১০০০ উইকেট হারমারের, তাঁর পর কি আর কেউ পাবেন
Published: 24th, October 2025 GMT
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে গতকাল নোমান আলীকে আউট করে টেস্ট ক্যারিয়ারের ৫২তম উইকেটটি পেয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার অফ স্পিনার সাইমন হারমার। ৫২ সংখ্যাটা বিশেষ কিছু না। তবে নোমান আলীর উইকেটটা হারমারের জন্য অবশ্যই বিশেষ। কারণ, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নোমান হয়েছেন হারমারের ১০০০তম শিকার! চার্লি লুয়েলিন (১০১৩), মাইক প্রোক্টর (১৪১৭) ও অ্যালান ডোনাল্ডের (১২১৬) পর দক্ষিণ আফ্রিকার চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে মাইলফলকটি ছুঁয়েছেন হারমার।
১০০০ উইকেটের এই ক্লাবে ইদানীং নতুন সদস্যের দেখা পাওয়াও একটা বিরল ঘটনা। সেই হিসাবেও হারমারের কীর্তিটা বিশেষ। কতটা বিরল, সেটা একটা উদাহরণ দিলেই আরও স্পষ্ট হবে। এখনো খেলছেন এমন ক্রিকেটারদের মধ্যে প্রথম শ্রেণিতে ১০০০ উইকেটের কাছাকাছি আছেন আর মাত্র একজন। আর সেই একজন হলেন শ্রীলঙ্কার ২৮ বছর বয়সী বাঁহাতি স্পিনার মালিন্দা পুষ্পকুমারা, প্রথম শ্রেণিতে আপাতত যার উইকেট সংখ্যা ৯৮০টি।
ইংল্যান্ডের সাবেক ব্যাটসম্যান মার্ক রামপ্রকাশ.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
টেস্ট অধিনায়কের শর্ট লিস্টে চারজন!
আগামী মাসেই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুইটি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। গত জুনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট খেলার পর অধিনায়কত্ব থেকে সরে যান নাজমুল হোসেন শান্ত। মূলত দুইটি কারণে অধিনায়কত্ব থেকে সরে যান তিনি। প্রথমত, বিসিবির তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়ক তত্ত্বের বিরোধী ছিলেন তিনি। দুই, তার ওয়ানডে অধিনায়কত্ব যে প্রক্রিয়ায় বিসিবি কেড়ে নিয়েছিল তা পছন্দ হয়নি তার।
বিসিবির ঘাড়ে এখন টেস্ট অধিনায়কত্ব নির্বাচনের মহাগুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। কে অধিনায়ক হবেন তা নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। শোনা যাচ্ছে, বিসিবি অধিনায়কত্বের জন্য চারজনের শর্ট লিস্ট করেছে। যেখানে শান্তর নামও আছে। এছাড়া মেহেদী হাসান মিরাজ, লিটন দাস ও মুমিনুল হকের নামও আছে। তবে মুমিনুল আগেভাগেই না করে দিয়েছেন বলে খবর। ফলে শর্ট লিস্ট তিনজনে নেমে এসেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ চলাকালীন অধিনায়ক নির্বাচন করা হয়ে যেতে পারে এমনটাই জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
আরো পড়ুন:
লিটন ফিরলেন টি-টোয়েন্টিতে, সৌম্য-সাইফ উদ্দিন নেই
সৌম্য-সাইফের তাণ্ডব থামল, রেকর্ডের পাতায় তাদের অর্জন
কিভাবে অধিনায়ক বাছাই করা হচ্ছে সেই প্রক্রিয়ার কথা বলেছেন আমিনুল, ‘‘টেস্ট ক্রিকেটের ক্যাপ্টেন্সিটা আমরা যেটা পলিসি নিয়েছি সেটা হচ্ছে যে, আমরা কয়েকজনের সাথে কথা বলব। বোর্ডের পক্ষ থেকে ক্রিকেট অপারেশনস কথা বলবে, যারা সিলেক্টর আছে তারা কথা বলবে এবং যারা কোচিং স্টাফ আছেন টপ তারা কথা বলবেন। কথা বলে যেই কোচ যেই ক্যাপ্টেনটা তারা মনে করবে যে সুইটেবল….যে ক্যাপ্টেন হবে তাকেও এগ্রি করতে হবে এবং তারপরে সবাই মিলে বসে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’’
তিন ফরম্যাটে তিনজন অধিনায়ক হতেই হবে এমন সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে পারে এমন আভাস দিয়ে রাখলেন আমিনুল, ‘‘এরকম কোনো হার্ড অ্যান্ড ফাস্ট রুল নেই যে তিনটে ক্যাপ্টেনই হতে হবে। তবে এর আগে যখন আমরা আলোচনা করেছিলাম যে তিন ফরম্যাটে তিনটে ক্যাপ্টেন হলে সুবিধা কী, অসুবিধা কী। অসুবিধা থেকে সুবিধাই বেশি। আমরা সেটাও প্রেফার করব। তারপরেও দেখব যে বেস্ট এভেলেবেল যে নাকি এই জবটা করতে পারবে। সেটা হতে পারে একজন তিনটা করতে পারে, একজন দুইটা করতে পারে, একজন তিনটা করতে পারে। এটা ডিপেন্ডিং অন কিছু আলোচনা…।’’
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল