নওগাঁর আত্রাই উপজেলার আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে আন্তনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি ও স্টেশন সংস্কারের দাবিতে আজ রোববার মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। এ কর্মসূচির একপর্যায়ে লাল কাপড় দেখিয়ে ঢাকামুখী আন্তনগর ‘চিলাহাটী এক্সপ্রেস’ ট্রেন থামানো হয়। প্রায় এক ঘণ্টা পর ট্রেনটি ছেড়ে দেন আন্দোলনকারীরা।

সকাল ১০টা থেকে আত্রাই উপজেলাবাসীর ব্যানারে আহসানগঞ্জ প্ল্যাটফর্মে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি শুরু হয়। একপর্যায়ে নীলফামারী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী চিলাহাটী এক্সপ্রেস সেখানে পৌঁছালে দুপুর ১২টার দিকে ট্রেনটি থামান আন্দোলনকারীরা। পরে আন্দোলনকারীরা রেলপথ ছেড়ে দিলে বেলা একটার দিকে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নওগাঁর আত্রাই ও রানীনগর, রাজশাহীর বাগমারা এবং নাটোরের সিংড়া উপজেলার বাসিন্দারা সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক ও রেলপথে যাতায়াত করেন। আহসানগঞ্জ স্টেশনের ওপর দিয়ে ছয়টি আন্তনগর ট্রেন চলাচল করে। অথচ জনগুরুত্বপূর্ণ এই স্টেশনে মাত্র দুটি (দ্রুতযান ও নীলসাগর এক্সপ্রেস) আন্তনগর ট্রেন থামে। অথচ পার্শ্ববর্তী সান্তাহার ও নাটোর স্টেশনের রাজস্ব আদায়ের চেয়ে আহসানগঞ্জ স্টেশনের রাজস্ব আদায় অনেক বেশি। তাঁদের দাবি, এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে এই স্টেশনে যাত্রাবিরতি দিতে হবে। এতে মানুষের যাতায়াতের সুবিধার পাশাপাশি সরকারেরও আয় হবে।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন নওগাঁ-৬ (আত্রাই ও রানীনগর) আসনে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী ও নওগাঁ জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য খবিরুল ইসলাম, আত্রাই নতুন বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহিন আহমেদ, ভোঁপাড়া ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি ওবায়দুল্যা প্রমুখ।

মানববন্ধনে জামায়াত নেতা খবিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আজকে আন্দোলন করে চিলাহাটী এক্সপ্রেস ট্রেন থামিয়েছি। শুধু চিলাহাটী এক্সপ্রেস নয়, আমরা চাই আহসানগঞ্জ স্টেশনের ওপর দিয়ে যাওয়া সব আন্তনগর ট্রেনে চলাচলের সুবিধা যেন এই এলাকার মানুষ পায়। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ও সরকারের কাছে আমরা দাবি জানাই, দ্রুত আহসানগঞ্জ স্টেশনে সব আন্তনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি ও টিকিট প্রাপ্তির ঘোষণা দিতে হবে। এ ছাড়া ব্রিটিশ আমল থেকে চলে আসা ঐতিহ্যবাহী আহসানগঞ্জ স্টেশনের সংস্কারের দাবিও জানাচ্ছি। এসব জনদাবি শিগগির পূরণ না হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’

আত্রাই নতুন বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহিন আহমেদ বলেন, আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনটি আত্রাই উপজেলাবাসীর জন্য যোগাযোগের লাইফলাইন। অথচ এই গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনটি আজ অবহেলিত। ঢাকাগামী অধিকাংশ আন্তনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি না থাকায় যাত্রীদের প্রতিনিয়ত চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। এই স্টেশনে সব আন্তনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি ঘোষণার দাবি জানান তিনি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

‘খ্রিস্টান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা’ নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে বা

পার্বত্য চট্টগ্রামে জোরপূর্বক খ্রিস্টানকরণের মাধ্যমে খ্রিস্টান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে বান্দরবানে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বান্দরবান প্রেস ক্লাবের সামনে ‘সর্বস্তরের খ্রিস্টান সম্প্রদায়’ ব্যানারে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নেন শতাধিক খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী।

আরো পড়ুন:

ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি বেরোবি শিক্ষার্থীদের

ইসকন সদস্যদের সন্ত্রাসবাদের প্রতিবাদে বুটেক্সে মানববন্ধন

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, একটি দেশে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ মিলেই রাষ্ট্র গড়ে ওঠে। খ্রিস্টান হয়ে জন্ম নেওয়া কোনো অপরাধ নয়। এটি নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি করা হচ্ছে। পার্বত্য অঞ্চলে সব সম্প্রদায়ের মানুষ নিজ নিজ ধর্মীয় উৎসব উদযাপন করে আসছে। বাইবেল নিয়ে ধর্মীয় উপদেশ বা সভা-সমাবেশ করা মানে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র নয়।

বক্তারা আরো বলেন, আমরা দেশের আইন মেনে চলি, জন্মসূত্রে বাংলাদেশি নাগরিক। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি আমরা গভীরভাবে শ্রদ্ধাশীল। যে রাষ্ট্রে জন্মেছি, তাকে ধ্বংস করার কোনো ষড়যন্ত্র আমরা করতে পারি না।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য লালজার লম বম, মানবাধিকার কর্মী লেলুং খুমী, জামান সাইলুক, দিনেন্দ্র ত্রিপুরা ও জজ ত্রিপুরা। এ সময় বান্দরবানের বিভিন্ন চার্জের পাদ্রীরাও উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, কিছু স্বার্থান্বেষী মহল পার্বত্য চট্টগ্রামের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। তারা বলছে, এখানে স্থানীয়দের জোরপূর্বক খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তর করা হচ্ছে।

এ ধরনের অপপ্রচার পার্বত্য চট্টগ্রামের মাত্র ৩.২৬ শতাংশ খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের জন্য অপমানজনক, অস্বস্তিকর এবং অপবাদমূলক। এটি তাদের অস্তিত্বকে ধ্বংসের লক্ষ্যে পরিচালিত একটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ।

এতে আরো বলা হয়েছে, স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রে সব নাগরিকের সমানভাবে ধর্মীয় স্বাধীনতা ভোগের সাংবিধানিক অধিকার থাকলেও পার্বত্য চট্টগ্রামের খ্রিস্টানরা ধর্মীয় কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে নানা সময় হয়রানির শিকার হচ্ছেন-যা সংবিধান, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন।

ঢাকা/চাই মং/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সুনামগঞ্জের যাদুকাটা নদীতে শ্রমিক হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন
  • ‘চায়না দুয়ারি’ জাল নিষিদ্ধের দাবিতে রাজশাহীতে মানববন্ধন
  • চায়না দুয়ারি জাল দিয়ে মাছ ধরা বন্ধের দাবিতে রাজশাহীতে সমাবেশ
  • শহর বন্দর ভাগ হলে, ভাগ হয়ে যাবে নারায়ণগঞ্জের ভাগ্য : তরিকুল সুজন 
  • বাউফলে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ভূমিহীনদের জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ, প্রতিবাদে মানববন্ধন
  • ‘খ্রিস্টান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা’ নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে বা
  • ২১ নং ওয়ার্ডের এনায়েত নগরে ময়লার ভাগাড়ে পরিবেশ দূষণ  
  • ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি বেরোবি শিক্ষার্থীদের
  • ধর্ষণ ও নারীর প্রতি সহিংসতার প্রতিবাদে জবিতে মানববন্ধন