ভিয়েতনাম ‘মিরাকল’ থেকে বাংলাদেশের শিক্ষা
Published: 26th, October 2025 GMT
সংস্কারপ্রক্রিয়ায় সংবিধানের মূলনীতি থেকে সমাজতন্ত্রও বাদ দেওয়ার চেষ্টা চলছে। অথচ সমাজতন্ত্র ব্যতিরেকে বৈষম্য নিরসন দুরূহ ব্যাপার। সোভিয়েত স্টাইলের সমাজতন্ত্র বিংশ শতাব্দীর ৮০ ও ৯০ দশকে পরিত্যক্ত হয়ে গেলেও ‘একুশ শতকের সমাজতন্ত্রের’ নানা পরিবর্তিত মডেল বিশ্বের নানা দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করায় সফলভাবে অনুসৃত হয়ে চলেছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ভিয়েতনামের মডেল।
১৯৫৫ সালে মার্কিন পুতুল সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দক্ষিণ ভিয়েতনামে জেঁকে বসেছিল যুক্তরাষ্ট্র। ফলে ২০ বছর ধরে ভিয়েতনামে চলেছে যুক্তরাষ্ট্র বনাম উত্তর ভিয়েতনামের সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মহা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। প্রায় ২০ লাখ ভিয়েতনামির মৃত্যুর বিনিময়ে ওই যুদ্ধে বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছিল ভিয়েতনাম, লজ্জাজনক পরাজয় মেনে নিয়ে দক্ষিণ ভিয়েতনাম থেকে ১৯৭৫ সালে পালাতে হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রকে।
ভিয়েতনাম বিজয় অর্জন করেছে ১৯৭৫ সালে, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছে ১৯৭১ সালে। দুই দশকের চরমবিধ্বংসী স্বাধীনতাযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর ভিয়েতনাম বাংলাদেশের মতো বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হিসেবে বিবেচিত হতো।
আরও পড়ুনবিশ্বের বিস্ময় হো চি মিনের ভিয়েতনাম১৯ মে ২০২০১৯৭৫ সালে সমাজতান্ত্রিক ভিয়েতনাম যখন বিজয়ী দেশ হিসেবে যাত্রা শুরু করেছিল, তখন ‘জ্বলে পুড়ে–মরে ছারখার/তবু মাথা নোয়াবার নয়’—সুকান্তের এই অবিস্মরণীয় কবিতার লাইনটি আক্ষরিকভাবে প্রযোজ্য ভিয়েতনামের জনগণের ক্ষেত্রে। এ সত্ত্বেও ভিয়েতনাম কখনোই কোনো দেশের কাছে মাথা নত করেনি, ভিক্ষার জন্য হাত পাতেনি। এমনকি অনুদান ও ‘সফট লোনের’ আশায় জাতিসংঘে স্বল্পোন্নত দেশের ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত হতেও আবেদন করেনি। অথচ কী নিদারুণ কষ্টকর ছিল ১৯৭৫-পরবর্তী বছরগুলোতে ভিয়েতনামের জনগণের জীবন! ভিয়েতনামের জনগণের মাথাপিছু জিডিপি ১৯৭৪ সালে ছিল মাত্র ৬৫ ডলার।
১৯৮৬ সালে ‘দই মই’ সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণের আগে ১৯৮৫ সালে তা ছিল ২৮৫ ডলার। ২০২৫ সালে আইএমএফের প্রাক্কলন মোতাবেক ভিয়েতনামের মোট জিডিপি ৪৯০ বিলিয়ন ডলার। আইএমএফের হিসাব মোতাবেক ২০২৫ সালে ভিয়েতনামের মাথাপিছু জিডিপি ৪ হাজার ৮০৬ ডলারে পৌঁছে গেছে, যেটাকে ‘মিরাকল’ বলা হচ্ছে। ২০২৪ সালে ভিয়েতনামের মাত্র ২ শতাংশ জনগণ দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থান করছে।
১৯৮৬ সালে ‘দই মই’ সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন শুরু হওয়ার ৩৯ বছর পর এখন পাশ্চাত্যের অর্থনৈতিক উন্নয়নের চিন্তকেরা ভিয়েতনামের অর্থনীতিকে ‘সোশ্যালিস্ট-ওরিয়েন্টেড মার্কেট ইকোনমি’ হিসেবে বর্ণনা করছেন। দই মই কর্মসূচিতে ‘কালেকটিভ ফার্মিং’ নিষিদ্ধ করে জমির ওপর জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
দই মই অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংস্কারের প্রধান তিনটি ডাইমেনশন হলো ১.
ভিয়েতনামের জনগণের শতভাগ ২০২৫ সালে স্বাস্থ্যবিমার আওতায় সেবা পেয়ে চলেছে। জনসংখ্যা নীতির ব্যাপারে ভিয়েতনাম কঠোরভাবে ‘দুই সন্তান নীতি’ অনুসরণ করে চলেছে। আয় ও সম্পদ বৈষম্যের ক্ষেত্রে ভিয়েতনাম অত্যন্ত যত্নে বৈষম্য বৃদ্ধির প্রবণতাকে প্রতিরোধ করে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুফলকে কয়েকটি নগরে কেন্দ্রীভূত না করে ভিয়েতনাম গ্রামীণ জনগণের মধে৵ উন্নয়নের সব ডাইমেনশনকে পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর।
বৈদেশিক বিনিয়োগকে প্রবলভাবে উৎসাহিত করে চলেছে ভিয়েতনাম। স্যামসাং, এলজি, অলিম্পাস ও পাইওনিয়ার—এসব কোম্পানির দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় হাব এখন ভিয়েতনামে। এখন ভিয়েতনামে প্রতিবছর বৈদেশিক বিনিয়োগপ্রবাহ দাঁড়াচ্ছে ২০ থেকে ২৫ বিলিয়ন ডলার। এই ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক গতিশীলতার পেছনের চাবিকাঠি হলো ভিয়েতনামে দুর্নীতির প্রকোপ অনেক কম, ভিয়েতনামের শ্রমশক্তি ও মানব পুঁজি বাংলাদেশের চেয়ে অনেক শিক্ষিত, দক্ষ এবং পরিশ্রমী।
আরও পড়ুনগাজা এখন ইসরায়েলের ভিয়েতনাম২২ মে ২০২৫ভিয়েতনামের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন চমকপ্রদ। বন্দর, মহাসড়ক ও সুলভ গণপরিবহনের ক্ষেত্রে ভিয়েতনাম দ্রুত আধুনিকায়নে সফল একটি দেশ। তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ভিয়েতনাম এখন বাংলাদেশকে হটিয়ে মাঝেমধ্যে গণচীনের পর বিশ্বের দ্বিতীয় অবস্থান দখল করে নিচ্ছে।
ইলেকট্রনিক পণ্য রপ্তানিতে এখন সিঙ্গাপুরের পর ভিয়েতনাম দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে। চাল রপ্তানিতে থাইল্যান্ডকে হটিয়ে ভিয়েতনাম ভারতের পর বিশ্বের দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে। ব্রাজিলের পর কফি রপ্তানিতে ভিয়েতনাম বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। সাড়ে ৯ কোটি জনসংখ্যার দেশ ভিয়েতনামের মোট রপ্তানি আয় বাংলাদেশের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি।
২০২৫ সালে ভিয়েতনামের মোট জিডিপি ৪৯০ বিলিয়ন ডলার। মাথাপিছু নমিনাল জিডিপি প্রাক্কলিত হয়েছে ৪ হাজার ৮০৬ ডলারে, যা ১৯৮৫ সালে ছিল মাত্র ২৮৫ ডলার। তুলনামূলকভাবে ২০২৫ সালের জুনে বাংলাদেশের মোট জিডিপি প্রাক্কলিত হয়েছে ৪৬২ বিলিয়ন ডলার আর মাথাপিছু জিডিপি নির্ধারিত হয়েছে ২ হাজার ৮২০ ডলার। ২০২৪ সালে ভিয়েতনামের মোট রপ্তানি আয় ছিল ৪০৫ বিলিয়ন ডলার; আর বাংলাদেশের পণ্য থেকে রপ্তানি আয় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ছিল মাত্র ৪৮ বিলিয়ন ডলার।
ভিয়েতনামের রপ্তানি আয়ের এক-চতুর্থাংশ এনে দিচ্ছে স্যামসাং। অথচ ভিয়েতনামে যাওয়ার আগে স্যামসাং তাদের কার্যক্রম শুরু করতে চেয়েছিল বাংলাদেশে, চট্টগ্রামের কোরিয়ান ইপিজেড এলাকায়। বাংলাদেশ সরকারের অনুমতি না পেয়ে তারা বাধ্য হয়ে ভিয়েতনামে চলে গিয়েছিল।
ভিয়েতনামের একদলীয় শাসন আমার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। তবু শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা, আয়বৈষম্য নিরসন ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নে কীভাবে ভিয়েতনাম অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। আর বাংলাদেশে গণতন্ত্র শেখ হাসিনার একতরফা নির্বাচনী প্রহসনের মাধ্যমে লাইনচ্যুত হয়ে স্বৈরশাসনে পরিণত হয়েছিল।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একটি শ্বেতপত্রে দাবি করা হয়েছে যে ২০০৯–২০২৪ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনার স্বৈরশাসন আমলে বাংলাদেশ থেকে মোট ২৩৪ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার হয়ে গেছে। ভিয়েতনামে এ ধরনের পুঁজি পাচারের কোনো সুযোগ সৃষ্টি হয়নি। দেশের পুঁজি দেশেই বিনিয়োগ হয়েছে, যার সঙ্গে প্রতিবছর যুক্ত হয়েছে প্রায় ২০ থেকে ২৫ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক বিনিয়োগ। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গণচীনের চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে গণচীনে উৎপাদনরত অনেক শিল্পকারখানা এখন ভিয়েতনামে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
