এক পায়ে নেচে নতুন কুঁড়ির সেরা দশে জায়গা করে নিয়েছে নওরিন
Published: 25th, October 2025 GMT
একটাই পা। সেই পায়ে ছোট্ট নওরিন যখন মঞ্চজুড়ে নাচে, এপাশ থেকে ওপাশে ছুটে যায়, মায়ের বড় ভয় করে। যদি ছিটকে পড়ে, যদি কোনো অঘটন ঘটে। কিন্তু এখনো কোনো অঘটন তাকে স্পর্শ করেনি। অদম্য ইচ্ছা আর স্বপ্ন দেখার সাহস যেন পুরো মঞ্চটাই নওরিনের নিয়ন্ত্রণে এনে দিয়েছে।
মেয়েটা এভাবে এক পায়ে মঞ্চে নাচবে, সবাইকে তাক লাগিয়ে দেবে, মানুষ তাকে চিনবে, সবাই উৎসাহ দেবে, এমনটা কখনো ভাবেননি মা আছমা বেগম। তবে নওরিনের মনে মনে সেই ইচ্ছা ছিল। তাই মুঠোফোন দেখে দেখে সে নাচ শিখেছে। তবে সেটা ছিল নিতান্তই শখের শেখা। কিন্তু শহরের একটি আয়োজনে এক তরুণ নৃত্য প্রশিক্ষকের চোখে পড়ে তার নাচ।
হাসিমুখে মেয়ের শুরুর দিকের গল্পটা যখন বলছিলেন আছমা বেগম, তখন পাশে মেয়ে নুরফিজা হক নওরিন আর সেই নৃত্য প্রশিক্ষক দৃষ্টি তালুকদার।
২২ অক্টোবর রাত আটটার দিকে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের শান্তিবাগ রোডে নওরিনদের বাসায় যখন পৌঁছাই, তখন দরজার ওপাশ থেকে ভেসে আসছিল গানের আওয়াজ। নওরিনের প্রশিক্ষণ চলছে। বিকেলেই বার্তা পেয়েছেন, শুক্রবার নতুন কুঁড়ির চূড়ান্ত পর্ব শুরু হচ্ছে। তাই প্রস্তুতি চলছে। এক পায়ে নেচে সাধারণ নৃত্য ‘ক’ গ্রুপে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায় পার হয়ে জাতীয় পর্যায়ে সেরা দশে স্থান করে নিয়েছে নওরিন। ১০ জনের মধ্যে পেয়েছে সর্বোচ্চ নম্বর। এখন সেরা তিনে থাকার লড়াই। বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকায় রওনা হবে। ২৪ থেকে ২৯ অক্টোবর ঢাকায় চূড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগিতা।
কখনো ক্রাচে ভর করে, কখনো এক পায়েই লাফিয়ে লাফিয়ে হাঁটাচলা করে নওরিন.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
এক পায়ে নেচে নতুন কুঁড়ির সেরা দশে জায়গা করে নিয়েছে নওরিন
একটাই পা। সেই পায়ে ছোট্ট নওরিন যখন মঞ্চজুড়ে নাচে, এপাশ থেকে ওপাশে ছুটে যায়, মায়ের বড় ভয় করে। যদি ছিটকে পড়ে, যদি কোনো অঘটন ঘটে। কিন্তু এখনো কোনো অঘটন তাকে স্পর্শ করেনি। অদম্য ইচ্ছা আর স্বপ্ন দেখার সাহস যেন পুরো মঞ্চটাই নওরিনের নিয়ন্ত্রণে এনে দিয়েছে।
মেয়েটা এভাবে এক পায়ে মঞ্চে নাচবে, সবাইকে তাক লাগিয়ে দেবে, মানুষ তাকে চিনবে, সবাই উৎসাহ দেবে, এমনটা কখনো ভাবেননি মা আছমা বেগম। তবে নওরিনের মনে মনে সেই ইচ্ছা ছিল। তাই মুঠোফোন দেখে দেখে সে নাচ শিখেছে। তবে সেটা ছিল নিতান্তই শখের শেখা। কিন্তু শহরের একটি আয়োজনে এক তরুণ নৃত্য প্রশিক্ষকের চোখে পড়ে তার নাচ।
হাসিমুখে মেয়ের শুরুর দিকের গল্পটা যখন বলছিলেন আছমা বেগম, তখন পাশে মেয়ে নুরফিজা হক নওরিন আর সেই নৃত্য প্রশিক্ষক দৃষ্টি তালুকদার।
২২ অক্টোবর রাত আটটার দিকে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের শান্তিবাগ রোডে নওরিনদের বাসায় যখন পৌঁছাই, তখন দরজার ওপাশ থেকে ভেসে আসছিল গানের আওয়াজ। নওরিনের প্রশিক্ষণ চলছে। বিকেলেই বার্তা পেয়েছেন, শুক্রবার নতুন কুঁড়ির চূড়ান্ত পর্ব শুরু হচ্ছে। তাই প্রস্তুতি চলছে। এক পায়ে নেচে সাধারণ নৃত্য ‘ক’ গ্রুপে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায় পার হয়ে জাতীয় পর্যায়ে সেরা দশে স্থান করে নিয়েছে নওরিন। ১০ জনের মধ্যে পেয়েছে সর্বোচ্চ নম্বর। এখন সেরা তিনে থাকার লড়াই। বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকায় রওনা হবে। ২৪ থেকে ২৯ অক্টোবর ঢাকায় চূড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগিতা।
কখনো ক্রাচে ভর করে, কখনো এক পায়েই লাফিয়ে লাফিয়ে হাঁটাচলা করে নওরিন