিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের পৃথক তিনটি মামলা রয়েছে। বিআইডব্লিউটিএর উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ নিয়েও হাইকোর্টে তিনটি মামলা হয়েছে। মামলা নিষ্পত্তি না করে ঘরবাড়ি উচ্ছেদ করে জায়গাজমিতে কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে ফেলা অন্যায়। আলোচনার মাধ্যমে সংকটের নিরসন না করলে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করতে পারে।
কর্মসূচিতে থাকা জেলা যুবদলের প্রচার সম্পাদক ও আইনজীবী মো. ইসমাইল বলেন, বিআইডব্লিউটিএর উচ্ছেদ করা জমিতে অসংখ্য মানুষের খতিয়ানভুক্ত জমি রয়েছে। উচ্ছেদ অভিযানের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে তিনিসহ ৭৭ জন মামলা করেছেন।

নদী বন্দরের সীমানা নির্ধারণের খবর শুনে সড়কে বেরিয়ে এসে বিক্ষোভ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আজ সকালে কক্সবাজারের কস্তুরা ঘাট এলাকায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাগরে নিখোঁজ ছাত্র অরিত্রকে উদ্ধারে অভিযান শুরুর দাবি
  • কক্সবাজারে নদীবন্দরের সীমানা নিয়ে উত্তেজনা, বিক্ষোভে পিছু হটল বিআইডব্লিউটিএ