সোভিয়েত স্টাইলের সমাজতন্ত্রকে যে যুগোপযোগী সংস্কার করতেই হবে, এটা বুঝে নিয়েই ভিয়েতনাম ‘দই মই’ সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে চলেছে। ফলে ‘একুশ শতকের সমাজতন্ত্রের’ মাধ্যমে অর্থনৈতিক মিরাকল ঘটানো সম্ভব, সেটিরই অকাট্য প্রমাণ ভিয়েতনাম।
ড. মইনুল ইসলাম সাবেক অর্থনীতিবিদ ও অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র ভ ত অবক ঠ ম ২০২৫ স ল অবস থ ন সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
‘নির্বাচন সহজ হবে না, পরিকল্পনা নিয়েই মাঠে নামতে হবে’
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, “নির্বাচন যতটা সহজ ভাবছেন, ততটা সহজ নয়।” দেশের সামনে কঠিন নির্বাচন ও কঠিন সময়—এ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘‘দেশকে পরিবর্তন করতে হলে আবেগ নয়, প্রয়োজন সুপরিকল্পিত রাজনৈতিক কর্মযজ্ঞ, বাস্তবধর্মী চিন্তা এবং জনগণের প্রত্যাশা গভীরভাবে বোঝার ক্ষমতা।’’
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালী যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এ কর্মসূচিতে বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক ইউনিটগুলোর নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
আরো পড়ুন:
‘খালেদা জিয়ার সুস্থতার ওপর দেশের অনেক কিছু নির্ভর করে’
মিরসরাইয়ে বিএনপির ২ পক্ষের সংঘর্ষে যুবক নিহত
তারেক রহমান বলেন, “আমাদের দেশকে ভালো করতে হলে দেশ নিয়ে ভাবতে হবে। কাকে সাইজ করবো—এই চিন্তায় থাকলে দেশ এগোবে না। দেশের উন্নতির জন্য জনগণের কথা বুঝতে হবে, তাদের কাছে যেতে হবে।”
তিনি বলেন, ‘‘এখনও যদি দলীয় নেতাকর্মীরা দায়িত্বশীল ও সিরিয়াস না হন, তাহলে দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে। মানুষ আমাদের সুযোগ দেবে—কিন্তু আমাদের নিজেদের দায়িত্ব বুঝতে হবে, পরিকল্পনা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।”
বক্তব্যে তিনি জোর দিয়ে বলেন, “আমরা স্বপ্ন দেখাতে চাই না; যা বলবো, তা বাস্তবায়ন করবো। আবোলতাবোল জনপ্রিয়তার কথা বলে লাভ নেই, বাস্তবতা তুলে ধরতে হবে।”
তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপি ছাড়া আর কোনো রাজনৈতিক শক্তি দেশের প্রকৃত মৌলিক ইস্যুগুলো নিয়ে কথা বলছে না।
তিনি বলেন, “কৃষক, নারী, শিশু, আবহাওয়া, কর্মসংস্থান—এসব নিয়ে কথা হচ্ছে কোথায়? মানুষের মৌলিক অধিকার কোথায়? এসব নিয়ে কথা বলছে কে? এই মুহূর্তে বিএনপি ছাড়া কেউই জনগণের বাস্তব সমস্যা নিয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে না। অনেকে খুন হয়েছেন, গুম হয়েছেন। আমার নিজের কষ্টের কথা বলছি না। আমার মা অসুস্থ। আমি যদি নিজের কষ্ট নিয়ে কথা বলি, তাহলে সাধারণ মানুষের কষ্টের কথা কারা বলবে? তাদের কষ্টের কথা কারা শুনবে?’’
বিগত সরকারের ব্যর্থতার চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, “স্বৈরাচার দেশের অর্থনৈতিক, সমাজ ব্যবস্থা, কৃষি খাতে ব্যবস্থা ভেঙে দিয়েছে। দেশকে যুদ্ধবিধ্বস্ত অবস্থার মতো করে দিয়েছে। আমরা পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশকে পুনর্গঠন করবো। আমাদের পরিকল্পনা দেশের জন্য, মানুষের জন্য। জনগণের সামনে এগুলো সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারলেই ধানের শীষ জয়ী হবে।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “একটি দল মিথ্যা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। আপনাদের মিথ্যা বলার দরকার নেই। সত্য তুলে ধরুন, বিএনপির পরিকল্পনা তুলে ধরুন।”
তিনি বলেন, “সবার ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার দরকার নেই। কর্মক্ষেত্রে দক্ষতা বাড়াতে হবে। দেশের প্রতিটি সেক্টরে কাজ করতে হবে। দক্ষ যুবসমাজই দেশকে এগিয়ে নেবে। জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া একা নন—আমরা সবাই মিলে জাতীয়তাবাদী দল। ১/১১ মোকাবিলা করতে পেরেছেন, স্বৈরাচার মোকাবিলা করতে পেরেছেন—এখন কেন পারবেন না? পারবেন, এবং এই নির্বাচনে পারতেই হবে।”
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, “আপনার লড়াইয়ের সামনে থাকবে ধানের শীষ। মানুষের কাছে যান, তাদের আস্থা অর্জন করুন, দেশ গড়ার পরিকল্পনা তুলে ধরুন।”
‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মসূচির বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক ও বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের সঞ্চালনায় আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা/আলী//