বাউফলে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ভূমিহীনদের জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ, প্রতিবাদে মানববন্ধন
Published: 25th, October 2025 GMT
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার চর ঈশানে ভূমিহীনদের নামে সরকারি বন্দোবস্তের প্রায় ৫০০ একর জমি দখলচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদে আজ শনিবার সকালে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে।
আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের তালতলি বাজার এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। অভিযুক্ত মাসুম বিল্লাহ বাউফল পৌর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া কয়েকজন ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, ২০ অক্টোবর রাতে কিছু লোক খননযন্ত্র দিয়ে তাঁদের জমির মাটি কাটতে শুরু করে। খবর পেয়ে তাঁরা ঘটনাস্থলে গেলে ৩০-৪০ জন অস্ত্রধারী তাঁদের তাড়িয়ে দেন। মাটি খননকারীরা বলেন, মাসুম বিল্লাহর নির্দেশে তাঁরা মাটি কাটছেন। পরদিন তাঁরা মাটি কাটতে নিষেধ করলেও তারা শোনেনি। বুধবার সকালে স্থানীয় ভূমিহীন কৃষকেরা ঐক্যবদ্ধভাবে গিয়ে ১৩ জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চর ঈশানের প্রায় পাঁচ শ একর জমি ১৪১ জন ভূমিহীনের মধ্যে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে। ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে তাঁরা সেখানে চাষাবাদ করে আসছেন। কিন্তু তিন-চার মাস ধরে মাসুম বিল্লাহর নেতৃত্বে কয়েকজন ব্যক্তি ওই জমি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
কৃষক মো.
মোসা. কহিনুর বেগম (৬০) নামের এক নারী বলেন, তাঁদের থাকার ভিটেমাটি পর্যন্ত নেই। এ কারণে তাঁর ও তাঁর স্বামী সুলতান হাওলাদারের নামে সরকার ২০০১ সালে চর ঈশানের একটি জমি বন্দোবস্ত দেয়। সরকারিভাবে সেই জমি বুঝিয়ে দেওয়ার পর থেকে তাঁরা চাষাবাদ করে আসছেন। সেই জমি দখলের চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা মাসুম বিল্লাহ বলেন, তিনি বা তাঁর কোনো লোক চর ঈশানের জমি দখল করতে যাননি।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আকতারুজ্জামান সরকার বলেন, ২২ অক্টোবর দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে এক পক্ষের হাতে আটক ব্যক্তিদের নিয়ে আসে। লিখিত কোনো অভিযোগ না থাকায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুল ইসলাম বলেন, যেসব ভূমিহীনের নামে জমি বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে, অবশ্যই তাঁরা তাঁদের জমি ভোগদখল করবেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দখল র চ ষ ট ব উফল ব এনপ সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আইন ও সালিশ কেন্দ্রের ১৫ দফা দাবি
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে জনগণের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) ১৫ দফা দাবি তুলে ধরেছে।
১০ ডিসেম্বর (আজ বুধবার) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস। এ উপলক্ষে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে মানবাধিকার সংগঠনটি। এ সময় জনগণের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সংগঠনটি ১৫ দফা দাবি তুলে ধরেছে।
কর্মসূচিতে অংশ নেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) কর্মকর্তা-কর্মচারী, তাঁদের পরিবার এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) ‘স্পিক আপ’ প্রকল্পের তরুণেরা। এই মানববন্ধন কর্মসূচিতে দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করা হয়।
বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার রক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৪৮ সালের এ দিনে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গ্রহণ করে। এ ঘোষণার মাধ্যমে স্বীকৃত হয়, মানবাধিকার সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। জন্মস্থান, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বিশ্বাস, অর্থনৈতিক অবস্থা কিংবা শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্বিশেষে মানবাধিকার সর্বজনীন ও সবার জন্য সমান। প্রত্যেক মানুষ জন্মগতভাবেই এসব অধিকার লাভ করেন।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) উপদেষ্টা মাবরুক মোহাম্মদ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসের বাইরে গিয়েও প্রতিদিনই মানবাধিকার বিষয়ে জাগ্রত ও সোচ্চার থাকতে চাই। আইন ও সালিশ কেন্দ্র কখনো মানবাধিকার বিষয়ে কারও কাছে মাথা নত করেনি, কারও সঙ্গে আপস করেনি। যেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে, সেখানেই আইন ও সালিশ কেন্দ্র সব সময় সোচ্চারভাবে কাজ করার চেষ্টা করেছে।’
নারী অধিকারের বিষয়ে আইন ও সালিশ কেন্দ্র প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে সংস্থার এই উপদেষ্টা মাবরুক মোহাম্মদ আরও বলেন, ‘আইনের ক্ষেত্রে অনেক উন্নতি হয়েছে কিন্তু নারী ও শিশুর প্রত্যয়ী সহিংসতাগুলো বন্ধ হয়নি। এটি নিয়েও আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে এই মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। আজ বুধবার, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে